ফিরবার ট্রেনটা ষ্টেশনে এলেই আমি চলে যাব
আমি এখানে বসতেও আসিনি থাকতেও নয়
সবাই চলে যায় যার যখন যাবার সময় হয়
আমিও অল্প একটু জিরিয়ে নিয়েই চলে যাব
আগে ভাগেই বলে রাখা ভালো, কষ্ট পেওনা
যদি না বলেই একদিন চলে যাই,
আদৌ বলার সুযোগ না পাই!
আমি না বলেই যদি ঘুমাতে যাই
কষ্ট করে আমায় ডেকোনা।
তার থেকে ঢের ভালো একটা স্টাটাস লিখে দিয়ো,
‘তোমার চলে যাওয়াতে আমরা কষ্টে আছি বড়ো,
কাপড় ধোয়া, টুকটাক ঘরের কাজ, ফুটফরমায়েস খাঁটার
লোক পাওয়া যায়না আজকাল। এমনকি ছুঁটা বুয়াও
তুমি কঁচুরলতিটা আর তরকারিটা কুঁটতে ভালো।
শাকপাতা কুঁটে ধুয়ে দেয়া, মাছ আনাজ মুরগি কেঁটে কতো
যত্ন করেই না ধূয়ে দিতে! শীত শেষে লেপ-কম্বল-কাঁথা
রোদে শুকিয়ে, সবকিছু ধুয়ে পরিচ্ছন্ন করে রেখে দেয়া,
এসব এখন সামলায় কে? আমারতো সেই ব্যাথাবেদনার রোগ
যা এখন ঔষধ সেঁকের পরে থেরাপীতে ঠেকেছে।
তোমার সাথে ভালোবাসা না থাকলেও ‘ভাল একটা বাসায়’
একসাথে ছিলাম বহুদিন।
এ এক ধরনের নিয়মের অভ্যস্ততা ছাড়া,
কিছুই যে দিতে পারোনি যদিও আমাদের, যদিও কোনোদিন,
তারপরেও কেনাকাঁটায় তোমার চিরকালের ‘হাতখোলা’ স্বভাব
যে কারণে লেগে থাকত আমাদের নিত্যদিনের টানাটানির অভাব
এবং তোমার সারাজীবনের শুধু বেহিসেবী আর বিবেচনাহীন ঋণ’।
সেই যন্ত্রনাতেই গেল আমাদের যাপিত জীবনের রাত্রিদিন।
তার পরেও তোমার অনুপস্থিতির শুণ্যতা অনুভব করি
যখন সংসারের আজেবাজে কাজগুলো করার তোমার মতো
আর কাউকেই পাইনা বলে। সত্যি, তুমি অসময়েই চলে গেলে!’
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১০