সাংবাদিকদেরকে 'খামোশ' বলাটা ড. কামাল হোসেনের জন্য মোটেই যুক্তিসঙ্গত হয়নি। বরং বলা উচিৎ ছিল, জামায়াতীরা কোথায় আছে জানার সাথে সাথে আপনাদের সাগর-রুণী কোথায় আছে জানতে চাইবেন না, তেতুল হুজুর কোথায় আছে জানতে চাইবেন না, আমার গাড়ী বহরে কারা হামলা করল জানতে চাইবেন না, হত্যা-গুম-খুন কেন হয়েছে জানতে চাইবেন না, ব্যাংকের টাকা-পাহাড় সমান কয়লা কোথায় গেল জানতে চাইবেন না, সাত খুনের হোতা কে জানতে চাইবেন না...ইত্যাদি ইত্যাদি। উনি রেগে যেয়ে সত্যিকার অর্থেই কিছু মাত্রায় ভুল বোঝার সুযোগ করে দিয়েছেন। পণ্ডিতেরা বলছেন, রাগলেন তো হারলেন। অর্থাৎ ড. কামাল হেরে গেছেন। তবে যারা রাগান্বিত করেন তারা জেতেন না হারেন তা কিন্তু কোনো পণ্ডিতই বলছেন না। আমাদের বিবেক যেন আসলেই কেমন। কখনও সত্য কথা বলে, আবার সময়ের প্রয়োজনে সেই সত্যকেই মিথ্যা বলে চালিয়ে দিতে চাই। তেতুল নিয়ে কত কথা সাংবাদিক ভায়েরা বলেছে। সেই তেতুলই আজ স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়!
জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে, বিজয় দিবসের এই ক্ষনে তাই অসংখ্য প্রশ্ন মনকে তোলপাড় করে তুলছে। একদিকে জামায়াতকে ঘিরে এত কথা, এত আপত্তি। কিন্তু কেও কি প্রশ্ন করেছেন ; আসম রব, বাঘা সিদ্দীকিরা কেন আজ এই অবস্থানে এসেছেন। নূরে আলম সিদ্দীকিরা কোথায়। স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কেন জামায়াতকে আর আপত্তিকর বলে মনে করছেন না। এটাকি লজ্জার নয়, দুঃখের নয় !! এর জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগের কি কোনো দায় নেই? লতিফ সিদ্দিকী কেন লেপ-তোষক নিয়ে আন্দোলন করছেন? সেদিনের মন্ত্রী আজ বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন কেন? অধিকার চাইতে গেলে কী এমন নির্যাতন চলতেই থাকবে? স্বাধীনতা-চেতনার কথা বলে আর কতদিন হত্যা-গুম-চাটুকারীতাকে প্রশ্রয় দিতে থাকবো?
এমনি নানা প্রশ্ন মাতায় ঘুরপাক খাচ্ছে। নির্বাচনে কি হবে জানিনা। তবে মানুষ হত্যা না হোক এটা একান্তই প্রত্যাশা। বিভেদের জন্য বিভেদ নয়। যুক্তিতে শাণিত হোক আমাদের দর্শন। আমাদের বিচার হোক নীতিপূর্ণ। ৩০ ডিসেম্বর জনতার আর একটি বিজয় হোক- এই কামনা রইল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২২