somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোন পেশায় কত টাকা ইনকাম আর কীভাবে কী করা যায়??? :-B

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




পোস্টের শিরোনাম দেখে ভাববেন না আমি সবজান্তা শমসের আর আমি সে ঐতিহাসিক আলাদীনের চেরাগ নিয়ে এসেছি। একটা পোস্ট পড়ে আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে যাওয়াতে মনে হল, আমি আমার মতামত টা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তবে এটা খুব ই একঘেয়ে পোস্ট হতে পারে অনেকের জন্যে! স্পয়লার এলার্ট!! :-B

আমাদের দেশের সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা দিয়ে শুরু করি।

শিক্ষা ব্যবস্থা!!

একটা প্রচলিত ধারণা আছে, যাদের অন্য কোনও চাকরি বা ব্যবসা করার বা অন্য কোনও কাজে লাগার মত স্কিল ভিত্তিক কিছু করার সুযোগ নেই, তারাই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। এই ধরণের অভিযোগের পেছনে সত্যতা খুঁজতে গেলে বেশি দূরে যেতে হবে না, শুধু কেবল আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন তাদের দিকে একটু তাকিয়ে দেখুন। আমি হলফ করে বলতে পারি যাদের মধ্যে অন্তত ৪০-৫০ ভাগ আছেন যাদের আসলেই আরও উন্নত প্রশিক্ষণ ছাড়া ক্লাসে যেয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়ানো উচিত না। বাকিটা আপনারাই বলবেন ...

চিকিৎসা ব্যবস্থা!!!

এটা আমার কাছে সবসময়েই মনে হয়েছে যে আমাদের দেশের ডাক্তারগণ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় স্কিলফুল, কিন্তু আমাদের অভাব শুধু উন্নত প্রযুক্তি আর যন্ত্রপাতি আর গবেষণা সুবিধা। কিন্তু, আমার সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটল যখন দেখলাম মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন আউট হচ্ছে এবং তারাই মোটা দাগে ভালো প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজগুলোতে সুযোগ পাচ্ছে যারা টাকার জোরে প্রশ্ন কিনে নিতে পারছে। প্রকৃত মেধাবীরা আর ধারে কাছে আসতে পারছে না!! /:)

বিজ্ঞান ও গবেষণা!!

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা র‍্যাঙ্কিং পেয়েছিলাম (সঙ্গত কারণেই নামটা উল্লেখ করছি না), যেখানে কয়েকটা বিভাগের ওপর ভিত্তি করে মার্ক করা হয়েছিল তারপরে কম্বাইন করে পুরো রেজাল্ট পাবলিশ করা হয়েছিল। আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কোর ছিল ২০ এ ১৯.৫ আর মৌলিক রিসার্চ ও রিসার্চ পেপার প্রকাশনায় ছিল ০.২। জি, ০.২ আউট অফ ২০! অবাক হবেন না আমাদের র‍্যাঙ্কিং তারপরেও ঐ বছরে সারা দুনিয়াতে ৬০০-১০০০ এর মধ্যে ছিল। কি সেলিব্রেশনের জন্যে তো অন্তত একটা পয়েন্ট পাওয়া গেল নাকি? কী বলেন আপনারা??? !:#P

সাংবাদিকতা !!

এইটা নিয়ে আমি কিছু লিখব না, কারণ যা লেখার তা এখানেই আছে।


এর বাইরে আরও কিছু স্পর্শকাতর পেশা আছে, যেখানে সবার যাওয়া উচিত না বলে আমার বিশ্বাস-

১। নেতৃস্থানীয় অবস্থানে থাকা ব্যক্তিবর্গ (যাদের ওপরে গণমানুষের ভালো মন্দ নির্ভর করে)
২। বিচারকবর্গ
৩। স্বর্ণ বা মুল্যবান ধাতুর ব্যবসা যারা করেন (যেখানে সহজে ভেজাল মেশানোর সুযোগ আছে এবং সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারবে না)
৪। ধর্মীয় উপাসনালয়ের প্রধান (ইমাম, পুরোহিত, বিশপ) ইত্যাদি পেশাসমূহ।

সাংবাদিকতা নিয়ে সোহানী এর লেখাটা থেকেই এই লেখার সূচনা আমার। ধন্যবাদ উনাকে নিরন্তর। উনার লেখাটার লিঙ্ক উপরেই দেয়া আছে। একজন দায়িত্ব জ্ঞানহীন পেশাজীবী কতখানি ভয়ঙ্কর তার একটা মাত্র ছোট্ট উদাহরণ সেটা।

ঐ পোস্টে আমিএকটা কমেন্ট করেছি, যেটা আমি নিচে হুবহু তুলে দিচ্ছি --

প্রতিটা মানুষেরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। খুব কম মানুষই পারে সকল ধরণের সীমাবদ্ধতাকে ঠেলে সরিয়ে সামনে এগোতে। এইটা বলার কারণ হচ্ছে, কিছু পেশায় আপনি নিজে থাকলেও, আপনার ওপরে অন্য অনেক মানুষের জীবন মরণ নিরভর করে। তাই, জীবিকা অরজন আপনার মুল লক্ষ্য হলেও পেশা নির্ধারণে বা বাছাই করার সময়ে সতর্ক হোন। আপনি যে দায়িতবনিতে পারবেন না সেই দায়িত্বকে শুধু জীবিকার তাগিদে পেশা হিসেবে না নেয়াই ভালো।

ধন্যবাদ!


সেকারণেই আবারো বলি আপনি জীবিকার তাগিদে একটা পেশা বেছে নিলেন, কিন্তু ভেবে দেখুন আপনি আসলেই সেই পেশার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছেন কিনা বা আপনার সামান্য একটা ভুল বা অসাবধানতা পুরো একটা বড় জনপদের উপরে কী রকম ইফেক্ট ফেলতে পারে!!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×