somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রং পেন্সিল : আইনস্টাইন ও ইন্দুবালা -হুমায়ূন আহমেদ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বঙ্গদেশের রানাঘাটে আইনস্টাইন বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন। বিষয়বস্তু 'On the unity and University of Forces.' দুর্ভাগ্যক্রমে সেদিন রানাঘাটে গিয়েছেন বাংলা সিনেমার নায়িকা, নৃত্যগীতে পটু, অসামান্য রূপবতী ইন্দুবালা দেবী। তিনি স্থানীয় বাণী সিনেমা হলে নৃত্য পরিবেশন করবেন। আইনস্টাইনের বক্তৃতার জায়গা মিউনিসিপ্যালটি হল। যা হওয়ার তা-ই হলো। বাণী সিনেমা হল দর্শকে পরিপূর্ণ। মিউনিসিপ্যালটি হলে আইনস্টাইন এবং গণিতের অধ্যাপক রায়বাহাদুর নীলাম্বর চট্টোপাধ্যায় ছাড়া কেউ নেই। হতাশ নীলাম্বর বাবু আইনস্টাইনকে বাণী সিনেমা হলে ইন্দুবালার নাচ দেখাতে নিয়ে গেলেন। পরদিন পত্রিকায় ছাপা হলো, 'বিখ্যাত জার্মান বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইন গতকল্য দার্জিলিং যাওয়ার পথে রানাঘাট মিউনিসিপ্যাল হলে বক্তৃতা দিতে নামিয়াছিলেন। তাঁহাকেও সেদিন বাণী সিনেমা গৃহে ইন্দুবালার নৃত্যের সময় উপস্থিত থাকিতে দেখা গিয়াছিল।'
এমন ঘটনা বাস্তবে ঘটেনি। মহান কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি গল্পের সারাংশ বলা হলো। গল্পটি 'উপলখণ্ড' গল্প সংকলনে আছে। পৃথিবীর কোনো দেশের লেখকরাই বিজ্ঞানীদের বিষয়ে উৎসাহিত বোধ করেননি। একমাত্র আইনস্টাইনের পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল সবার কৌতূহলে নাড়া জাগানোর।
সেদিন তেজগাঁও থেকে মালিবাগে যাচ্ছি। চোখে পড়ল বিশাল বিলবোর্ড। সেখানে রিয়েলএস্টেটের বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনে আইনস্টাইনের ছবি। ছবির নিচে লেখা 'জমি কিনতে বুদ্ধিমান হোন' জাতীয় কথা। বুদ্ধিমান হিসেবে আইনস্টাইনের ছবি ছাপা হয়েছে।
আমার শৈশবে আইনস্টাইনকে নিয়ে একটি লেখা পাঠ্য তালিকাভুক্ত ছিল। সচিত্র লেখা। আইনস্টাইন বেহালার বাঙ্ নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছেন এমন ছবি। কাহিনীর বিষয়বস্তু ছিল বেলজিয়ামের রানির আমন্ত্রণে তিনি ট্রেনে করে বেলজিয়াম গিয়েছেন। ট্রেন থেকে নেমে দেখেন তাঁকে নিতে কেউ আসেনি। তিনি একাই হেঁটে হেঁটে রওনা হলেন। বেলজিয়ামের রানি আইনস্টাইনকে নিতে দলবল পাঠিয়েছিলেন ঠিকই। তারা প্রথম শ্রেণীর কামরা খুঁজেছে। তারা কেউ ভাবেনি আইনস্টাইন সাধারণ শ্রেণীতে চলে আসবেন।
আমাদের শৈশবে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নিয়ম ছিল দেয়ালে মহাপুরুষদের ছবি টানানো। বালক-বালিকারা যেন অল্প বয়সেই মহাপুরুষদের সঙ্গে পরিচিত হয়। তাঁদের মতো হওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের সিলেটের মীরাবাজারের বাসায় মহাপুরুষদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ছাড়া আর যে দুজন ছিলেন তাঁদের একজন আইনস্টাইন অন্যজন জর্জ বার্নড শ। আইনস্টাইনের ছবি আমাকে আকর্ষণ করেনি তবে জর্জ বার্নড শ'র ছবিটি মুগ্ধ করেছিল। ছবিতে বৃদ্ধ এক বুড়োকে লাঠি হাতে তেড়ে আসতে দেখা যাচ্ছিল।
আইনস্টাইনের প্রথম পরিচয় পাই আমার বয়স যখন আঠারো, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের ছাত্র। অধ্যাপক আলি নওয়াব ক্লাসে পড়াচ্ছেন ভিসকোসিটি। একপর্যায়ে ভিসকোসিটির ইকোয়েশন বোর্ডে লিখে বললেন, এটা আইনস্টাইন ইকোয়েশন। উনি বের করেছেন। আমি অবাক! যে মহা বিজ্ঞানী রিলেটিভিটি বের করেছেন তিনি সামান্য ভিসকোসিটি সমীকরণও বের করেছেন।
পরের বছর পড়লাম আইনস্টাইনের ফটো ইলেকট্রিক অ্যাফেক্ট। এই আবিষ্কারের জন্য তাঁকে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
ফটো ইলেকট্রিক অ্যাফেক্ট বুঝতে আমাদের কোনো সমস্যা হলো না। সূত্রটি জটিল অঙ্কে মোড়ানো না। আলোর কণিকা ধর্ম কিছুটা এলোমেলো ঠেকলেও ছাত্র হিসেবে আমরা আলোর দ্বৈত সত্তার বিষয়টা ততদিনে জানি।
আমার প্রধান আগ্রহ তখন আইনস্টাইনের ভুবন কাঁপানো থিওরি অব রিলেটিভিটি বিষয়ে জানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার কোনো শিক্ষক কি বিষয়টি বোঝাতে পারবেন? একজন নিশ্চিতভাবে পারতেন, অধ্যাপক সত্যেন বসু। তিনি তো বেঁচে নেই। পদার্থবিদ্যার ছাত্র আমার অতি ঘনিষ্ঠজন আনিস সাবেত আমাকে জানালেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্তি্বক পদার্থবিদ্যার মাত্র একজন শিক্ষক থিওরি অব রিলেটিভিটি বোঝেন তাঁর নাম এ এম হারুন-অর-রশিদ। আনিস ভাই আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে গেলেন। স্যার আমার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বললেন, থিওরি অব রিলেটিভিটি বুঝতে চাও কেন?
আমি মাথা চুলকালাম। আসলেই তো কেন বুঝতে চাই? থিওরি অব রিলেটিভিটি বুঝে আমি কি করব?
স্যার বললেন, খুব সাধারণভাবে বিষয়টা বোঝানো যায়। মনে কর তুমি তোমার বান্ধবীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা কাটিয়েছ। তোমার কাছে মনে হবে মাত্র দুই মিনিট কাটিয়েছ। আবার অতি বিরক্তির এক বৃদ্ধের সঙ্গে দুই মিনিট কাটালে তোমার কাছে মনে হবে দুই ঘণ্টা কাটিয়েছে। তবে এইসব ব্যাখ্যা কোনো কাজের ব্যাখ্যা না। এইসব হচ্ছে মানসিক ঘটনা। থিওরি অব রিলেটিভিটি কোনো মানসিক ব্যাপার না। প্রকৃত বিজ্ঞান। তুমি পরে এসো আমার কাছে আমি চেষ্টা করব তোমাকে বিষয়টা বোঝাতে। তোমার আগ্রহ দেখে আমি নিজেও আগ্রহ বোধ করছি এই বিষয়ে বাংলায় একটা বই লেখার জন্যে।
তাঁর কাছে পরে আমার আর যাওয়া হয়নি। আমি তাঁকে আমার লেখা একটা সায়েন্স ফিকশন উৎসর্গ করে (ফিহা সমীকরণ) আমেরিকার নর্থ ডাকোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম।
পড়াশোনার প্রচণ্ড চাপে আমি তখন দিশাহারা। মাথা থেকে আইনস্টাইনের ভূত নেমে গেছে। সহজ বাংলায়, 'কেঁথা পুড়ি থিওরি অব রিলেটিভিটির, আগে কোর্স ওয়ার্ক সামলাই। এমন অবস্থায় নোটিশ বোর্ডে দেখি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পাওয়া এক বিজ্ঞানী আসছেন নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। তিনি এক ঘণ্টা বক্তৃতা দেবেন। বিষয়বস্তু মহান আইনস্টাইনের মহান ভুল (Great Einestines Great Mistake)। আমি বক্তৃতা শুনতে অডিটরিয়ামে উপস্থিত হলাম। (দুঃখিত আমি অধ্যাপকের নাম ভুলে গেছি। আলজেমিয়ার্স মনে হয় হয়েই যাচ্ছে।)
অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশি জ্ঞানী মানুষদের বক্তৃতা ভালো হয় না। তাঁরা শ্রোতাদের তাঁদের মতোই ধীমান মনে করেন। এমন বক্তৃতা দেন যা শ্রোতাদের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। শুধু চুল স্পর্শ করে। মস্তিষ্কে ঢুকতে পারে না।
এই অধ্যাপক গল্প বলার মতো করে বক্তৃতা শুরু করলেন। প্রথমেই প্রজেক্টরে পৃথিবী নামক গ্রহের ছবি দেখানো হলো। সেখানে একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডে লেখা_এই গ্রহে আইনস্টাইন জন্মেছিলেন।
অধ্যাপক হাসিমুখে বললেন, যদিও বলা হয় আইনস্টাইন পৃথিবী নামক গ্রহে জন্মেছেন আমার তা মনে হয় না। আমার মনে হয় আইনস্টাইন একজন এলিয়েন কারণ তাঁর চিন্তার ধারাটাই এলিয়েনদের মতো। আলোর গতি এক লাখ ছিয়াশি হাজার মাইল প্রতি সেকেন্ডে। আইনস্টাইন চিন্তা করলেন তিনি নিজেও আলোর গতিতে আলোর পাশাপাশি ছুটে যাচ্ছেন। তখন তিনি কি দেখবেন? এখন আপনারাই বলুন চিন্তার ধারা এলিয়েন নয়?
আমরা প্রবল হাততালি দিলাম। এক ঘণ্টার বক্তৃতা এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটে শেষ হলো। আমি মন্ত্রমুগ্ধ। বক্তৃতায় আইনস্টাইনের মহান ভুল নিয়ে একটি কথাও বলা হলো না। শ্রোতাদের একজন এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই অধ্যাপক বললেন, আইনস্টাইনের মহান ভুল হচ্ছে তিনি অনেক আগে থিওরি অব রিলেটিভিটি এবং স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি আবিষ্কার করে ফেলেছেন। সব পদার্থবিদের মুক্তচিন্তা আটকে দিয়েছেন। আইনস্টাইন পৃথিবীতে না এলে পদার্থবিদরা নানা দিকে অন্ধের মতো হাতড়াতে থাকতেন। এতে অনেক কিছু বের হয়ে আসতো। তাড়াহুড়া করে থিওরি অব রিলেটিভিটি বের করে ফেলাই হলো আইনস্টাইনের মহান ভুল।
আইনস্টাইন তাঁর সারা জীবনে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলে গেছেন। একটি উল্লেখ করি।
"সময় মানুষ তার নিজের সুবিধার জন্য কল্পনা করেছে কারণ মানুষ কখনোই চায়নি তার জীবনের সব ঘটনা একসঙ্গে ঘটে যাক।"
কথাগুলো অস্পষ্ট হেয়ালির মতো লাগছে না? আইনস্টাইন অনেক হেয়ালি কথা বলে গেছেন যদিও তিনি বিশ্বাস করেছেন বিজ্ঞান সমস্ত হেয়ালির ঊর্ধ্বে। তাঁর বিখ্যাত উক্তি_ঈশ্বর পাশা খেলেন না। (God does not play dice.)

পাদটিকা
আইনস্টাইনকে নিয়ে পৃথিবীজুড়েই নানা গল্পগাথা প্রচলিত। এর মধ্যে একটি উল্লেখ করছি।
বালক আইনস্টাইন ছিলেন হাবাগোবা। চার বছর বয়স পর্যন্ত তিনি কোনো কথা বলেননি। তাঁর বাবা-মা ধরে নিলেন আইনস্টাইন বাকপ্রতিবন্ধী। এক দুপুরে লাঞ্চ খেতে বসে আইনস্টাইন প্রথম কথা বললেন। স্যুপের বাটি সরিয়ে তিনি বললেন, স্যুপটি ঠাণ্ডা।
আইনস্টাইনের মা হতভম্ব গলায় বললেন, তুমি কথা বলতে পার?
আইনস্টাইন হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। তার মা বললেন, এতদিন কথা বলনি কেন?
আইনস্টাইন বলেন, এতদিন স্যুপ ঠাণ্ডা ছিল না। কথা বলার প্রয়োজন হয়নি।
-কালের কণ্ঠ
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×