এ পর্যন্ত বিষয়বম্তু অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও ভুমিকার প্রয়োজন ছিলো। এবার বিষয়ে আসি......... ফুটওভার ব্রীজ.......
জীবনের নিরাপত্তা দিতে নানা বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হয়, বলা হয় ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করতে। এখানে ওখানে সেখানে ফুটওভার ব্রীজ প্রয়োজন.....সরকার উদ্যোগ নিন বা নিচ্ছেন না কেনো?(!) কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে জীবনের নিরাপত্তা দিতে। উফ! কি মারাত্মক মানবিক (!) উদ্যোগ ।
পাঁচ-দশ বছর আগেও ব্রীজগুলো ছিলো সত্যিকার অর্থেই ব্রীজ। মানুষজন একদিক দিয়ে উঠে আরেকদিকে নেমে যাবে, সব দেখা যাবে। মানুষ নিরাপদ। রাস্তা পার হতে হলো না, কোন সুড়ঙ্গের মধ্যেও ঢুকতে হলো না। ফলে জান বাঁচলো গাড়ী থেকে আর মান বাঁচলো সুড়ঙ্গে না ঢুকে।
এখন ধীরে ধীরে ফুটওভার ব্রীজগুলো ঢেকে দেয়া হচ্ছে। উপরে-পাশে, সামনে-পিছনে। যাতে এক ইঞ্চি জায়গাও বাদ না যায় বিজ্ঞাপণ থেকে। চরম ব্যবসা। আরও একটা চরম ব্যবসা হচ্ছে এই ফুটওভার ব্রীজ থেকে। রাতের অন্ধকারে। পতিতাবৃত্তি। এটা আমাদের সমাজের চরম নিষ্ঠুর একটা সত্য। বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে ইনাদের সামাজিক মর্যাদার কথা বলা হয়। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চলে তোড়জোর। কিন্তু, অনেকেই জানেন হয়তো এই ফুটওভার ব্রীজগুলো পতিতাবৃত্তির উৎকৃষ্ট জায়গা। এর প্রমান পাওয়া যায় ব্রীজ দিয়ে একটু সচেতনভাবে হেঁটে গেলেই।
বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আয় নিশ্চিত করতে এবং কোটি কোটি টাকা ব্যয় উঠিয়ে নিতে সামাজিক ক্ষয়-এর এই অংশটুকু কেউ মনে রাখছে না।
আর তাই, সেই গ্রামদেশে বৃদ্ধ বাবা-মা মিথ্যা প্রত্যাশায় থাকে সুস্থ্য সন্তানের উন্নত জীবন-জীবীকার (ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্নতা রয়েছে অনেক)।
অমূল্য জীবনের পরিনতি দূর্ঘটনার অন্যখাতে প্রবাহিত হয়।
যদি এমন হয় যে, ব্রীজগুলো আরোও দুই ফিট উচু করা হবে। দু'পাশের আড়াল সরিয়ে ফেলে ঝুলিয়ে দেয়া হবে ব্রীজের নীচে, যেখানে হয়তো নির্মান ব্যয়ের অধিকাংশই উঠে আসবে বিজ্ঞাপণ থেকে। মাত্র দু'ফিট বেশি উপরে উঠলে আমাদের নিশ্চয়ই অতোটা(!) ক্ষতি হবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




