somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেলার গল্প

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইমেলায় অবসর প্রকাশনীর স্টলের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলাম৷ মতলব ছিলো হাফিজ আল ফারুকীর “না মানুষ” বইটা দেখা৷ না, কেনা নয়, শুধু দেখা৷ কারণ বই কেনা এখনও শুরু করিনি৷ আপাতত লিস্ট করছি, তারপর একসাথে কিনবো৷ লিস্টে “না মানুষ” বইটা আছে৷ হাফিজ আল ফারুকীর কিছু ছোট গল্প আমি পড়েছি, উপন্যাস এখনও পড়া হয়নি৷ এই লেখক ইদানিং আমার মধ্যে বেশ কৌতুহলের জন্ম দিয়েছেন৷ লেখালেখি করার জন্য সম্প্রতি তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন৷ বাংলাদেশের একজন লেখক লেখালেখির জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন ব্যাপারটা বিস্ময়কর৷

প্রকাশনীর সামনে ঘুরঘুর করতে করতেই হাফিজ আল ফারুকীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো৷
“এই যে হাফিজ ভাই, কি খবর? আপনার বই কই?”
“শাহরিয়ার ভাই? বই তো এখনও আসেনি৷ দশ তারিখে আসবে৷ আপনার বইয়ের খবর কি?”
“আমার বইও এখনো আসেনি৷ কবে আসবে জানি না৷”
বলে আমি হাসতে লাগলাম৷ হাফিজ ভাই আমাকে টানতে টানতে নিয়ে চললেন৷ বললাম, “কোথায় যাচ্ছি?”
“আরে চলেন না৷”

হাফিজ ভাই আমাকে টানতে টানতে অন্বেষার স্টলে নিয়ে ঢুকলেন৷ অন্বেষার স্টলে সুমন্ত আসলাম বসে ছিলেন৷ হাফিজ ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন৷ আমার দিক থেকে অবশ্য পরিচয় করানোর দরকার ছিলো না৷ ২০০৯ এর বইমেলায় সুমন্ত আসলামের সাথে পরিচয় হয়েছিলো৷ তবে উনি দেখলাম সেটা বেমালুম ভুলে গেছেন৷ ভুলে যাওয়াটা অবশ্য স্বাভাবিক৷ আমি হলাম গর্তজীবি মানুষ৷ গর্তের মধ্যে ঢুকে বসে থাকি৷ তাই আমাকে ভুলে যাওয়া সোজা৷ তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার নাম শুনে উনি মনে করতে না পারলেও আমার পুরানো বইয়ের নাম শুনে চিনতে পারলেন৷

অন্বেষার স্টলে আমাকে বসিয়ে রেখে হাফিজ ভাই গায়েব হয়ে গেলেন৷ স্টলে তখন খাওয়া দাওয়া চলছিলো৷ সিঙ্গাড়া আর পিঁয়াজু খেতে খেতে মজার জিনিসটা দেখতে পেলাম৷ বইমেলায় ঘুরঘুর করছি বহুবছর হলো৷ এমন জিনিস এই প্রথম দেখলাম৷

জিনিসটা বলি৷ সেটা হলো একটা লিফলেট৷ অন্বেষা থেকে প্রকাশিত সুমন্ত আসলামের বই “দুর্ধর্ষ পাঁচ গোয়েন্দা” নিয়ে আনন্দ আয়োজন৷

আনন্দ আয়োজন বিষয়টা কি? লিফলেটেই সেটা বিস্তারিত বলা আছে৷ পুরো আয়োজনটা শিশু-কিশোরদের জন্য৷ সুমন্ত আসলামের “দুর্ধর্ষ পাঁচ গোয়েন্দা” বইটা পড়ে লিফলেটের পাঁচটা প্রশ্নের উত্তর লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে অন্বেষার ঠিকানায়৷ সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্যে থেকে লটারীর মাধ্যমে পাঁচজনকে বাছাই করা হবে যারা বাবা-মা সহ কক্সবাজারের “প্রাসাদ প্যারাডাইস” হোটেলে ২ দিন ১ রাত থেকে আসার সুযোগ পাবে৷ সঙ্গে স্পেশাল পুরস্কার এবং লেখকের সাথে আড্ডা৷

অভিনব তো বটেই! অন্তত আমার কাছে৷
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×