- ঐ যে, ঐ বাসাটায় ঈদের কয়েকদিন আগে ডাকাত পড়েছিলো৷
আমি শুনে আঁতকে উঠি৷ আঁতকে উঠে বলি- কি সর্বনাশ! কোথায়, কোন বাসায়?
- ঐ যে দূরে ছয়তলা বাসাটা দেখা যাচ্ছে না? ঐটায়৷
- তারপর?
- তারপর আর কি৷ ডাকাতি করলো৷ কিন্তু ডাকাতি করার সময় বাসার লোকদের সাথে ওদের কি নিয়ে যেনো ঝামেলা বেঁধে যায়৷ ঐ বাসার এক বৌয়ের কোলে পাঁচ মাস বয়সী একটা বাচ্চা ছিলো৷ এক ডাকাত দা দিয়ে সেই বাচ্চাটাকে কোপ মারে৷
- হায় আল্লাহ!
- না, বাচ্চাটার গায়ে কোপ লাগেনি৷ বাচ্চাটার দাদি কোপটা ঠেকাতে যায়, তখন কোপটা গিয়ে পড়ে দাদির হাতের উপর৷ হাতটা দু'টুকরো হয়ে যায়৷
আমি কিছু বলি না৷ স্তব্ধ হয়ে চেয়ে থাকি৷
- ঈদের পরে ওরা বাসা ছেড়ে চলে গেছে৷
আমি মাথা নাড়ি৷ ওরা কোথায় গেছে জানতে চাই না৷ আমি জানি, আসলে ওদের কোথাও যাওয়ার নেই৷ কোথায় যাবে ওরা? কোথায় আছে তেমন নিরাপদ পৃথিবী?
ঘুরেফিরে ওরা আবার এমনই এক নরকে যাবে৷ অনেক কষ্ট করে সেই নরকে এক স্বর্গ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে৷ তারপর, আবার কোনো এক রূপোরাঙা দুপুরে ওরা দেখবে, তাদের সেই ছোট্ট ঘরে হানা দিয়েছে নরকের কীট৷ নিজেদের বিষাক্ত দাঁত বের করে সেই কীটগুলো ছোবল দিচ্ছে পাঁচ মাস বয়সী ছোট্ট শিশুটির গায়ে৷