১১ জুলাই,২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
নয়াদিল্লি: ভারত এখন বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তবে দেশটির কোটি কোটি শ্রমিক যে পরিবেশে কাজ করে তাকে দাসের চেয়ে ভালো কিছু বলা ঠিক হবে না।
ভারতে অনেক শ্রমিকের দুর্ভোগের কাহিনী খুবই বেদনাদায়ক।
যেমন ধরুন দিয়ালু নিয়ালের কথা। ইটভাটার নির্মম কাজ থেকে পালিয়ে আসার সময় বনের মধ্যে ধরা পড়েন তিনি। এরপর কুঠারের আঘাতে তার জীবনটাই বদলে যায়।
ছয়দিন আগে দিয়ালুসহ ১২ জনকে হায়দারাবাদের একটি বৃহত্তম বন সংলগ্ন ইটভাটায় জোর ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দিয়ালু ও তার এক বন্ধু ধরা পড়েন।
এরপর তাদের ওপর নেমে আসে নির্মম শাস্তি।
দিয়ালুকে জিজ্ঞাসা করা হয়-তাকে তার জীবন, অথবা একটি পা অথবা একটি হাত হারাতে হবে।
দিয়ালু ও তার বন্ধু তখন ডান হাত কেটে ফেলার অনুরোধ করেন।
দিয়ালুর বন্ধুর হাতটি যখন কুঠার দিয়ে কেটে ফেলা হয় তখন তা দেখতে হয়েছে তাকে। এরপরই আসে তার পালা।
দিয়ালু বলেন, ‘ তারা তার হাত একটি পাথরের ওপর রাখল। একজন তার ঘাড় এবং অন্য দুজন তার হাত ধরে রাখল। অন্য একজন কুঠার নিয়ে এলো এবং যেভাবে মুরগির জবাই করা হয় সেভাবে তার হাতটি কেটে ফেলা হলো। তারপর তারা আমার হাতটিও কেটে ফেলল।’
তিনি বলেন, ‘তীব্র যন্ত্রণায় মনে হচ্ছিল আর বাঁচব না। তারা আমার হাতটি বনের মধ্যে ফেলে দিল।’
এখন তিনি মুক্ত। আবার সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। তিনি এখন তার উড়িষ্যার কুঁড়েঘরে বাস করছেন।
এটাকে মুচলেকা দেয়া দাসপ্রথা বলা হয়। এ ব্যবস্থায় একজন দালাল অগ্রিম টাকা দিয়ে দরিদ্র লোকদের নামমাত্র টাকায় খাটায়। ওই টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত এভাবেই খাটানো হয় এবং অনেক সময় সহিংসতা চালানো হয়।
দালালের টাকা অনেকে সারাজীবনেও পরিশোধ করতে পারে না।