সাবধান ! সরকার বাহাদুর, সাবধান !! বর্তমান দ্রব্য মূল্য যেভাবে বাড়ছে, তাতে "রফিক আজাদ" এর আত্মা আবার এসে এই রকম কবিতা লিখতে পারে :
ভাত দে হারামজাদা
রফিক আজাদ।
ভীষণ ক্ষুধার্ত আছি, উদরে শারীর বৃত্ত ব্যেপে
অনুভূত হতে থাকে – প্রতিপলে – সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
অনাবৃষ্টি – যেমন চৈত্রের শষ্যক্ষেত্রে – জ্বেলে দ্যায়
প্রভুত দাহন – তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ
দুবেলা দুমুঠো পেলে মোটে নেই অন্য কোন দাবি
অনেকে অনেক কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায়
বাড়ি, গাড়ি, টাকা কড়ি – কারো বা খ্যাতির লোভ আছে
আমার সামান্য দাবী পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর
ভাত চাই – এই চাওয়া সরাসরি – ঠান্ডা গরম
সরু বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হলে
কোনো ক্ষতি নেই – মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাই
দুবেলা দুমুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য সব দাবী
অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি নেই যৌন ক্ষুধা
চাইনিতো ; নাভি নিম্নে – পরা শাড়ি, শাড়ির মালিক
যে চায় সে নিয়ে যাক – যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও
জেনে রাখো : আমার ওসবের কোনো প্রয়োজন নেই।
যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবী
তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কান্ড ঘটে যাবে
ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট আইন কানুন
সম্মুখে যা কিছু পাব খেয়ে যাবো অবলীলাক্রমে ;
থাকবে না কিছু বাকি – চলে যাবে হা ভাতের গ্রাসে।
যদি বা দৈবাৎ সম্মুখে তোমাকে ধরো পেয়ে যাই
রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে উপাদেয় উপাচার হবে
সর্বপরিবেশগ্রাসী হলে সামান্য ভাতের ক্ষুধা
ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ করে।
দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবো : গাছপালা, নদীনালা
গ্রামগঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী
আমার ক্ষুধার কাছেই কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা
তা না হলে মানচিত্র খাবো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



