আগে বর্ষাকাল ভাল না লাগলেও আমার কাছে এখন বর্ষাকাল ভালই লাগে।আমি কখনই বাংলা মাস ঠিকঠাক মনে রাখতে পারিনা।তবে মাসের নাম খেয়াল থাকে।আমার মা এখনও পর্যন্ত বাংলা মাসের দিনক্ষণ ঠিকঠাক বলতে পারেন।এটা আমার কাছে অবাকই লাগে।আগেকার সব মানুষই মনে হয় বাংলা মাস ঠিকঠাক বলতে পারতেন।বিশেষ করে গ্রামের মানুষরা।আর কৃষি কাজের জন্য বাংলা মাসের দিনক্ষণ ঠিকঠাক জানা একটা বড় বিষয়। বর্ষাকাল চলে আসলেও এখনও পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি আমার এ দিকে হয়নি।এই দুই এক পশলা হয়েই শেষ। এমন এক পশলা বৃষ্টির পরে দেখা যায় গরম আরও বেড়ে যায়।
ছোট বেলায় বর্ষাকাল অতটা পছন্দ করতাম না।কারন বর্ষা হলে বাইরে খেলতে যেতে পারতাম না।তবে বৃষ্টিতে মাঝে মাঝে ভিজতে পেরে ভাল লাগত।আরও ভাল লাগত গামছায় করে কাছের বাওড়ে মাছ ধরতে।তবে মায়ের বকুনির জন্য বর্ষা এলে ইচ্ছে মত কিছু করতে পারতাম না।
একাধারে যখন বর্ষা হত তখন মা এটা ওটা খাবার বানাতেন।সেই ক্ষনটাও ছিল বেশ আনন্দের।
এখন গ্রামের মানুষ বর্ষাকালে কিভাবে সময় পার করে তা জানিনা।কেননা বেশিরভাগ গ্রামেই এখন পরিবর্তন এসেছে।
সময়ের সাথে মানুষের কৃষ্টি কালচারেরও পরিবর্তন হয়েছে।
আগে যখন ডায়েরি লিখতাম, তখন বর্ষার সময় কবিতা আর অনুকাব্য লেখার চেষ্টা করতাম।
দু একটি অনুকাব্য শেয়ার করেই লেখাটি শেষ করছি।
** বর্ষায় ভিজি
মনের কষ্ট গুলো খুঁজি।
**এখন কাল বর্ষা
মনে নাই ভরসা।
**বর্ষার সময় মাথায় দেই ছাতা
মনে পড়ে প্রিয়জনের কথা।
আমার লেখা এই কয়েক লাইন কেন জানি আমার খুব প্রিয়...
তবু ছুয়ে দেখি বৃষ্টি
মন ভেজায় না শরীর
দেখেনি কেউ
না তুমিও।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০