ঘটনাটা যেহেতু কোভিড-১৯, ২০২০ এর সময় হয়েছিল তাই একে এভাবে নামকরণ করা যায়, তা হল......
"কোভিড-১৯ স্যালারি স্ক্যাম"।
/আচ্ছা ব্যাংকে আমরা যখন জয়েন করি তখন এরকম কোন শর্তে সাপেক্ষে তো জয়েন করি না যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের খেয়াল খুশি মত আমাদের বেতন স্থায়ীভাবে কমিয়ে দিতে পারবেন? মানে আমাদের এপয়েন্টমেন্ট লেটারে কি এ ধরনের কোন শর্ত থাকে?
/আমরা ব্যাংকের কর্মীগাও কি কখনো লিখিত বা অলিখিতভাবে ব্যাংকের এইচ আরের রথি মহারথীদের কি এ ধরনের অনুমতি দিয়েছি যে তারা ইচ্ছা করলেই তাদের খেয়াল খুশি মতো আমাদের মূল বেতন কমাতে পারবে? বছর বছর ইনক্রিমেন্ট আর পারফরম্যান্স বোনাসের মাধ্যমে আমাদের যে বেতনের উচ্চতা দাড়ায় তা তারা তাদের খুশি মত কেটে ছেঁটে ফেলতে পারবে। এরকম কি তারা করতে পারে? বাংলাদেশের কোন আইনে তা সমর্থন করে কিনা?
/নদীর পানি তো সমুদ্রে যায়। ভরসার ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ল্যাবলুলু কি বলতে পারবে যে পরিমাণ টাকা আমার বেতন হতে স্থায়ীভাবে কেটে রেখেছেন তা কোথায় গেল? কোন সমুদ্রে নিয়ে ফেললেন? নিশ্চয়ই কোন এক সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে যেটার হদিস আমার মতো ভুক্তভোগী তিন বছর যাবত আজও পায়নি? তবে সুনিশ্চিত যে ল্যাবলুলুর তত্ত্বাবধানে ঐ সমুদ্র ভাগজোক হয়ে ইতোমধ্যে হজমও হয়ে গেছে।
/রিটেল লোনের ইএমআই যখন বেড়ে যায় তখন নির্বিকার ভাবে কাস্টমারদের বলতাম যে, "দেখুন লোনের ইন্টারেস্ট রেট সব সময়ই ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট রেট। সুতরাং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোনের রেট লোনের টেনোর পিরিওডে বাড়াতেই পারে এবং এই শর্তটি মেনেই আপনি লোন নিয়েছেন।"
এখন নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অ্যাসেসমেন্ট সাপেক্ষে যে বেতন আমি পেয়েছিলাম, তা একটা মাত্র সিদ্ধান্তে প্রায় ১৮,০০০.০০ (আঠারো হাজার) কমে গেল ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে। এর কোন প্রকার কোন ব্যাখ্যা নেই, কোন জবাবদিহিতা নেই আর ব্যাংক কর্মীর পূর্বানুমতি, সে তো আরো দূরের কথা। ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট রেটের মত আমার বেতনও ফ্লোটিং হয়ে গেল।
ভরসার ব্যাংক বলে কথা।
আসলে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কোন অভিযোগও নেই, প্রতিষ্ঠানের কোন সমস্যাও নেই।
সমস্যা হলো ল্যাবলুলুদের মত কর্পোরেট মাফিয়া সিন্ডিকেট গংদের নিয়ে।
আমাদের কর্পোরেট কালচার-১
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২০