চাওয়া এটুকুই
গভীর রাত্রে ঝির বৃষ্টি কিংবা
পার্কের বেঞ্চিতে ভর দুপুরে ঘুম;
বটতলা ছড়িয়ে শিকড় ,
দীপশিখায় নিলাভ- হলুদের উত্তাপ
নলখাগড়া বনে ঘাসফড়িং খোঁজে,
বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস,আর আবারও
ফিরে পেতে দুরন্ত কৈশোর।
ইদানিং সে নিরুদ্দেশ
শহর ছাড়িয়ে যোজন দূরে;
ছায়াবীথির লৌকিক দীপ্তি খোঁজে
জোনাকি গল্প শোনায় শিয়রে রাতে
শ্যামল-ছায়ায় নিহার যেখানে,
সিক্ত ঘাসের স্পর্শ সেখানে।
সত্য এখানেই , ভালবাসা এখানেই
অন্তঃ করণে স্নিগ্ধতাই ধর্ম ; কাব্য সেখানেই
অহর্নিশি যেথায় প্রান্তিক বর্ষণ
রুঢ়-রৌদ্র হেথায় আমরণ ।
সহস্র ক্রোশ পথযাত্রী কিংবা
রূপালী রাতের অতি পূর্ণিমা ;
অনুভূতির সাতরঙ্গা চাঁদের আসরে
স্তিমিত ধ্রুবতারা-ছোঁয়া স্বপ্ন-বাসরে ।
তরুলতা ছাওয়া কাদামাটির যে পথ
একেবেকে চলে গেছে বহুদূর ;
খেয়া ঘাটে ভেড়ানো তরণি
গোধূলিতে অগণিত সাজবাতি জ্বালে ।
সে পথেই বৈকালি লগ্নে হারিয়ে যায়
স্রষ্টার এই প্রকৃতির অসীমতায় , আর
প্রায়ই খোঁজ মেলে আজকাল
তার সাথে ; অবচেতন ইচ্ছা
মনুষ্যত্বের অকৃত্তিম সত্তার সাথে ।