somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন পলক সাহেবের নির্লজ্জতার গল্প

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি রাজনিতিবিদের মধ্যে যে কয়েকজন মানুষ কে খুব বেশি পছন্দ করতাম তাদের মধ্যে জুনাইদ আহমেদ পলক একজন। কারণ তার মধ্যে ছিল পরিছন্নতা এবং দায়বদ্ধতা।

কিন্তু যেদিন থেকে দেখেছি গুতানুগতিক নোংরা রজনিতিবিদের মতো দায়িত্বহীন, অযৌক্তিক, মিথ্যা এবং তেল সমৃদ্ধ কথা বলা এবং কাজ শুরু করেছেন তখন থেকে আর ভালো লাগে না। তবুও ভেবেছিলাম দলের চাপের মুখে অনেক কথাই বলতে হয়, এই বলেই নিজেকে সান্তনা দিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে অনেক নিচে নামাতে থাকেন তার ব্যক্তিত্ব। এই ব্যাপারটা আমার জন্য যতখানি কষ্টের তার থেকেও বড় বিপদের বাংলাদেশের জন্য। আসলেই বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য।

অনেক দলকানা, বিবেকান্ধ, দালাল, বিক্রিত বিবেক ওয়ালাদের আমার কথাটা খারাপ লাগতে পারে। তাই প্রমাণ সংযুক্ত করলাম।

০৮-০১-২০১৯ তারিখ দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে "বাইকে চড়ে প্রথম দিন অফিসে..." শিরোনামে দুইটি ছবি প্রকাশ করেন। সেই ছবিতে দেখা যায় তিনি হেলমেট ছাড়া বাইকে বসে আছেন, যা সুস্পষ্ট শাস্তি যোগ্য অপরাধ এবং তিনি একজন আইন ভঙ্গকারী অপরাধি। তিনি জনগনের প্রশংসা কুড়ানোর যে বুদ্ধি করেছিলেন, সেটার বিপরীত ঘটনা ঘটলো। বরং আইন অমান্য করে। এই পর্যন্ত তেমন কিছু বলার নাই। স্বাভাবিক চিত্র এটা বাংলাদেশের, তবে আইন প্রণেতা এবং রক্ষক হয়ে এমন কাজটা কেমন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রোষানল থেকে মুক্তি পেতে তিনি দের ঘণ্টা পর ০৮-০১-২০১৯ তারিখ দুপুর ৩ টা ০১ মিনিটে পূর্বের দুইটা ছবির সাথে আরেকটি ছবি যুক্ত করলেন। যেটাতে দেখা যাচ্ছে তিনি হেলমেট পরিহিত অবস্থায়। আমার আপত্তি হল এখানেই। কারণ এডিট করা অথবা অন্য কারো অথবা পূর্বের কোন ছবি হতে পারে, সে তর্কে যাচ্ছিনা। কারণ মূল বিষয় হল, উনি মিথ্যাচার করেছেন।

প্রথম দুটি চালকের প্যান্ট নীল রঙের, পড়ে যুক্ত ছবিতে চালকের প্যান্টের রঙ কালো। এই টুকুনই যথেষ্ট প্রমাণ করার জন্য। পরে তিনি নিজেও ধরা খেয়ে একদিন পর ০৯-০১-২০১৯ তারিখ সকাল ৬ টা ২৬ মিনিটে লিখলেন, "তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার জন্য আমি যে বাইকের সাহায্য নিয়েছি, তার কাছে কোনো বাড়তি হেলমেট ছিল না। আর ওটা রাইড শেয়ারিংয়ের বাইকও ছিল না, ব্যক্তিগত বাইক ছিল।"

এখন কথা হচ্ছে তাহলে তৃতীয় ছবিটি কেনো সংযুক্ত করলেন? তিনি পরে যে মন্তব্য করেছেন, সেখানেও অনেক গরমিল আছে, তবে সেদিকে যাচ্ছি না।
অনেকের কাছে ব্যাপারটা নিয়ে এত হৈচৈ করার মতো তেমন কিছু দেখবেন না। তাদের জন্য বলা প্রয়োজন।

এরকম একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি কি করে এত বড় মিথ্যাচার করতে পারে। তিনি যদি প্রথমেই লিখতেন তবে সেটা মন্দের ভালোর দিক থেকে শোভনীয় ও গ্রহণযোগ্য হতো। কিন্তু তিনি সেটা না করে, নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য প্রতারনার আশ্রয় নিলেন। সামান্য পরিমাণ বিবেকে বাধে নাই এই জঘন্য কাজ করতে। বিনা নির্বাচনে দুইবার ক্ষমতা গ্রহণ করা একজন মানুষের পক্ষে এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা।

একজন মানুষ কতটা অনৈতিক হলে এরকম একটা বিষয় নিয়ে এমন করতে পারে। সে যে একজন নোংরা মন মানসিকতার মানুষ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরকম ব্যক্তির দ্বারা জাতি কি পেতে পারে তা সহেজেই অনুমেয়।

বিগতে বছরে কি কি করেছে তার খতিয়ান দিলে শেষ হবে না। আর যাই হোক এদের দ্বারা দেশের কল্যাণ হতে পারে না।

আসলে পলক সাহেবকে কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার উদ্দেশ্য এই সমস্ত ভণ্ড দুর্নীতিবাজ অভিনেতাদের যারা সমর্থন করেন তাদের নিয়ে। এদের দালালি করে কি পেতে পারেন। এদের দালালি করতে গিয়ে নিজেদেকেই ওদের থেকে বড় ভণ্ড বানিয়ে ফেলছেন। আর ওরা এসব ভন্দামি করতে পারে শুধু মাত্র আপনাদের কারণে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সেই সকল সমর্থনকারী জনগনের।

রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে এবং থাকতে হবে। কিন্তু নৈতিক, মানবি্ক এবং অধিকারের জায়গাগুলতে বিবেকবান এবং দাইত্তবান হওয়া অত্যন্ত জরুরী। এর কোন বিকল্প নাই। আর অধিকারের কথা বলতে গেলে কোন ধর্ম, চেতনা বা কোন দলের ট্যাগ দিয়ে কথা বলা ছাড়ুন।

বাংলাদেশকে সুন্দর করা আপনার আমারই দায়িত্ব। অন্য কেউ এসে ঠিক করে দিয়ে যাবে না।




https://web.facebook.com/zapalak/posts/2167884173250128

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×