গল্পটি ইসলামের সবচাইতে গোপন একটি বিষয় নিয়ে; অধিকাংশ মানুষ যে বিষয়টি সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা রাখেন না। ছোটবেলা থেকে তোতাপাখির মতন মুখস্ত বিদ্যা "একমাত্র ইসলাম দিয়েছে নারীকে সম্মান" বুলি আওড়েই তারা সন্তুষ্ট থাকতে চান। গল্প হলেও ঘটনাটি কিন্তু মোটেও অবাস্তব নয়; এই মুতা বিয়ে পাকা পোক্ত এবং সরকারী ভাবে চালু আছে ইরানে; এই কিছুদিন আগেইতো খবরে ভারতেও মুতা বিয়ের নামে নারী নির্যাতন এবং অধিকার ক্ষুণ্ণের খবর পড়েছিলাম।
লেখাটি লিখেছিলাম মূলত নেটে একটা বিশেষ খবর দেখে। "হালাল বেশ্যালয়" নামের একটা জিনিস নাকি চালু হয়েছে নেদারল্যান্ডে। যেখানে মুতা বিয়ের নামে অনৈতিক যৌনাচারকে হালাল বানানো হয়। মুতা বিয়ে নিয়ে কিছুটা লেখাপড়া করেছিলাম তখন। অবাক হয়েছিলাম খুব খুব; আমাদের ফারাবিরা কিন্তু দাবী করেন যে যুদ্ধ বন্দী বলে ইসলামে কিছু নেই কারন যুদ্ধ বন্দীদের সাথে সংগমের আগে মুতা বিয়ে করিয়ে নেয়া হত তাই যুদ্ধ বন্দী ধর্ষণের সময় তারা সাহাবী-নবীদের স্ত্রী ছিলেন। তাই তাদের যুদ্ধ বন্দী দাসী বলা যাবে না; তাদের সাহাবীদের স্ত্রী কিংবা নবীর স্ত্রী বলতে হবে। কতোটা বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ হলে মুতা বিয়েকে সমর্থন দিতে পারে কেউ সেই চিন্তা করছি। একটি নারীর চোখের সামনে তার স্বামীকে হত্যা করা হল; তারপর নারীটিকে নিয়ে নিজেদের মাঝে লটারি হল। এর পর তার হাতে কিছু টাকা দিয়ে তার সাথে টেস্ট সেক্স করা হল। সেই রাতেই এটা করা হচ্ছে; উপরে পরিশ্রমে ঘামাতে থাকা লোকটাই কিনা তার স্বামীকে হত্যা করেছিল সেদিন দুপুরেই। টেস্ট সেক্সে ভালো লাগলে তাকে চাইলে স্থায়ী স্ত্রী হিসেবে রেখে দেয়া যাবে। এই বিষয়ে মোহাম্মদের কত্রিক সাফিয়া বিন্তে হুয়াই কে বিয়ে করার ঘটনাটা বিশেষ ভাবে মনে পড়ছে। কি আজব এই মুতা বিবাহ। কি আজব এই ইসলাম।
বিশ্বাস হচ্ছেনা যে এটা কোরআনের আইন???
আসুন দেখা যাক কোরআনে মুতা বিবাহ নিয়ে কি লেখা রয়েছে।
কোরান সূরা আন নিসা, আয়াত ৪:২৪
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।
প্রশ্ন উঠতে পারে মুতা বিবাহের জন্য কি পরিমাণ অর্থ লাগতে পারে?
উত্তর পাওয়া যায় এই হাদিসে।
সহিহ্ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ২৩৪৯:
জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন:
আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে আবু বকরের সময় পর্যন্ত। কিন্তু হারিসের ঘটনা শোনার পর উমর এই ধরণের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।
এই হারিসের ঘটনাটা কি সেটা অনেক খুঁজেও কোথাও পেলাম না। সে যাই হোক; কোরআন-মুহাম্মদ যেটাকে হালাল করেছেন সেটা নিষিদ্ধ করার উমর কে???
এক মুঠো আটা??? এটা যে শুধুই মজ মাস্তি করার জন্য একজন বা কিছু পুরুষ কত্রিক ধর্ম গ্রন্থে ঢুকানো হয়েছিলো সেটা বুঝতে অনেক ধর্ম জ্ঞান কিংবা পরিপূর্ণ ব্যাকরণ সহ আরবি জানার দরকার রয়েছে কি ???
বাকিটা পড়ুন এখানেঃ http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=42159