somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Everything is Fair in War and Love

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

War


তাদের চোখে আগুন ছিল!

সততার শক্তিতে বলীয়ান ছিল তাদের কণ্ঠ, দুর্নীতি কে রোধ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তারা ছিল দ্রৃঢ়প্রতিজ্ঞ!

তারা জানত দুর্নীতি দমন আর অন্যায়কে প্রতিহত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে পদে পদে তারা বাধা-র সম্মুখীন হবে, তাদের চোখে ঠুলি পরানোর চেষ্টা করা হবে- তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা হবে অন্যায় যা দেখছ তা অন্যায় নয়। কিন্তু তারা বজ্রকঠিন, জানে দুষ্কৃতিকারীরা যতোই কালো-কে সাদা দেখাতে চাক না কেন দুর্নীতি আর অন্যায় যতদিন থাকবে মানুষের মনে শান্তি আসবে না!



তাদের ছিল ন্যায়ের শক্তি- সকল লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সত্যের সংগ্রামে তারা ছিল একাগ্র! তাদের স্বপ্ন ছিল একদিন ঠিক ঠিক সকল অশুভ দূরে হটে যাবে, আবারো হেসে কথা কইবে সবাই!







কিন্তু দুর্জনে আরো অশুভ ছড়িয়ে দিতে থাকল… ন্যায়ের পথের সংগ্রাম কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠল!





ওরা পিছিয়ে গেল? এ পথে একবার পা দিলে যে পিছিয়ে আসাটা অন্যায়, লজ্জার! অন্যায় বা দুর্নীতির সাথে তো আপোষ হয় না!ওরা সেইদিন পর্যন্ত সংগ্রাম করবে যতদিন দুর্নীতি আর অন্যায় সমূলে উতপাটিত হয়!









Love

তার চোখে ভালোবাসা ছিল!

সেই চোখ ভালবাসার মানুষকে কাছে পাবার আনন্দে দীপ্যমান ছিল!

সেই মানুষটা পাষাণ জেনেও- তার মনের দরোজা খুব কঠোরভাবে বন্ধ জেনেও তাতে অবিরাম কড়া নাড়তে ছিল সে নিরলস! হয় তো কখনো সেই পাষাণের ঘুম ভাংগবে সেই ক্ষীণ আশায় তার দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল সে ঘন্টা-দিন-মাস!

তার শক্তি ছিল শুধু-ই ভালবাসা- সেই মানুষটার জন্যে বুক উজাড় করা সত্যিকারের ভালবাসা!

একদিন সেই পাষাণ হৃদয় গলবে, মনের দরোজাটা হাট করে খুলে যাবে তার জন্যে- সত্যিকারের ভালবাসার এমনি জোর!





নাহ! পাষাণের বুকে সবুজের জন্ম হয় নি! পাষাণ মেয়ে পাষাণতর হলো- ফিরিয়ে দিল তাকে!





সে কি ফিরে গেল? তা কেমন করে হবে?- তার পাগলী যে ভালবাসা কি জানে-ই না! পাগলীর আধোঘুমে একটু একটু করে ভালবাসা-র স্বপ্ন ঢুকিয়ে দিতে হবে তাকে! বেদনাহত চোখে অপেক্ষা করে সে, একদিন ভালবাসার স্বপ্নগুলো চোখে নিয়ে তার ঘুম ভাংগবে……













Everything is Fair


**

সবাই যখন আলো-র পথে ছিল- আমি ওদের সাথেই ছিলাম! আমি জানতাম আমরা ভয় পাবো না, কোন পরাশক্তির কাছে মাথা নত করব না! আমাদের সামনের সময়গুলো আরো দুঃসহ হবে কিন্তু শরীরের শেষ রক্তবিন্দু অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত আমরা ন্যায়ের পথে থাকব!



আমি আরো অনেক কিছু-ই জানতাম না! জানতাম না সমর-নীতিতে বহির্গমন পথ নামে একটা রাস্তা আছে, বড় উদ্দেশ্যটা না পেলেও তার কাছাকাছি কিছু দিয়ে আত্মতৃপ্তি? আমি জানি না, শুধু জানি আমার বা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটা-ই, তা পাওয়ার পথ ভিন্নতর হতে পারে কিন্তু তা কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করে নয়! যখন আমার গন্তব্য আর একটু দূরে অথবা হয় তো আরো অনেক দূরে কিন্তু আমার মনের শক্তি তো এখনো অটুট, শরীরের রক্তবিন্দুগুলো তো এখনো নাচছে টগবগ! আমি কেন আরো এগিয়ে যাবো না? পাবো কি পাবো না সেই দোলাচলে বহির্গমন পথে দাঁড়িয়ে থাকা গুচ্ছ প্রস্তাবে আন্দোলিত হবো আমি কেমন করে যদি আমাদের লক্ষ্য অটুট থাকে!



তবে কি আমাদের উদ্দেশ্য নির্ভেজাল ছিল না? তবে কি ওরা আলো-র পথে ছিল না? আমি যে আমার সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়ে সে পথে নেমেছিলাম, আমি যে তাদের কান্ডারী ভেবেছিলাম… ন্যায়ের পথের আলোকবর্তিকা ছিল তারা আমার কাছে… আমি সেই চোখগুলোর ভাষা ভুল পড়েছি? আমি একা তো নই…আমরা যে সবাই আলোর মিছিলে ছিলাম……







***

আমি তার চোখে ভালবাসা দেখেছিলাম- নির্ভেজাল, সত্য ভালবাসা!

তার চোখ আমায় ভালবাসার আনন্দে দীপ্যমান ছিল!

সেই চোখে বেদনা ছিল আমায় ঘিরে, আমি বুঝি নি… ওরকম করে আমি ভাবতে শিখি নি… কিন্তু সেই বেদনাহত চোখ আমার চারপাশে ফিরতে লাগল প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্ত… আমার চোখে অশ্রু হয়ে ঝরতে লাগল প্রতি বিকেলে…

আমার নিজের সাথে যুদ্ধ শুরু হলো… সেই যুদ্ধে কেউ সাথী হলো না, আমি ডানে তাকিয়েছি, বায়ে ফিরেছি…বন্ধুর পথে বন্ধু’র দেখা পাই নি! আমি ভয় পাই নি, দমে যাই নি- একা একা যুদ্ধটা সময়সাপেক্ষ কিন্তু অসম্ভব কিছু তো নয়, আমার গন্তব্য তখন ভালবাসার আলোয় দীপ্যমান একজোড়া চোখ… সেই চোখের বেদনা সরিয়ে সেখানে আনন্দ আনার জন্যে যতটুকু ত্যাগ স্বীকার দরকার আমাকে তা করতে হবে…



যার জন্যে যুদ্ধ সে পাশে থাকে নি…নিশ্চয়ই তার অভিমান হয়েছে… আমিও তাকে ডাকি নি…যুদ্ধটা আমার একা-রই হোক, যুদ্ধশেষে আমি তাকে চমকে দেব, তার অভিমান সব ধুয়ে মুছে যাবে…তার হাত ধরে তাকে সেই কথাটা বলব যা সে বহুবার শুনতে চেয়েছে, “………



আমি তাকে চমকে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এরও চেয়ে অনেক বড় বিস্ময় আমার জন্যে অপেক্ষা করছিল…যুদ্ধের ন্যায় ভালবাসার পথেও যে এক্সিট পয়েন্ট থাকে আর সেই পয়েন্টে কেউ মালা নিয়ে অপেক্ষা করছিল তার জন্যে…… বহির্গমন পথ ধরে সে মালা গলে দিয়ে সে তার হাত ধরে চলে গেল…



তবে কি আমি তার চোখের ভাষা ভুল পড়েছি! আমি তবে ভালবাসা-ই বুঝি না… কেউ যদি আমাকেই ভালবাসবে তবে তার চোখে কেমন করে অন্য কারো ছায়া পড়বে!......















Was Everything Really Fair?



ওরা আমার স্বপ্নগুলোকে খুন করেছে…

আমি নিজের আগুনে জ্বলছি…কিন্তু আগুন নেভানোর জন্যে কোন এক্সিট পয়েন্ট তৈরী করা যে আমি শিখি নি…শিখতে চাইও না… আমি ঠিক পথে এগিয়েছিলাম, পথটা ভুল ছিল…আমার স্বপ্নে ভুল ছিল না……



আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথটা একদম হঠাত করে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল……















উৎসর্গঃ অধ্যাপক ডঃ লুতফুল কবীর...এই লেখাটা খুব দুর্বল প্রকৃতির তবু আমি এমন কাউকে লেখাটা দিতে চাইলাম যাকে অন্যায়ের সাথে দেখেছি আপোষহীন আর লক্ষ্য অর্জনে একাগ্র...

স্যার আছেন বলেই হয় তো আমি এখনো স্বপ্ন দেখতে পারছি...খুব ক্ষীণ তবু ছোট্ট একটা আশার আলো কোথাও হয় তো আছে......
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২
১৯টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×