শীতকাল যায় যায় করেও এখনও কিছুটা রয়ে গেছে।এবার বছর নাকি শীতটা ভালই পড়েছিল। আমি অবশ্য শীত অতটা উপলব্ধি করতে পারিনি।অনেকের শীতকালটা কাটে কোথায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পড়ল এটা দেখে।কারও কাটে শীতে টাটকা খেজুরের রস খেতে পারবে কোথা থেকে সেই প্লান করে।আবার কেউ কেউ জাস্ট শীতকালটা লেপের তলায় শুয়েই কাটিয়ে দেয়।
আমার এবার শীতকালটা কেটেছে শুধু বাজারদর আতংকে।বার বার মনে হয়েছে প্রতিটা দ্রব্যমূল্য আর কত বাড়বে।কোথায় গিয়ে থামবে এই মূল্যস্ফীতি।শীতে শাকসবজি প্রচুর উৎপাদন হয় সেই হিসেবে দামটা মানুষের হাতের নাগালেই থাকে।কিন্তু এইবার প্রতিটি শাকসবজির দাম গত শীতের চেয়ে কয়েক গুন বেশি ছিল।গতবার কাচা ঝাল ছিল কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকার ভেতরে।এবার সেই কাঁচা ঝাল ১৪০ টাকার নিচে নামেইনি।অন্যান্য জিনিসের দামের কথা আর নাই বললাম। আর সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি জিনিস পত্রের দাম কেমন তা আপনাদের সবারই জানা।
আমার এখন শুধু একটা কথায় বারবার মনে হচ্ছে দাম বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে থামবে।
আমার মত স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য বাজার এখন এক আতংকের নাম।সত্যি বাজারে যেতে ভয় লাগে।এবার শীতকালটা যে কি ভাবে গেছে টেরই পায়নি।দেশে এত উন্নয়ন কি মানুষ ধুয়ে পানি খাবে।যে উন্নয়ন মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরনের পথ কঠিন করে দেয় সেই উন্নয়ন নিয়ে জাতি কি করবে।বর্তমানে দেশের মূল্যস্ফীতি যে হারে বাড়ছে এর লাগাম টেনে না ধরতে পারলে আমাদের জন্য জীবন আরও কঠিন হয়ে যাবে।
# ছবি গুগল থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮