somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বীচি ওয়ালা বেগুনের চুলকানী

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বীচিওয়ালা বেগুনের
চুলকানী
২০১৩-০৪-১২ ১৪:৫৯:৫০
গোলাম মওলা রনি :
বীচি শব্দটি নিয়ে আমার
অভিজ্ঞতা ভালো না। গ্রাম
গঞ্জে দেখেছি পুরুষ
মানুষেরা বীচি শব্দ শুনলে রাগ
করেন। এক বয়স্ক মহিলার নিকট এক যুবক
এসে বললো ও ভাবী সিমের
বীচি আছে? শুনেই মহিলা ঝাড়–
নিয়ে তেড়ে এলেন।
শৈশবে দেখা এসব
স্মৃতি এখনো মনে পড়ে, মজা পাই।
কিন্তু কেনো পাই তা জানি না।
সম্প্রতি ফেইসবুকের একটি কমেন্ট
নিয়ে জনৈক তরুণ বন্ধু আমার
উদ্দেশ্যে বললেন, মনে হয়
ইদানিং আপনি বেশী বেশী বীচিওয়ালা বেগুন
খাচ্ছেন, তাই সারা শরীর বড্ড
চুলকাচ্ছে! সর্বনাশ!
ঘরে কথা পরে জানলো ক্যামনে!
আমি যে জন্ম থেকেই বেগুন
ভালবাসি এবং হয়তো একারণে আমার
শরীর একটু এলার্জির ভাব আছে।
তা বন্ধুটি জানলেন ক্যামনে?
শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে আমার দেহ মন
বন্ধুটির পানে এমন ভাবে নতজানু
হলো যেমনটি বাম ঘরনোর
রাজনীতিবীদগণ সরকারের
দিকে ঝুঁকেছে।
কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আমার বক্তব্য
মাঝে মধ্যে আলোচনায আসে।
সমালোচনাও হয় বিস্তর। বিশেষ
করে আমার দলের কট্ররপন্থী বঙ্গবন্ধু
প্রেমিক যারা পচাত্তরের ১৫ই
আগষ্টের পর ইদুঁরের
গর্তে লুকিয়েছিলেন তারাই এখন
সিংহ গলায় হুকার ছাড়েন-তুই
কে রে! শিবির নাকি!
আমি হাসি-অন্যান্য নির্বোধের
মতো আমারও প্রচন্ড হাসি পায়
প্রায় সব সময়-কি অসভ্য কান্ড
কারখানা বলুনতো! আমাকে শিবির
বলে আর আমি হাসি।
অভিযোগকারীগণ বলেন,
রনি তো শিবির
করতো ছ্ত্রা জীবনে, নেত্রী ভুল
করে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
যেহেতু
সরাসরি তারা নেত্রীকে দায়ী করেন
তাই আমি আর আত্মপক্ষ সমর্থন
করে নিজের অবস্থান
ব্যাখা করি না। এভাবেই চলছে গত
৪টি বছর ।
এবার বীচিওয়ালা বেগুনের
চুলকানী প্রসঙ্গে আসি। আমার
যে কোনো এতো চুলকায়
বুঝতে পারি না।
আমি কি ভবিষ্যতে এই দল
ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করবো,
নাকি অন্য দলে এজেন্ট হয়ে এ
দলে কাজ
করছি এনিয়ে অনেকে চালাচ্ছে নিরন্তর
গবেষনা। আমার
মতো যারা বোকা তারা আবার
মাঝে মধ্যেই হঠাৎ করেই পক্ষ
নিয়ে কিছু কথা বলেন। তাদের
বক্তব্য কেউ যদি এজেন্ট
হয়ে আসে সেতো কোনো দিন
কারো সঙ্গে বিরোধ করে না।
বরং ঘাপটি মেরে মহাবন্ধু
সেজে সর্বনাশ করে তারপর
চলে যায় ঠিক সময়মতো।
অন্যদিকে একজন সাধারণ
মোটা বুদ্ধির মানুষও
বোঝে তেলবাজি না করলে পদ
পদবী ও নমিনেশন কিছুই মিলবে না।
তারপরও কেউ যদি দলের
সমালোচনা করে তবে ধরে নিতে হয়
সমালোচনাকারী স্বার্থের
দিকটি উপেক্ষা করেই সবকিছু
করছে কেবল মাত্র মঙ্গলার্থে।
আজ মনে পড়ছে জাতীয়
সংসদে প্রদত্ত আমার একটি ভাষনের
ইতিবৃত্ত নিয়ে। জামাত ইসলামীর
ইতিহাস
নিয়ে পর্যালোচনা করেছিলাম
পনের মিনিট ধরে। তাও আবার
কোরান হাদিসের আলোকে। চার
বছর আগের কথা। তখনো আমার বদনাম
হয়নি বা কেউ
বলেননি যে আমি শিবির করি। ধন্য
ধন্য রব পড়ে গেলো সংসদে।
সিনিয়র সব নেতাই পরম মমতায়
অভিনন্দন জানালেন। স্পিকারের
চেয়ারে বসা ছিলেন প্যানেল
স্পিকার বর্ষীয়ান
পার্লামেন্টেরিয়ান জনাব
ছায়েদুল হক। অধিবেশন
শেষে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেনÑবাবা তোমার
বক্তব্য শুনে আমি মুগ্ধ। যে সাহস
নিয়ে তুমি জামাত শিবিরের
আঁতে ঘা মারলে তা আমরা কেউ
করিনি। তোমাকে নিয়ে আমার ভয়
হয়। কারণ আওয়ামী লীগ
মেধাকে ইতিপূর্বে ধারণ
করে রাখতে পারেনি। মোস্তাক,
তাহের উদ্দিন
ঠাকুরেরা কিভাবে দলের
মেধাবীদেরকে বঙ্গবন্ধুর নিকট
থেকে আলাদা করে রেখেছিলো সেই
দৃশ্য আমি নিজে দেখেছি।
এরপর চারটি বছর চলে গেলো।
আমি শুধু দলের
নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গের
চক্ষুশ্যুল হতে থাকলাম অবিরতভাবে।
কেউ একবার
আমাকে বুঝিয়ে বললো না কেনো তারা বিরক্ত।
অন্য দিকে আমার নির্বোধ মস্তিস্ক
ও আমাকে বলছে না যে আমি ভুল
করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে নিত্যকার
ঘটনা আমাকে আরো হতাসার
দিকে টেনে নিয়ে যায়। শরীর ও
মনে অনুভব করি ভীষন চুলকানী। এই
যেমন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর
রহমানের গ্রেফতারের ঘটনা আমার
শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করেছে।
কোনো বীচিওয়ালা বেগুন
আমি খাইনি গত একমাসেও। তারপরও
চুলকাচ্ছে। তাই বিকারগ্রস্থ
হয়ে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন করছি-
কাজটা কি ঠিক হলো??

http://dnewsbd.com/single.php?id=26579
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×