somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২১ শে ফেব্রুয়ারী

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমাজ জীবন কত, মানুষের পরিবর্তন! সমাজ, সমাজ বলতে, আমরা অল্প সংখ্যক মানুষ স্বচ্ছ ভাবে বুঝে থাকি? হ্যা? হ্যা? হ্যা তাই! আপনি কল্পনা করুন একটি বহুতল বিশিষ্ট টিপটপ ফ্ল্যাট, যেখানে মানুষ একে অপরকে ভাল ভাবে চেনে না। অথচ তারা একই ফ্ল্যাটে থাকে, আর অন্যআন্য ফ্ল্যাট সেটা তো লেখনি সভ্যতা। কিন্তু জেলা ভিত্তিক শহরের ফ্ল্যাটের মানুষ ছাড়া! অন্য দিকে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ বোঝে সমাজ মানে কি? দুর্বলের আধিপত্বের ন্যায়। এই সমাজের মধ্যে আপনি কি পেলেন? এটা কি সমাজ? হ্যা সমাজ। সমাজ জীবন, পাকা দেয়ালে কোণ ঠাসা সমাজের মানুষের মুখের দিকে তাকালে বোঝা যাবে তাদের চোখে মুখে কতটা ক্লান্তি। সুধু টাকার পিছে ছোটা, অনেকের প্রশ্নের অবসানে তা সেটা পরিচিতির উপরে। বাতাসের অপেক্ষা আর ঘুমানোর রাজ্যে থাকা মানুষের চোখে মুখে সুধু সচ্ছলতার আসা নিয়ে বেচে থাকা, যেটা অমাবস্যার চাঁদ। এটা কেমন পরিপূর্ণহীন সমাজ জীবন? সমাজ জীবন কত, একটা ছোট্ট, যেখানে সুধু পাবার নেশা। পাচ্ছি, পেয়েছি সব, যা এই সমাজ চায়? কিন্তু কখনো আমরা ভেবে দেখেছি আমরা কতটুকু দাবীদার যা আমরা দাবী করি? কিন্তু আসার বেশি চায়না সেই, যে চোখে মুখে সুধু সচ্ছলতার আসা নিয়ে বেচে আছে, থেকেছে। সমাজ জীবন কত, মানুষের। এটা যেমন বোঝার কোন অবকাশ নেই, তেমন সমাজ জীবন কত মানুষের, সেটার বাত্তবায়ন করতে না পারলেও বাস্তবায়িত কে সম্মান জানানো প্রয়োজন । যা আজ আমাদের সভ্য সেজে থাকা মানুষের নিতির বাহিরে। সমাজ জীবন কত, মানুষের পরিবর্তন! হ্যা সত্যিই তাই। আজ একুশে ফেব্রুয়ারী, যা আমাদের বাংলা ভাষা যার মধ্যে বিদ্যমান ‘ফেব্রুয়ারী’ বাংলাটা কত তা প্রতি একশত জনে একজন পারবেনা! এর বেশির মধ্যে খুজতে হবে। এটা মেনে নিতে হবে, মেনে নিতে হবে কারণ এটা এখন সমস্থ বিশ্ব পালন করছে এইবাংলার ন্যায়! মুখ্য কারন সমাজ জীবন কত, মানুষের পরিবর্তন! আমরা যারা আজ রাত বারটা হতে শহীদদের সম্মান যানাতে এসেছি তারা সাবাই প্রায় শিক্ষিত, হয়তো একশ জনে একজন ব্যতিত। এখানে কিন্তু আসেনি সে, যার চোখে মুখে সুধু সচ্ছলতার আসা নিয়ে বেচে থাকা! আপনিকি ভেবে দেখেছেন প্রতি একশ জন মানুষের মধ্যে কত জন মানুষ এই বাংলা ভাষা ছাড়া ভাব প্রকাশ করতে পারবে, যারা আমরা এসেছি শহীদদের সম্মান যানাতে? নিশ্চয় একশ জনে এক জন নয়! কিন্তু সেই মানুষটি একলাইন ও পারবেনা, যার চোখে মুখে সুধু সচ্ছলতার আসা নিয়ে বেচে থাকা। আজ সে আসেনি! সে এখন ঘুমের রাজ্যে কারন সচ্ছলতার আসা, প্রতি সকালের ন্যায় সকালে হাত ধরে ডাক দেবে। আজ আমরা শহীদদের সম্মান যানাতে যারা এসেছি তাদের সকলের হাতেই প্রায় ফুল। মুখে প্রতি একশ জনে হয়তো একজন ব্যতিত সবার মুখের ছাপ শ্রদ্ধাহীন! আজকের এই দিনে আমাদের কাকে মনে পড়ে? এটা একশ জন মানুষের মধ্যে একশ জনই যানে যারা এই দিন টিকে চেনে। কিন্তু আমি শুনি তাদের কথা যারা আজ এই রাজনৈতিক পেক্ষাপট সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছেন, শতভাগ তাদের কথা। এর মধ্যে নেই আমাদের শহীদদের সম্মানোনা। আছে সংবাদ মাধ্যমে যা সেই চোখে মুখে সুধু সচ্ছলতার আসা নিয়ে বেচে থাকা মানুষটার কাছে পৌছানো চেষ্টা। কারণ সে তো দেখেনি প্রতিটি ছাত্র রাজনৈতিক দের মিছিলের শ্লোগান। তাদের মুখের সম্মানোনা। তাদের পায়ের কেডস। টাকায় কেনা বাৎসরিক এই একদিনের পোশাক। আর সকালে শিশুদের সাথে কয়এক জনের খালি পায়ে হাটা। আর প্রকৃত খালি পায়ে তো তারা, যাদের চোখে মুখে সুধু সচ্ছলতার আসা নিয়ে বেচে থাকা। আপনিই বলুন সমাজ জীবন কত, মানুষের পরিবর্তন? ওরা বলতে পারবে না যাদের চোখে মুখে সুধু সচ্ছলতার আসা নিয়ে বেচে থাকা। আর যাদের জন্য এই লেখা, এই শহীদ।
২১,০২,২০১১
৩.৩৪.০০ মি: (রাত)।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×