মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশঘরে রাখার ৪৫ মিনিট পর ‘পুনর্জন্ম’ পেলেন এক ব্রিটিশ নারী। যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম জানায়, ৬৩ বছর বয়সী ওই নারীর হৃদস্পন্দন প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকে। চিকিত্সকরা তাকে মৃত ভেবে লাশঘরে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে পাঠানোর পরপরই নড়াচড়া করে ওঠেন তিনি! ফের তাকে চিকিত্সাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়।
যুক্তরাজ্যের উইল্টশায়ারের ডেভিজেস শহরের কাছে এস্টার্টন এলাকার বাসিন্দা কারোল ব্রোদারস নামের ওই বৃদ্ধা হার্ট অ্যাটাকের পর সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যান। জরুরি চিকিত্সক দল তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সচল করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে বিমানপথে হাসপাতাল নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালেও তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সচল না হলে সবাই তাকে মৃত বলে মনে করতে থাকেন।
ব্রোদারসের মেয়ে ম্যাক্সিন ডিকিনসন বলেন, চিকিত্সকরা মাকে মৃত ভেবে হাসপাতালের লাশঘরে রেখে দেন। তবে সৃষ্টিকর্তা সহায় থাকায় তিনি অমাদের মাঝে ফিরে এলেন। ব্রোদারসের স্বামী ডেভিড বলেন, কেনাকাটা করে শপিংমল থেকে ফেরার পথে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এবং তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। ডেভিড জানান, প্রথমে জরুরি চিকিত্সক দল তার হৃদস্পন্দন ফেরানোর চেষ্টা করতে ব্যর্থ হলে তাকে বিমানপথে রয়্যাল ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
রয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন দিনের চিকিত্সাসেবাকে ব্যর্থ করে তার শরীরের সব ধরনের গতি-প্রকৃতি বন্ধ হয়ে গেলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু লাশঘরে রাখার ৪৫ মিনিট পর তিনি চোখ খুললেন, পুনর্জন্ম পেলেন!
ব্রোদারস বলেন, এ ঘটনার ১০ দিন পর আমি যখন ওই হাসপাতালের পাশ দিয়ে ফিরছি, তখন সবাই আমাকে লক্ষ্য করে বলল, ওহে, আমাদের জাদুকন্যা (মিরাকল গার্ল) কেমন আছো? জীবন ফিরে পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত বৃদ্ধা ব্রোদারস বলেন, এটা সত্যিই চমকপ্রদ ও বিস্ময়ের ব্যাপার যে, আমি দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি! সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ
Click This Link