পাখি পোষার ব্যাপারে একটা আইডিয়া পেয়েছিলাম তিন গোয়েন্দার একটা গল্প থেকে।
এক পাখি বিশেষজ্ঞ তার বিশাল বাগানকে এক অদ্ভুত উপায়ে বার্ড গার্ডেনে পরিণত করেন।তিনি প্রথমে পাখি কিনে নিয়ে এসে কিছুদিন খাঁচায় রেখে পোষেন তারপর ছেড়ে দেন।পাখিগুলো গাছপালা সমৃদ্ধ বাগান পেয়ে আর কোথাও যেতনা।এভাবে হাজার হাজার পাখির কলকাকলিতে তার বাগান মুখরিত হয়ে ওঠে।
তখন থেকেই এভাবে পাখি পোষার একটা স্বপ্ন নিজের মধ্যে লালন করছি।যদিও জানি সে আশায় আসলে গুড়ে বালি।
এতো ভুমিকা আসলে একটি পাখির জন্য।আমার ভাগি্নর ময়না পাখি 'নেতেরতুয়া'।হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের 'মনিং স্টার' এর প্রধান নারী চরিত্র 'নেতেরতুয়া' থেকে তার নামকরণ।আমরা ছোট করে বলি 'তুয়া'।
তুয়া খুব সুন্দর করে কথা বলা শিখেছিল।সালাম দেয়া থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কথা সে নিজের মনে বলতেই থাকতো।দিনের বেলা গলা ছেড়ে গান গাইতো।আর রাতের বেলা হয়ে যেত ধ্যান-গম্ভির সাধক।রাতের বেলা তার খাঁচা মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হত।রাত বলে কথা,আলোর অত্যাচার কি সহ্য করা যায়?
কিন্তু হঠাৎ একদিন ভয়ানক অসুখে পরলো তুয়া।সমস্ত কথা,গান অফ হয়ে গেল।নিজর্ীব হতে হতে একসময় দেখা গেল চুপচাপ চোখ বন্ধ করে পরে থাকাই তার কাজ।এভাবে ছিল দুই থেকে তিন সপ্তাহ।এখন তুয়া সুস্থ তবে আগের সব কথা ভুলে গেছে। নতুন করে আবার শিখছে।
আমি জানিনা 'তুয়া'দের আমার কেন এতো ভালো লাগে।শুধু রংবেরঙের তুয়া দেখে চোখের সাধ মেটাতে ইচ্ছে করে।ওদের গান শুনে কানকে শান্তি দিতে ইচ্ছে করে।কিন্তু ওরা যে থাকে সবুজের আড়ালে।তারপরও ওরা সবসময় ভালো থাকুক এই কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৫৭