অনার্স লাইফে ভর্তির প্রথম দিন, যে মেয়েটিকে প্রথম দেখেছিলাম|
সে তুমি|
আমরা কয়জন বন্ধু রসায়ন বিভাগের অফিসের সামনে দাড়িয়েছিলাম,ভর্তি ফরম জমা দেওয়ার জন্য|
তুমি হঠাৎ করেই কোথা থেকে এসে যেন,
আমাদের আগেই ভর্তি হয়ে গেলে|
তখনি দেখলাম, তোমাকে|
সহজ সরল একটা মেয়ে,চোখে চশমা,মায়াবী একখানা মুখ,চুলগুলো ছড়ানো|আড়ঁচোখে ফরমে তোমার নামটাও দেখলাম|
তুমি ভর্তি হয়ে চলে গেলে|
আমিও ভর্তি হলাম একই বিভাগে|
কয়েকদিন পরে নবীন বরন অনুষ্ঠান হল|
আবারও খুজে পেলাম তোমাকে|
নবীন বরনে তুমি রম্য বির্তকে অংশগ্রহন করলে| আমিও বির্তকে অংশগ্রহন করলাম,
তোমাদের দলের বিপহ্মে|
তার পর থেকেই নিয়মিত ক্লাশ শুরু হয়ে গেল বিভাগে|
প্রতিদিনই তোমাকে দেখতাম ক্লাশে|
সেটা সবসময় দুর থেকে|
আমি বরাবরই লাজুক ছেলে|
কখনো কাছ গিয়ে কথা বলার সাহস পেতাম না|
মাঝে মাঝে তোমার সাথে হঠাৎ করে কথা হতো।কেমন আছ?
ভাল আছি|
এই টুকুই|
আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম লেখাপড়া ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়ে|
এভাবেই চলছিল দিনগুলো|
দেখতে দেখতে অনার্স লাইফ প্রায় শেষের দিকে|
কখনো বলা হয়নি,হ্মনিকের দেখা ভাললাগার কথা|
কেন যে বলা হয়নি,
তাও জানিনা|
হয়তো অনেক বেশী ভয় হতো|
যদি তুমি হারিয়ে যাও, আমাকে ভুল বোঝ|
তখন হয়তো,
দুর থেকেও তোমাকে দেখতে পারব না| আমি এরকমই,কাউকে মনের কথা খুলে বলতে পারি না| মেয়েদের দেখলেই,হাতে পায়ে কাপুনি জ্বর চলে আসে|
আর হয়তো কখনো বলাও হবে না|
সময়টাও অনেক বদলে গেছে|
সময়ের স্রোতে আমিও বদলে গেছি|
এখন আর আগের মতো, তোমাকে মনে পড়েনা| কিভাবে যে আমার মনটা বদলে গেল,বুঝতেই পারলাম না|
কখনো ক্লাশের সামনে বা রাস্তায় দেখা হলে|
শুধু মনে পড়ে,
প্রথম দিনের কথা|
কি ক্রাশটাই না খেয়েছিলাম তোমাকে দেখে।
কেউ হয়তো,কখনো জানবে না|
ঠিক তুমিও না|
যদি কখনো জেনেও যাও| কি মনে করবে তাও জানি না|
তুমি সুন্দরী, সুশ্রী মেয়ে,
তোমাকে দেখে অনেকেই ক্রাশ খেতে পারে।
আমার মত দু একটা ছেলে, তোমাকে দেখে ক্রাশ খেলে।তোমার কিছু আসে যায় না|
তবুও বলবো,
ভাল থেকো তুমি,
যেখানেই থাকো|
আমি যতদিন ক্যাম্পাসে আছি,ততদিন না হয় তোমাকে দুর থেকেই দেখে যাব|
সুপ্ত ভাল লাগা,সুপ্তই থাক| সুপ্ত মনের মানুষ তুমি, সুপ্তই থাকো|
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৫২