জুনিয়র সহকর্মী দু ঘণ্টা পর অফিসে এলো ।
বাচাল লিপি বলল, কি ব্যাপার এমু ভাই, ঘুম দেরিতে ভেঙ্গেছে নাকি ?
না আজ বিবির মন ভাল নেই, খুব রাগ । সাত সকালে জুতো ছুড়ে মেরেছিল আমাকে ।মুখে লেগেছিল ।তবে এক পাটি জুতা জানলা দিয়ে বাইরে পড়ে হারিয়ে গেল। তাই একটা বিহিত করে আসতে দেরী হলো ।
মানে ! ভাবিকে পিটিয়েছেন নাকি ।
কি মনে হয়,আমি এত ছোটলোক নাকি ?
তাহলে ? বাড়ী পাঠিয়ে দিছেন ?
ওহ তাও না । বিবির রাগ কমাচ্ছিলাম ।
রাগ কমাচ্ছিলেন । মানে বুঝলাম না ?
আমরা তখন সবাই অবাক হয়ে এমুর দিকে চেয়েছিলাম । তার মুখে কোন ভাবান্তর দেখলাম না ।
এমু আবার শুরু করল: বঊকে অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বললাম, তারপর ওই জুতা এক জোড়া কিনে দেবো প্রতিশ্রুতি দিলাম ।প্রমিজ করলাম আজই কিনে দেবো । বউ এর মন ভাল হলো, একটু সুন্দর হাসি দিলো ।আমি ও খুব খুশি হয়ে চলে এলাম ।
হু : তামাশা । বঊ জুতো মারলো, আর বীর পুরুয় খুশি হয়ে দু ঘণ্টা পর অফিসে এলো , লিপির মুখ ঝামটা ।
অনেকে মনে করল গল্প কথা ।
তার পর যে যার কাজে মন দিলো ।
দুপুরে লাঞ্চ শেযে এমু সাহেব একটা প্যাকেট নিয়ে এলেন ।
প্যাকেটেকি এমু সাহেব ?
সেই জুতা জোড়া ।
কে একজন আগ্রহ করে বলল দেখি ।
সবাই আগ্রহ নি য়ে দেখছে । ছো্ট্ একটা প্যাকেট ।
...............
...............
---------------
------------------
পাওয়া গেল, বাচ্চাদের ছোট্ট গরম কাপড়ের জুতা ।
কি ব্যাপার ।
ব্যাপার হচ্ছে, বাচ্চটার ঠান্ডা লেগেছে । সকালে বউ নাস্ত্ করতে গেছে । আমাকে বলে গেছে বাচ্চটাকে দেখে রাখতে । আমি বাচ্চটার মাথায় টুপি, পায়ে জুতো না দিয়ে পত্রিকা পড়ছিলাম । তারপর যা হবার । এটা দেখে মায়ের মাথা গরম । জুতো ছুড়ে দিতে গিয়ে একটা আমার মুখে, আরেকটা বাইরে । বাচ্চাটার জ্বর কদিন থেকে ।