প্রতি জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্বাচনী দল গুলো ঝুড়ি-ঝুড়ি ইশতেহার পেশ করে।আমরা সাধারন জনগন সেই ইশতেহার পেপার-প্রত্রিকায় পড়ি মাত্র।তারপর নির্বাচনের পরে আর খোঁজ রাখি না জয়ী দল তার নির্বাচনী ইশতেহারের কয়টা বা পূরন করে।তবে এদেশে রাজনীতি দলের নির্বাচনী ইশতেহার যে শুধু মাত্র নাম মাত্র তা আমরা সবাই কম বেশি জানি।তারপরও আমরা একটা ভাল নির্বাচনী ইশতেহার আশা করি প্রিয় দলের কাছে।আর মনে মনে স্বপ্ন দেখি প্রিয় দল ক্ষমতায় গেলে সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে।
নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি।দু একদিনের মধ্যেই প্রতিটি দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার পেশ করবে।আমরা সাধারন জনগনও অধীর আগ্রহে বসে আছি প্রিয় দলের নির্বাচনী ইশতেহার দেখার জন্য।আমার মনে হয় কোন রাজনীতি দলের নির্বাচনী ইশতেহার পেশ করার আগে ভেবে দেখা উচিত সাধারন জনগন আসলে কি চাই।এদেশে সাধারন জনগনের খুব বেশি চাওয়া পাওয়া কোন দলের কাছেই নেই।তবুও সাধারন মানুষের চাওয়া পাওয়া পূরনে এদেশের প্রতিটি রাজনীতি দলই ব্যর্থ বলেই আমি মনে করি।
ধরেন প্র্রতিটি সাধারন জনগনের চাওয়া তার নিজ এলাকার রাস্তাঘাট যেন ভাল হয় যাতে করে কোন সমস্যা ছাড়া সহযে যে কোন যায়গাতে যাতায়াত করতে পারে।কিন্তু আপনি একটু নিজের এলাকার কথায় ভেবে দেখুন তো,আপনার এলাকার রাস্তাঘাটের কি অবসস্থা?হ্যা কিছু মানুষের এলাকায় হয়তো রাস্তাঘাট ভাল কিন্তু এদেশে বেশির ভাগ রাস্তা ঘাটের অবস্থা কিন্তু ব্যপক খারাপ।আমাদের দেশেই নাকি রাস্তা তৈরীতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কিন্তু কি দূর্ভাগ্য আমদের,সেই আমাদের রাস্তার অবস্থায় সবচেয়ে খারাপ!
আপনার এলাকায় এমপি নিশ্চয় প্রতি নির্বাচনের সময় এলাকায় গিয়ে বড় বড় লেকচার দিয়ে আসেন,নির্বাচনে জিতেলে এলাকায় এই করা হয়ে তাই করা হবে।অথচ আপনি রোজ যে রাস্তায় চলাচল করেন সেই রাস্তার অবস্থা থাকে করুন।
আমার এলাকায় একই দল দশ বছর ধরে ক্ষমতায় অথচ রাস্তা সেই দশ বছর আগে যা ছিল এখনও তাই আছে।অথচ তিনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল,দল ক্ষমতায় গেলে রাস্তাঘাটের ব্যপক উন্নয়ন করা হবে।
যাই হোক এই সব লেখার জন্য আমি লেখাটি লিখতে বসিনি।কিন্তু বিষয় যখন নির্বাচনী ইশতেহার তখন কথা প্রসঙ্গে অনেক কথায় চলে আসে।এবারের নির্বাচনে কোন দল জিতবে তা বাজি ধরে কেউ হয়তো সঠিক বলতে পারবে না।তবে এটা বলা যায়, হয় আওয়ামিলীগ নয়তো বিএনপি এই দু দলের মধ্যে যে কোন একটা দল জিতবে।কয়েক দিনের মধ্যেই এই দল দুটি নির্বাচনী ইশতেহার পেশ করবেন।আশা করি তারা একটি নির্ভর যোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার পেশ করবে।আমরা সাধারন জনগন তাদের কাছে কোন অলীক ইশতেহার চাই না।যে ইশতেহার পূরন করতে পারবে না সে ইশতেহার দিয়ে সাধারন জনগন কি করবে?
আমাদের দেশে সবাই সরকারি চারকরি ছাড়া আর কিছুই বোঝে না।যদি এদেশে বে-সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে পেনশনের ব্যবস্থা করা যায় তবে সরকারি চাকরি পাশাপাশি বেসরকারি চাকরি ক্ষেত্রে সবার সমান আগ্রহ বাড়বে।গেল অর্থ বছরে অর্থ মন্ত্রী বাজেটে নাকি বেসরকারি চাকরিজীবিদের জন্য পেনশনের জন্য বাজেট পাশ করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধু মুলোই ঝুলিয়ে রেখেছেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ হয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেসরকারি চাকরিজীবিদের কপাল আর খোলেনি।
বিশ্বের অনেক দেশেই বেসরকারি চারকিজীবিদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা আছে।এ নিয়ে বিস্তারিত জেনে লেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে তা পারিনি।
এখন লেখাটি লিখতে বসে অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে।তাই আর কথা বাড়াচ্ছি না।মূল যে কথাটি বলতে চাইছি সেটা হল-
এবার নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামিলীগ ও বিএনপি দুটি বড় দলের কাছেই আমি বেসরকারি চাকরি জীবিদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে এই বিষয়টি দেখতে চাই।আর যে দলই ক্ষমতায় যাক না কেন তাদের প্রথম অর্থ বছরের বাজেটে বিষয়টি যেন পাশ করে তা বাস্তবায়ন করা হয়।
আশা করি সহ ব্লগারাও বিষয়টি নিয়ে তিনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন।