উর্বশীর বাষ্পরুদ্ধ চোখের কোণে
সাতরঙা প্রজাপতির ডানার বাতাস,
কী আকুল আবেদনে দোলে!
অতঃপর নাগরিক মূক ভাষাগুলো কেড়ে নিয়ে
কাকের নিরলস প্রতিবাদী উচ্চারণ
তোমার জানালার কার্নিশে!
বখে যাওয়া গাফিল সময়ের তটস্থ পদচারণা-
নাবালক স্বপ্নে থোকায় থোকায় ছড়িয়ে যায় দংশন।
ক্লান্ত বিধুর হয়ে তাকিয়ে দেখি
চোখের দহলিজে একরাশ শূন্যতা।
আকাশ আয়নায় নিয়ত দেখি
প্রেয়সী চাঁদের কলঙ্কিত মুখশ্রী ।
অন্ত:সলিলা নদীর বিমোহিত স্রোতের পাশে
ভারাক্রান্ত হৃদয়কে ধুয়ে তুলি নিজের ঘরে।
দলমলে উড়তি কেশের ভারে নুয়ে থেকে
যে নীলাম্বরীর নিঃশ্বাসের ভার তুলে নিই আকুলতায়;
তার দলিত হৃদয়ের অশ্রুময় আবেদন হারায়
চন্দ্রগ্রস্থ মেঘের ডালা ভরে।
আমার নপুংসক বিশ্বাসের নীল দেয়াল
ভেঙ্গে যায় সশব্দে।
ব্র্যাকেটবন্দী শস্যাগারে
প্রতিদিন জমা হয় ক্ষোভের ধনলিপ্সা।
নিভে যাওয়া আগুনের উত্তাপ
ঢেলে নিই চোখের ভেতর।
তবু জ্বলে উঠতে পারি না।
কী ভীষণ অস্থির পারিপার্শ্বিক জগত।
পরিঘাত বিশ্বাসের নগ্ন ফুল প্রতিদিন সুবাস ছড়ায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫৪