যদি পথগুলি না হয় ফাগুন,তুষারপাতে অস্পষ্ট জানালার শার্সি।
ভোরে উঁকি ক্ষীণ শুকতারার, দ্রোহের চিঠি বুকপকেটে ভরে,
যন্ত্রণার ইস্পাত সেফটিপিনে আটকে, নিজেকে পাঠাই মন নিজেই নির্বাসনে।
ঘিন জঙ্গলে হিংস্র লিওপার্ড,কাঁদামধ্যে ঈষৎ ক্ষুদে কীট ভুলি; দুইইতো প্রানি।
এতটা অবহেলা? সাফ্রন,গ্লরিওসা,জুলিয়েট রোজ এদের ভিড়ে,
পথের ধারে লুকোছুপিতে ফোটে যে ঘাসফুল,বনফুল সেও তো ফুল।
কাল করালে বিবর্ণ হলে ভুলে যাও সব?আশ্চর্য;
শতাব্দী,সহস্রাব্দ নিরুত্তর। প্রশ্নের ধারে প্রশ্ন জমে;
কতটা যুগ ক্ষান্ত হলে সভ্য হবে বন্যরা,
কতটা কাম-ক্ষুধিতে প্রান্ত তাপে নগ্নবন্য হবে সভ্যরা?
ফেরারি আজ পলাশী,পরশু দূর ইস্কাটন।
যেটুকু ইচ্ছা,সেও স্কার্ফে ঢাকে মুখ,রোজই দেয় চীরকুট।
সে চিরকুটে স্বপ্নরা সমাণুতায় সাজে হেটারো সাইক্লিক চক্রে।
নিস্তব্দতার প্রহর ভাঙ্গে রাশ চুপকথা,পথপ্রান্তে লাম্পপোস্ট হলুদ বাতি জ্বালিয়ে
মূল্যবোধরা যদিও হিমঘরে,লাভক্ষতিতে নিবর্ত শান্তি ।
ক্ষোভ পুড়ে অন্ধ ভালবাসাটা বেচে থাকে;ক্ষমা নিত্য বাণী শুনায় আজও
নৃশংস বারুদ-অ্যাটমে প্রতিশোধে মত্ত নয়,বাসযোগ্য তাই আজও বসুন্ধরা।