ঢাকার মতো কর্মক্ষেত্র বাংলাদেশের আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না। জীবন ও জীবীকার মান উন্নত করতে মফস্বল ও গ্রামদেশ থেকে শত শত মানুষ আসেন এখানে। বোঝা যায় ঈদের ছুটির সময় বাড়ী ফিরতি লোকজন দেখলে। কিন্তু সত্যিই কি এদের জীবন ও জীবীকার মান উন্নত হচ্ছে???
এ পর্যন্ত বিষয়বম্তু অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও ভুমিকার প্রয়োজন ছিলো। এবার বিষয়ে আসি......... ফুটওভার ব্রীজ.......
জীবনের নিরাপত্তা দিতে নানা বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হয়, বলা হয় ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করতে। এখানে ওখানে সেখানে ফুটওভার ব্রীজ প্রয়োজন.....সরকার উদ্যোগ নিন বা নিচ্ছেন না কেনো?(!) কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে জীবনের নিরাপত্তা দিতে। উফ! কি মারাত্মক মানবিক (!) উদ্যোগ ।
পাঁচ-দশ বছর আগেও ব্রীজগুলো ছিলো সত্যিকার অর্থেই ব্রীজ। মানুষজন একদিক দিয়ে উঠে আরেকদিকে নেমে যাবে, সব দেখা যাবে। মানুষ নিরাপদ। রাস্তা পার হতে হলো না, কোন সুড়ঙ্গের মধ্যেও ঢুকতে হলো না। ফলে জান বাঁচলো গাড়ী থেকে আর মান বাঁচলো সুড়ঙ্গে না ঢুকে।
এখন ধীরে ধীরে ফুটওভার ব্রীজগুলো ঢেকে দেয়া হচ্ছে। উপরে-পাশে, সামনে-পিছনে। যাতে এক ইঞ্চি জায়গাও বাদ না যায় বিজ্ঞাপণ থেকে। চরম ব্যবসা। আরও একটা চরম ব্যবসা হচ্ছে এই ফুটওভার ব্রীজ থেকে। রাতের অন্ধকারে। পতিতাবৃত্তি। এটা আমাদের সমাজের চরম নিষ্ঠুর একটা সত্য। বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে ইনাদের সামাজিক মর্যাদার কথা বলা হয়। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চলে তোড়জোর। কিন্তু, অনেকেই জানেন হয়তো এই ফুটওভার ব্রীজগুলো পতিতাবৃত্তির উৎকৃষ্ট জায়গা। এর প্রমান পাওয়া যায় ব্রীজ দিয়ে একটু সচেতনভাবে হেঁটে গেলেই।
বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আয় নিশ্চিত করতে এবং কোটি কোটি টাকা ব্যয় উঠিয়ে নিতে সামাজিক ক্ষয়-এর এই অংশটুকু কেউ মনে রাখছে না।
আর তাই, সেই গ্রামদেশে বৃদ্ধ বাবা-মা মিথ্যা প্রত্যাশায় থাকে সুস্থ্য সন্তানের উন্নত জীবন-জীবীকার (ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্নতা রয়েছে অনেক)।
অমূল্য জীবনের পরিনতি দূর্ঘটনার অন্যখাতে প্রবাহিত হয়।
যদি এমন হয় যে, ব্রীজগুলো আরোও দুই ফিট উচু করা হবে। দু'পাশের আড়াল সরিয়ে ফেলে ঝুলিয়ে দেয়া হবে ব্রীজের নীচে, যেখানে হয়তো নির্মান ব্যয়ের অধিকাংশই উঠে আসবে বিজ্ঞাপণ থেকে। মাত্র দু'ফিট বেশি উপরে উঠলে আমাদের নিশ্চয়ই অতোটা(!) ক্ষতি হবে না।
ফুটওভার ব্রীজঃ একটি ব্যাপক ব্যবসা সফল উদ্যোগ....
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া
একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই
রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।
ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন