শাহবাগে কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক গণজমায়েত যা এখনো চলছে...
কার উপর রাগ করব? কার কাছে নালিশ জানাব? কোন দৈববাণীতে আশাবাদী হব? রাগে দুঃখে ঘেন্নায় গলার কাছে বমি ঠেলে উঠছে। অসহায়-অক্ষম ক্ষেভে শরীরের রক্ত টগবগ করে ফুটছে! বায়োস্কোপের মত ভেসে উঠছে একাত্তরের সেই রক্তঝরা দিনগুলির ছবি। আমরা জানতাম এমনই হবে। যাকে পাওয়া যাবেনা তাকে ফাঁসী দেয়া হবে। যাকে ধরা হয়েছে তাকে যাবজ্জীবনের নামে মুক্তি দেয়া হবে। আমরা আরো জানতাম এইসব রাবারস্ট্যাম্প থেকে এর চেয়ে বেশী কিছু হবে না।
তার পরও মনের কোথায় যেন ক্ষীণ একটু আশা ধুকপুক করত! মনে হতো আমার, আমাদের আশংকা অমূলক হোক। অন্তত এবার যেন আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারি চল্লিশ বছর পর হলেও খুনির বিচার করতে পেরেছি।
সেই আশার বেলুন ফুটো করে দেয়া হয়েছে। যারা দিয়েছে তাদের আমরা চিনি। খুব ভালো করেই চিনি।
চারটি ঘটনা ঘটতে পারে।
০১. আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার।
০২. পশ্চিমা আর মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভয়ে নতি স্বীকার।
০৩. অঢেল টাকা-পয়সার কাছে নতি স্বীকার।
০৪. আগামী নির্বাচনে মাদারির খেলার জন্য নির্বাচনী প্যাক্ট।
অর্থাৎ যে কোনো বিচারে এই রায় এসেছে নতি স্বীকার করার ফলে। গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে।
সামনে সাঈদির রায়। সেটা হতে পারে তিন থেকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
এর মধ্যে সরকারদলীয় আইনজীবীরা বলছেন; তারা আপিল করবেন! পাবলিককে তারা কি মনে করেন? গরু-ছাগল? এটা কে না জানে ১৯৭৩ সালের আইনে আপিল করা যায় কেবলমাত্র রায় মওকুফ বা কমানোর জন্য। রায় বৃদ্ধির আপিল হয়না। তার পরও তারা মিডিয়ার সামনে পাবলিককে সন্তষ্টু করতে এইসব চাপাবাজী করে চলেছেন...
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭