ভারতীয় এক আমলা South Asian Diaspora Convention (SADC) নামক একটি সম্মেলনে আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew কে নিচের প্রশ্নটি করেছিলেন।
"What are the fundamental tenets of good governance which you would like to give as advice to our politician?"
Lee Kuan Yew নিচের উত্তরটি দিয়েছিলেন:
"First, integrity, absence of corruption.
Second, meritocracy – the best people for the best jobs. And
Third, a fair level-playing field for everybody."
দেশব্যাপী হিন্দু ধর্মের মানুষদের বাড়ি-ঘড়ে আগুন ও মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরে কেউ নিজের ধর্ম পরিত্যাগ করতে চায়; কেউ দেশ ছেড়ে পালাতে চায়, কেউ নিজের ধর্মের জন্য লজ্জিত হয়; তবে এদের কেউই দেশে সু-শাসন চায় বলে কোন প্রমাণ পেলাম না। অথচ শুধুমাত্র সুশাসন দিয়েই একটি দেশের ৯০% সমস্যা দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশে যতদিন সুশাসন চালু হবে না ততদিন পর্যন্ত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমান কোন মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
ভুটানের মাথা পিছু আয় বাংলাদেশ অপেক্ষা বেশি না; কিন্তু এই দেশের মানুষ হলও পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। মালয়েশিয়ার মাহা-থির মোহাম্মদ ক্ষমতায় ছিলও ১৭ বছর; বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ২ টার্মে প্রধানমন্ত্রীত্ব করতেছে মাহাথির মোহাম্মদ অপেক্ষা ৬ মাস বেশি সময় ধরে। আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew এর কথা আর কি লিখবো সবাই সিঙ্গাপুরের নামটাই যথেষ্ট সেই দেশটির অবস্থার ব্যাখ্যা করার জন্য।
পৃথিবীর ইতিহাস বলে কোন বিশেষ শ্রেণীকে অনৈতিক/সামাজিক/রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে কোন সরকারই চিরস্থায়ী ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নি। বিশেষ সুবিধা নেওয়া শ্রেণীটিও নিজেদের আখের গুছিয়ে যথা সময়ে সটকে পড়েছে সরকারকে বিপদের মুখে ফেলে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew কিংবা মালয়েশিয়ার মহাথির মোহাম্মদের কেউই ঐ ২ টা দেশে বিশেষ সুবিধাবাদী শ্রেনিকে পেলে-পুশে ক্ষমতায় থাকে নি। তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে ছিলো সু-শাসন দিয়ে। তাদের ২ জনের কেউই নিজ নিজ দেশের মানুষদের মাঝে বিভেদ-বৈষম্য সৃষ্টি করেন নি।
আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew এর জীবনী পড়ে জানা যায় ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতার পরের বছরই উনি পলিসি নিয়েছিলেন ঐ সমাজে কোন বৈষম্য থাকবে না। মেধাই হবে সরকারি চাকুরী প্রাপ্তির প্রধান শর্ত। Lee Kuan Yew স্বাধীনতার পরের বছরই পলিসি নিয়েছেন চাইনিজ, মালয় ও ভারতীয়দের নিজস্ব কোন এলাকা থাকবে না। ১০ ফ্লাটের কোন বিল্ডিং তৈরি হলে ঐ বিল্ডিং এ ৬ জন চাইনিজ; ৩ জন মালয় ও ১ জন ভারতী বসবাস করবে (তৎকালীন জন সংখ্যার জাতিসত্বা হিসাবে)। Lee Kuan Yew আইন করেই সেই পলিসি বাস্তবায়ন করেছেন। যার ফলাফল হলো আজকের বিশ্বের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্র। মাথা পিছু আয় ৬০ হাজার ডলার।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দূর্ণিতীগ্রস্ত দেশ হিসাবে নিজের দেশকে দেখা অনেক লজ্জাকর। পৃথিবীর সবচেয়ে দুষিত শহর হিসাবে নিজ দেশের রাজধানীর নাম দেখটা খুবই লজ্জাকর। সারা বিশ্বের বসবাস অযোগ্য দেশের তালিকার শীর্ষে নিজ দেশের রাজধানীর নাম দেখাটা আরও লজ্জাকর। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা চিকিৎসা সাময়িকী "দ্যা ল্যান্সেটে" প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ বলছে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কায়িক পরিশ্রম করা মানুষ হলো বাংলাদেশীরা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৫০