somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কামরুল  হাসান
পারিনা নিজেকে প্রকাশ করতে। কোন এক অজানা যস্ত্রনায় থাকি অনেকের থেকে দূরে।তবু ভালোভাসি মানুষকে।চেষ্টা করি কিছু করি মানুষের তরে।হয়তো কিছুটা পেরেছি, হয়তো পারিনি ,তবু হাল ছাড়িনি। আর বিশ্বাস রাখি এক আল্লাহতে।।

আমাদের প্রাণের রূপকল্প ২০৪১

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গ্রিক পুরাণে যুবরাজ নার্সিসাস একদিন বনভ্রমণে বের হলেন। বনের মধ্যে প্রচুর পানির পিপাসা পেলে তিনি একটু দূরে অবস্থিত নদীর ধারে পানি পান করতে গেলেন। অনিন্দ্য সুন্দর যুবরাজ পানিতে তার নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। সেই প্রতিচ্ছবি দেখে দেখে তিনি সেখানেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করলেন। বর্তমান ১৪ দলীয় তথা শেখ হাসিনার সরকার যুবরাজ নার্সিসাসের মত নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় এতই মুগ্ধ যে এই মগ্ধতায় তাদের ভয়ানক পরিনতির ডেকে আনে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে। তারা আসলেই ভয়ঙ্কর চমৎকার কৌশলে কেমন সবাইকে হারিয়ে দিচ্ছেন। ২০ দলীয় জোটতো রীতিমত ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁ্িচ। গণতন্ত্রের অদ্ভুত সুন্দর রূপ তারা ফুটিয়ে তুলেছে। যেখানে গণ শব্দের আসল প্রতিশব্দ শেখ হাসিনা। জাতির যদি ভিশন না থাকে তবে সে কি করে উন্নতি করবে? গণতন্ত্রের উপদেষ্টা মন্ডলিও আমাদের জন্য ব্যাপক গবেষণালব্দ ভিশন ঠিক করেছেন, রুপকল্প ২০৪১। রূপকল্পের গাণিতিক হিসাব নিকাশও অসাধারণ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স ৬৭ । ২০৪১ সাল নাগাদ উনার বয়স হবে ৯৩ ।উনারা হয়তো উনার সম্ভাব্য জীবনকাল উইরকমই হিসাব করেছেন। ভগবানের কাছে প্রার্থনা উনাকে পুরো প্রজেক্ট শেষ করার তৌফিক দিন। সে যাক ভিশনটা আমাকে ব্যাপক আহলাদিত করেছে। আমার দুই আশাবাদী আওয়ামী দোস্ত আমাকে হিসাব দিয়েছেন , ঐ সময় আমাদের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। তারা আমাকে আরো জানালো এখন আমাদের লোকজন চাকরির জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যায়। তখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে লোকজন চাকরির জন্য আমাদের দেশে আসবে। মনের গহীন কোণ থেকে বের হয়ে আসল আমার ঘরের জন্য একজন আরব গৃহপরিচালিকা রাখব। তার কাজের পরিধি থাকবে দৈনিক ১৮ ঘন্টা ।এতে কিছুটা হলেও তাদের পূর্ব অলসতা লাঘব হবে। তাছাড়া অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে আমাদের চেতনারও বিশ্বায়ন ঘটবে। ভাবতে গেলে নিজের মধ্যে কেমন ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়। বিশ্বের বুকে আমরা হবো এক পথ নির্দেশক জাতি।
স্বপ্ন দেখলেতো আর চলবেনা । স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য চাই কাগুজে পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন।আর এই কাগুজে কাজটা প্রথম সঠিকভাবে করেছেন তথনকার বিচারপতিকূলের শিরোমণি এবি এম খায়রুল হক। জনাব খায়রুল চতুর্র্থ সংশোধনী বিষেয়ে কিছু না বলে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করলেন । আর অটোমেটিক পঞ্চমের জায়গা চতুর্থ প্রতিস্থাপিত হয়ে যাবে খুব স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন মোড়কে অর্থাৎ পষ্ণদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তা উপস্থাপন কর হল। মোড়ক দেখেই সবাই এত মজা পেল ভেতরে যাওয়ার প্রয়োজনই পড়েনি। সরকার এখন ক্রমান্বয়ে যতই সে মোড়ক উম্মোচন করছে ততই আমরা অবিভূত হয়ে পড়ছি। ৭৪ এ চারটা পত্রিকা ছাড়া বাকীগুলো রাখতে পারলো না। কিন্তু এখন সবগুলো পত্রিকা ও মিডিয়া রাখলেও কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। সবাই রুপকল্পের পক্ষে আর দেখুন কে না ধনী রাষ্ট্রের সদস্য হতে চায়। সে সাথে যোগ হল আমাদের মহান চেতনা । যে চেতনার বলে সবাই আধ্যাতিœক বলে বলিয়ান। মাঠ পর্যায়ে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। সে সমস্যাও সমাধানের পথে । কারণ দেখা গেছে দেশে যত খুন খারাপী ও নাশকতা চলছে সবই এক মহিলাই ঘটাচ্ছে ।তার সে অভূতপূর্ব শক্তি প্রমাণিত হয়ে গেছে। তিনিই যত অশুভ কর্মকান্ডের হোতা ।তিনি এই রূপকল্পের বিরুদ্ধবাদী অসূর । অতএহব তাকে শায়েস্তা করার জন্য জনগণের দশহাত রেডি ।ইতিমধ্যে জনগণ সে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তার অশুভ শুড়গুলোকে জনগন বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে হত্যা করা শুর করেছে। বাকী কাজটা আমাদের হাত পা বিহীন বিচার ব্যবস্থা করা শুরু করেছে। যদিও তাদের হাত পা পূর্বেও ছিলনা। কিন্তু তখনতো মুখ ছিল, সে মুখও যেন চিৎকার চেঁচামেছি করতে না পারে সেজন্য করা হল ১৬তম সংশোধনী।
রাজনৈতিক , শারীরিক, মাঠপর্যায়ের সবদিক দিয়ে শক্তিশালী হলেও একট ঘাটতি হতো থেকেই যেতো সেটা আধ্যাত্মিক শক্তি। তার প্রয়োজনীতা কোন অংশেই কম না। সে ব্যবস্থাও অনেক আগ থেকে নেওয়া । এরই মধ্যে একজনকে ফাঁসিতে ছড়িয়ে তা কিছুটা হলেও পূরণ হলো । বাকী যত পাপ হয়েছে এই বাংলার বুকে তার সকল পায়চিত্্রও তাদেরই করতে হবে। কারণ পাপ পূর্ণ্যরে কথা তারাই বেশী বলে । অতএব তাদেরকে বলি দিলেই পায়শ্চিত্র বেশি হবে।
আর তাই রূপকল্প ২০৪১ চিন্তা করেলেই চিৎকার দিয়ে স্লোগান দিতে ইচ্ছা করে জয় রূপকল্প ২০৪১, জয় শেখহাসিনা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×