অবিশ্বাস
নাস্তিকরাও আজকাল অবিশ্বাসের ওপর নির্ভর কিংবা বিশ্বাস করতে পারছে না। কারণ সংশয়ই তাদের একমাত্র সম্বল।
যুক্তি কিংবা দর্শন কিংবা বিজ্ঞান কেবল সত্যকেই প্রতিষ্ঠা করে না, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংশয়ের জন্ম দিয়ে যায়, মানসিক ও শারিরীক রোগ তৈরী করে এবং চিকিৎসার বাণিজ্যক্ষেত্র প্রসারিত করে। আরো অনেক নেতিবাচক লিটলবয় ফ্যাটম্যান এই বিজ্ঞানেরই অবদান। তারপরও বিজ্ঞানই নাকি একমাত্র ভরসা তাদের এবং সত্য- মিথ্যার শেষ প্রমাণ।
যুক্তি তো আজন্মকাল থেকেই দ্বিচারিতা করে আসছে, সে সময়মত কেবল পক্ষের পালাবদল করে চলে। এই পক্ষ সেই পক্ষ, সব পক্ষেই যায়।
গ্রীকরা দর্শনের জন্ম দেয় রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক উপযোগ তৈরী করার স্বার্থে, আজ কেউ কেউ তাকেও গ্রহণ করে মনেপ্রাণে ধন্য হয়। কী সেলুকাস।
সংশয়, মানসিক রোগ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য অথচ সত্য-সুন্দর-নৈতিক জীবনবোধ তাদের কাছে জঘন্য এবং হাস্যকর।
তাদের মূঢ়তায় আমি করুণা ছাড়া আর কীইবা করতে পারি ! আমি তো মানবিক কল্যাণকামিতাকে অগ্রাহ্য করে এইসব গ্রহণ করতে পারি না, মানবিক কল্যাণে এর ইতিবাচক চর্চাকেও বাদ দিই না। আমাকে মূর্খ বর্বর কিংবা আরো একশো একটা গালি দিলেও আমি তাদের গালাগাল করতে পারি না। করুণা ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারি বলুন !