somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মিডিয়ার মানুষজনদের কাছে একটি এলাকার মানুষদের আঁকুতি এবং সকলকে জানুয়ারির ১৩ তারিখ আমাদের এলাকায় দাওয়াত !:#P !:#P

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক সময় এ জমিগুলোতে ধানচাষ হতো, বৃষ্টির পানি জমলে নিম্নাঞ্চলগুলোতে মাছদের আনাগুনা হতো, এই অঞ্চলের লোকদের আবাদি জমি খুবই অল্প। অধিকাংশ মানুষ খেটে খাওয়া, তবে অনেকটা আলসে ধরণের, রাজনৈতিক চিন্তাধারাও যে বিড়ি খাওয়াবে তার গীত গাইবে টাইপের। আজ আপনি তাদের ভালো কিছুর জন্যে বুঝিয়ে ভাজিয়ে রাজি করাবেন, বৈকালেই তারা কুটবুদ্ধি ওয়ালাদের এক কাপ চা বা এক খিলি পান খেয়ে বেমালুম তা ভুলে যাবে ভালোমন্দ বিচারের সময় কই :( এদের বেশির ভাগই প্রতিদিনই বাজার আড্ডায় মঁজে থাকে।

আমি আসলে বলতে চাইছি আমাদের আসলে কোনো দুর্দশা নেই, শুধুমাত্র নিজেদের ভালোটা নিজেরা বুঝতে না পারাটাই দুর্দশা।

আমাদের এলাকার চারপাশেই জনবসতি। এলাকার মাঝ বরাবর চলেগেছে ফুলবাড়িয়া-ঢাকা সড়ক যোগাযোগ। এর আশ পাশেই টুকরো টুকরো আবাদি জমি। কিন্তু এই জমিগুলো আর আবাদি থাকছেনা। আমরা একসময় বলতে পারতাম, বড় ধরণের বন্যা হলেও আমাদের অঞ্চল তলায় না, ভবিষ্যতে হয়তো আর এটা বলতে পারবো না।

কারণ,

আর আধা কিলোমিটার অঞ্চলের ভিতর ২টা ইটের ভাটা গড়ে উঠেছে গত কয়েক বছর ধরে, এটা হয়েছে শুধুমাত্র কিছু লোকের সাময়িক মুনাফার লোভে। এতে করে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে :

ভাটা ওয়ালারা মাটি কেটে জলাশয় তৈরি করছে, তাতে জমিগুলো ধান আবাদের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে, খেতগুলোতে স্থায়ী বাঁধ তৈরি হওয়ায় বিলের মাছ ঢুকতে পারছেনা, আবাদি মাছ খাওয়াটাই নিয়তি :( মাটি অনত্র চলে যাওয়ায় নিজের কাজে এখন মাটি কিনে আনতে হওয়ার উপক্রম, মাটিগুলো খুব দ্রুতই ইট হয়ে অনত্র চলে যাচ্ছে। যে হারে মানুষ মাটি বিক্রির দিকে বুঝছে তাতে হয়তো ঘড়-বাড়ি বাদে আর কোনো মাটি পাওয়া যাবেনা পানি ছাড়া :(

দেশি ফলগাছে ফল ধরছেনা ভাটাগুলোর উত্তাপে, ধরলেও বড় হওয়ার আগেই ঝড়ে পরতেছে।

শুনছি সামনে আরো অনেক মালিক আসছে আমাদের এলাকার আশ-পাশে ইট ভাটা বানাতে X( আর এরা এলাকার লোভী রাজনৈতিক মানুষদের মদদ পায়।

ভাটা ওয়ালাদের উৎপাতেই জমির দাম গত পাঁচ বছরে দশগুণ ছাড়িয়ে গেছে।

আমাদের অবস্থাটা বর্ণনা করলাম।
আমাদের এলাকার লোকজন নিয়ে আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারবো না, কারণ তারা কাচা টাকার মোহে অন্ধ, সামায়িক লাভে যে কতো বড় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি আমরা তার ব্যাপারে খেয়াল নেই।

" আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন : আমাদের এলাকার সংস্কৃতিতে প্রাচীনকাল থেকে একটি খেলা চলে আসছে গুটি খেলা, আমাদের প্রাণের খেলা, যা খোলা ময়দানে হয়ে থাকে, এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমাদের আঞ্চলিক সংস্কৃতি এই খেলাটাই বন্ধ হয়ে যাবে :(

আমি চাচ্ছি মিডিয়া সুহৃদ কোনো ভাই বোন যদি এই বিষয়টা কভারেজ করেন তবে আমরা খুবই উপকৃত হবো, আমরা সমূহ বিরাট ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবো।

তাই, মিডিয়ার মানুষজনদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন


পরিশেষে আমাদের এলাকায় ১৩ জানুয়ারির গুটি খেলায় দাওয়াত দিচ্ছি :)

মুর্তজা হাসান খালেদ

গ্রাম : তেলীগ্রাম (বাল্লাপাড়া) পো.- তেলীগ্রাম বাজার
থানা : ফুলবাড়িয়া, জেলা : ময়মনসিংহ

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×