১৮ দলের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনে পিরোজপুরের জিয়ানগরে স্বপন শীল (৩২) নামে একজন যুবলীগকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী, মাসুদ সেপাই, শেফালী বেগম, আলী আহম্মদ চাপরাশী, শাহ আলম মল্লিকসহ আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
জানা যায়, ভোররাত থেকে জিয়ানগর উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হরতাল সমর্থকরা একতরফা সন্ত্রাস চালিয়ে স্বপন শীলের পায়ের রগ কেটে দেয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে মোড়েলগঞ্জ ও পরে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুরে সেখানে তিনি মারা যান। এছাড়া ২৫-৩০ জন আওয়ামী লীগকর্মী-সমর্থককে আহত করে। বালিপাড়া ও ইন্দুরকানীতে যুবলীগ নেতা নাসির সেপাই, শহীদ, রোকসানা, স্বপন শীলসহ আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের ঘর-বাড়ী ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে। হরতালকারীরা দক্ষিণ ইন্দুরকানীতে জিয়ানগর-কলারণ সড়ক কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এলাকায় পুলিশ থাকলেও চরম উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে পিরোজপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে দুপুরে হরতাল সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এর আগে নাজিরপুরে হাসপাতালের সামনে ও কালিবাড়ী বাজার এলাকায় পিকেটার-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ পাঁচ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশের লাঠি চার্জে একজন সাংবাদিকসহ ৭-৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।।