somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুয়া'দের কথা

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার কখনই খাঁচায় পাখি পোষার শখ ছিলনা।ব্যাপারটা কেমন যেন অমানবিক।আমার যেমন স্বাধীন থাকতে ইচ্ছে করে তেমন তো ওদেরও করে।তবে পাখি খুব ভালো লাগে ।বাসা থেকে যখন চোখ গেল পাখির 'চোখ গেল চোখ গেল' গান শুনি তখন নিজের অজান্তেই আবৃত্তি করি 'চোখ গেল চোখ গেল ,চোখ গেল পাখি,আমার মত তোরও কি চোখ উঠেছে নাকি,মাকে বল নুন জল দিতে ফোঁটা ফোঁটা ,আমি জানি কতখানি উপকারী ওটা।'

পাখি পোষার ব্যাপারে একটা আইডিয়া পেয়েছিলাম তিন গোয়েন্দার একটা গল্প থেকে।
এক পাখি বিশেষজ্ঞ তার বিশাল বাগানকে এক অদ্ভুত উপায়ে বার্ড গার্ডেনে পরিণত করেন।তিনি প্রথমে পাখি কিনে নিয়ে এসে কিছুদিন খাঁচায় রেখে পোষেন তারপর ছেড়ে দেন।পাখিগুলো গাছপালা সমৃদ্ধ বাগান পেয়ে আর কোথাও যেতনা।এভাবে হাজার হাজার পাখির কলকাকলিতে তার বাগান মুখরিত হয়ে ওঠে।
তখন থেকেই এভাবে পাখি পোষার একটা স্বপ্ন নিজের মধ্যে লালন করছি।যদিও জানি সে আশায় আসলে গুড়ে বালি।

এতো ভুমিকা আসলে একটি পাখির জন্য।আমার ভাগি্নর ময়না পাখি 'নেতেরতুয়া'।হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের 'মনিং স্টার' এর প্রধান নারী চরিত্র 'নেতেরতুয়া' থেকে তার নামকরণ।আমরা ছোট করে বলি 'তুয়া'।
তুয়া খুব সুন্দর করে কথা বলা শিখেছিল।সালাম দেয়া থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কথা সে নিজের মনে বলতেই থাকতো।দিনের বেলা গলা ছেড়ে গান গাইতো।আর রাতের বেলা হয়ে যেত ধ্যান-গম্ভির সাধক।রাতের বেলা তার খাঁচা মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হত।রাত বলে কথা,আলোর অত্যাচার কি সহ্য করা যায়?
কিন্তু হঠাৎ একদিন ভয়ানক অসুখে পরলো তুয়া।সমস্ত কথা,গান অফ হয়ে গেল।নিজর্ীব হতে হতে একসময় দেখা গেল চুপচাপ চোখ বন্ধ করে পরে থাকাই তার কাজ।এভাবে ছিল দুই থেকে তিন সপ্তাহ।এখন তুয়া সুস্থ তবে আগের সব কথা ভুলে গেছে। নতুন করে আবার শিখছে।

আমি জানিনা 'তুয়া'দের আমার কেন এতো ভালো লাগে।শুধু রংবেরঙের তুয়া দেখে চোখের সাধ মেটাতে ইচ্ছে করে।ওদের গান শুনে কানকে শান্তি দিতে ইচ্ছে করে।কিন্তু ওরা যে থাকে সবুজের আড়ালে।তারপরও ওরা সবসময় ভালো থাকুক এই কামনা করি।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৫৭
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৭১

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬



মানুষ দুনিয়াতে ন্যাংটা আসে।
ধীরে ধীরে বড় হয়। যোগ্যতা দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করে। তারপর ইনকাম শুরু করে। সমাজের বহু মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যারা সাহাবা নন তাঁরা রাসূলের (সা.) অনুসরনের জন্য সাহাবার (রা.) অনুসরন না করে আমিরের অনুসরন করলে সঠিক পথে থাকবেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হকারের পেটে লাথি দাও, নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা ফেরাও

লিখেছেন মিশু মিলন, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪১




ঢাকার ফুটপাত আমি থেকে কোনো কিছু কিনি না। এটা আমার এক ধরনের প্রতিবাদ। কারণ, এই হকাররা আমার স্বস্তিতে ও নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আমি হাঁটতে পছন্দ... ...বাকিটুকু পড়ুন

হত্যাকাণ্ড বন্ধে কেন ম্যাজিক জানা জরুরি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৪


জাতি হিসাবে আমরা বড়োই অভাগা। ইতিহাসের মঞ্চে রাজা বদল হয়, কিন্তু চিত্রনাট্য বদল হয় না। এক রাজা যায়, আরেক রাজা আসে; কিন্তু পর্দার পেছনের কলকাঠি নাড়া সেই একই হাত।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লন্ডনের ত্রয়োদশ বইমেলা এবং সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ শেষ পর্ব

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৪৯



সেপ্টেম্বর চৌদ্দ তারিখ লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে বই মেলা ও সংস্কৃতি উৎসব। অনুষ্ঠিত হবে লন্ডনের ব্রিক লেন অবস্থিত রিপ্লেইনে অবস্থিত ব্র্যান্ডি সেন্টারে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন শুরু হবে বেলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×