বাংলাদেশেও এরকম একদল আছে,যারা সৌদির সাথে সাথে রোযা রাখে আর ঈদ করে।কিসের ভিত্তিতে এরকম করে বুঝিনা,তারা কি সালাতও পড়ে সৌদির সময়সূচী অনুযায়ী?
রোযা রাখা আর ঈদ করা হবে নিজ নিজ স্থানের চাঁদ দেখা অনুযায়
এ ব্যাপারে আরো ভালোভাবে জানতে চাই।তবে অবশ্যই কুরআন-হাদিসের আলোকে।কুরআন-হাদিসে সুস্পষ্ট ভাবে যা আছে ত
"হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বলেন,একবার রাসুল (স) রমাদান মাসের বিষয়ে আলোচনা করলেন।এক পর্যায়ে তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বললেন,তোমরা রমাদানের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা রেখোনা।আবার পরবতর্ী শাওয়াল মাসের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা ছেড়োনা।আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় যদি চাঁদ তোমাদের দৃষ্টির আড়ালে থাকে,তবে শাবান মাসের দিনগুলো গননা করবে। অপর এক বর্ণনায় এসেছে,যদি চাঁদ তোমাদের দৃষ্টির আড়ালে থাকে তবে শাবান মাসের পূর্ণ ত্রিশ দিন হিসাব করে নিবে।-সহীহ বুখারী ও মুসলিম"
তাই চাঁদ না দেখে রোযা রাখা বা ঈদ করা সঠিক হবেনা।
সাধারণত একমাসের হাটা পথের দূরত্বে চাঁদ উঠার স্থান ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
তাই একমাসের হাটা পথের দূরত্বের দুই দেশের জন্য একদেশের চাঁদ দেখা দ্্বারা অন্য দেশের রোযা রাখা বা ঈদ করা বৈধ হবেনা।
হযরত কুরাইব (রা) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,উম্মুল ফযল বিনতে হারেস (রা) তাঁকে সিরিয়ার গভর্নর আমীরে মুয়াবিয়ার নিকট বিশেষ একটি কাজে প্রেরণ করেন।তিনি বলেন, আমি আমি সিরিয়ায় আগমন করলাম এবং এসে উম্মুল ফযলের অর্পিত দায়িত্ব পালন করলাম।আমি তথায় অবস্থানকালে রমাদানের চাঁদ উদিত হয়।শুক্রবার রাতে আমরা আমি নিজেও চাঁদ দেখলাম।ফলে সিরিয়ার লোকজন সবাই রোযা রাখতে শুরু করল।
বর্ণনাকারী হযরত কুরাইব (রা) বলেন,রমাদানের শেষ দিবসে আমি আমি মদিনায় ফিরে আসলাম। মদিনায় আসার পর মদিনার গভর্নর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) আমাকে তার মা উম্মে ফযল (রা) এর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন।আমি আমার দায়িত্ব পালনের প্রতিবেদন পেশ করলাম।এক পযর্ায়ে রমাদানের চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা হল।ইবনে আব্বাস (রা) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,তোমরা সিরিয়াতে কখন রমাদানের চাঁদ দেখেছো?উত্তরে আমি বললাম,আমরা সিরিয়াতে আমরা সিরিয়াতে শুক্রবারে রমাদানের চাঁদ দেখেছি।তিনি জিজ্ঞেস করলেন,তুমি নিজে দেথেছো কিনা?আমি বললাম ,হা,আমি নিজে দেখেছিএবং অন্যান্য লোকজনও দেখেছে।হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রা) এবং অপরাপর লোকজন শনিবার থেকে রোযা রেখেছে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বললেন,আমরা শনিবার চাঁদ দেখেছি।কাজেই আমরা শাবান মাস 30দিন পূর্ণ করা ছাড়া অথবা চাঁদ দেখা ছাড়া রোযা রাখতে পারি না।আমি কুরাইব বললাম,হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রা) এবং তাঁর রোযা রাখা যথেষ্ট হবে কিনা? উত্তরে ইবনে আব্বাস (রা) বললেন,না।রাসুল (স) আমাদেরকে এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন,আমরা যেন চাঁদ দেখা ছাড়া রোযা না রাখি বা না ছাড়ি।-সহিহ মুসলিম"