আমার বাবার হালের গরু লাঙ্গল জোয়াল মই,
অগ্রহায়নে উঠোন ভরা সোনালী ধান কই?
দলবেঁধে ধান কাটা হত সকাল দুপুর সাঁঝে,
রাতের বেলা ধানের মাড়া ব্যস্থ সকল কাজে।
একেক করে উঠত ভরে দু,টি গোলা ধানে,
ঘরে বাইরে থাকত ধান ছড়িয়ে সবখানে।
গোয়াল ভরা গরু বাছুর গোলা ভরা ধান,
এখন এসব অল্প কথার গল্পের উপাদান।
হাওর থেকে পুকুর সেচে মাছের বোজা এনে,
কুড়ি ত্রিশেক হালি মাগুর রেখেছি ডেগে গুনে।
ঘাটের পাড়ে ডিঙ্গি নৌকা বাঁধা এখন নাই,
বৃন্দাবনী হুক্কার মাঝে জমেছে ধূলি ছাই।
খালি বাড়ির বারো মাসে হরেক রকম ফল,
আম আনারস জলপাইয়ে জিবে আসে জল।
হাওর পুকুরের মাছগুলি হয়ে গেছে উধাও
খালি বাড়ির ফসলের গাছ লতা পাতায় ঘেরাও।
আমার বাবার মন ছুটেনা একতারাটার টানে,
রাতজাগা সব পাখির মত মালজুড়ার পালাগানে!
গোটা গোটা অক্ষরে আর দেননা তিনি চিঠি,
মোবাইল ফোনে কথা বলে অশ্র“সজল দিঠি।
এখন আমার বাবার হাতে নির্ভরতার লাঠি,
ভালোবাসেন থাকতে শুয়ে বিছিয়ে শীতলপাঠি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:২৮