
আফগানিস্তানের তালেবান তাদের ইউনিভার্সিটিগুলাতে নারীদের লেখা সকল বই নিষিদ্ধ করছে।
তালেবানরা বলছে মানবাধিকার শিক্ষা বন্ধ, যৌন হয়রানি বিষয়ক শিক্ষাও বন্ধ। তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক বলছে, ধর্মীয় আলেম ও বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিছে।
ঠিকই তো! মেয়েদের আবার মানবাধিকার কি! আর মেয়ে বিষয়টাই তো যৌনতার! তাইলে তাদের আবার যৌন হয়রানি হয় নাকি!
মহান তালেবানরা খেয়াল করে দেখছে, ইউনিভার্সিটিগুলাতে যে ৬৮০টি বই পড়ায়, তাদের ১৪০টাই নারীদের লেখা!
হায় হায়! এগ্লা বই তো শরিয়ত ও তালেবান-নীতির পরিপন্থি!
এখন থেকে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, দ্য রোল অব উইমেন ইন কমিউনিকেশন এবং উইমেন’স সোসিওলজিসহ ১৮টা বিষয় পড়ানো হারাম।
কারণ এগ্লা বিষয় নারীর সঙ্গে সম্পর্কিত। নারী হলো ঘরের জিনিস। সে ঘরে থাকবে, রান্নাবাড়া করবে, স্বামীর সেবা করবে, বাচ্চা-কাচ্চা জন্ম দিবে আর বড় করবে— তার আবার লেখাপড়া কি!
অবশ্য এমনিতেও তালেবানরা ক্লাস সিক্সের পর মেয়েদের লেখাপড়া নিষিদ্ধ করে দিছে। কিন্তু কলিকালের হলেও একটা সীমা থাকবে তো, নাকি!
আহা! সীমা! কত সৌন্দর্য নাম! মেয়েটা না জানি কত সৌন্দর্য! সৌন্দর্য হলে সীমা মেয়েটারে বিবি বানানো যাইতে পারে।
সীমার জন্যে আপনারও আনচান লাগতেছে। তাইলে নারায়ে তাকবির বলে একটা চিক্কুর দিয়ে স্লোগান ধরেন—
'আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান'।
কবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবাল বলেছেন, 'হে খোদা! যে বেহেশত বানিয়েছ ওটা মোল্লাদেরকে দিয়ে দাও। আমি বেহেশত চাই না; শুধু তোমার রহস্যের মাঝে ডুবে থাকতে চাই।'
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


