আমিতো ছড়া লিখতাম- ছড়া লিখতেই খুব ভালোবাসতাম; যেটা বলার সাথে সাথে সবাই বুঝবে- যেখান থেকে শুধু আনন্দই পাওয়া যাবে- বেদনা্র কোন ছায়া থাকবে না।
জীবনে প্রথম যেদিন বুঝার আগ্রহ নিয়ে এক বড় ভাইয়ের ‘হিরন্ময় সুখ’ শিরোনামের কবিতা শুনে আগা- গোড়া পুরোটাই না বুঝতে পেরে বোকার মত তাকিয়েছিলাম- সেদিন থেকেই ভাবতাম কবিতার দরকার নেই; যেটা সাধারণ মানুষ বুঝে না সেটার কি দরকার?
কিন্তু ধীরে ধীরে যখন শৈশবের হাসি- আনন্দের স্মৃতির চাদর জড়িয়ে কৈশরেরে দিকে পা বাড়ালাম, আর স্বপ্ন গুলোকে বড় করার জন্য উদ্যোগী হলাম- এবং কিছুটা হতাশ হতে থাকলাম; তখন থেকে আমার মুখের আনন্দ ধীরে ধীরে নিভে যেতে থাকলো এবং কন্ঠে রুদ্ধ হয়ে কিছু বেদনার আলিঙ্গন অনুভব করলো তখন থেকে আমার ছড়া- ছন্দের ভাষারা দূরবোদ্ধতার আবরণে নিজেদেরকে ঢাকতে থাকলো।
যখন আরো সামনে এগুলাম তখন ছড়াকে প্রায় হারিয়েই ফেলেছি...
বাঁ পাঁজরের নীচ থেকে জমাট রক্তের ক্ষরিত ফোঁটায়.. ফোঁটায়... তৈরী হতে লাগলো কিছু শব্দ; আমি জাানি না- কি, কেন, কিসের জন্য বা কার জন্য এসব লাল টকটকে হরফের সমাহার...