ছবিটা পোস্ট করেছেন এই ব্যক্তি
Chairman,Editor & Publisher · ফেব্রুয়ারী 14, 2009 থেকে এখন পর্যন্ত
The 1st online news paper of Coxsbazar, Bangladesh
পড়ালেখা তার চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি গবেষণা করে বের করেছেন যে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা বিদ্যুৎ লাইনের ভোল্টেজ ২২০ এর পরিবর্তে কমিয়ে ১৮০-২১০ দিয়ে রাখে। এতে লোডের কারেন্টের (এম্পিয়ার) মান বেড়ে যায় ফলে গ্রাহক এর বিদ্যুৎ বিল বেশী আসে।
আচ্ছা আমরা একটু হিসাবটা দেখে আসি।
গ্রাহক যে লোড ব্যবহার করছে যেমন (লাইট, ফ্যান অন্যান্য) সেই লোড কি পরিমান এনার্জি (ওয়াট আওয়ার) কনজিউম করছে সেটার উপর তাকে বিল দিতে হয় । আমরা যেটাকে ইউনিট বলি সেটা আসলে কিলোওয়াট-ঘন্টা।
এবার এই কিলোওয়াট-ঘন্টা এর হিসাব টা একটু দেখি
একটা লোড কি পরিমান পাওয়ার নিচ্ছে সেটার একক হচ্ছে ওয়াট বা কিলোওয়াট (ওয়াটের ১০০০ গুন)
পাওয়ার = লোড এর এক্রোসে ভোল্টেজ * লোড এর কারেন্ট [১]
আর এনার্জি = পাওয়ার * সময় (কতক্ষন ধরে লোডটা চলছে)
ধরুন আপনার বাসায় একটা ৬০ ওয়াটের লাইট যেটা ২২০ ভোল্ট এর লাইনে লাগানো আছে এবং এটা আপনি ২০ ঘন্টা চালিয়ে রেখেছেন।
একটা লাইটের গায়ে যদি লেখা থাকে "২২০ ভোল্ট, ৬০ ওয়াট" এর মানে হলো যদি এই বাল্বটাকে ২২০ ভোল্ট এর লাইনের সাথে লাগানো হয় তাহলে এটা সর্বচ্চ ইন্টেনসিটি নিয়ে জলবে এবং ৬০ ওয়াট পাওয়ার নেবে লাইন থেকে। অর্থাৎ যদি এটার লাইন ভোল্টেজ কমিয়ে দেয়া হয় তবে এটার ইন্টেনসিটি কমে যাবে এবং কম পাওয়ার নেবে। ভোল্টেজ কমে গেলে কারেন্ট বেড়ে যাবে এটা সত্য নয়।
তাহলে কি দাড়াচ্ছে,
যেহেতেু এনার্জি = পাওয়ার * সময়, আর ভোল্টেজ কমে গেলে পাওয়ার ও কমে যাবে। ফলে এনার্জি ও কমে যাবে। ফলে গ্রহকের উপর কোন এক্সট্রা বিল আসবে না।
উপরের উদাহরনে আপনার বিল কত আসছে একটু দেখি,
এনার্জি = ৬০ (ওয়াট) * ২০ ঘন্টা = ১২০০ ওয়াট-ঘন্টা = ১.২ কিলোওয়াট-ঘন্টা,
এই ১.২ ই হচ্ছে আপনার ইউনিট যার বিল আপনাকে পরিষোধ করতে হবে।
একটা বিষয় না জেনে না বুঝে এভাবে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করা কি ঠিক? ঐ ব্যক্তির উচিত ছিল আগে বিষয়টা ভালো করে জানা।
[১] = ইন্ডাক্টিভ লোড এর ক্ষেত্রে রিয়াক্টিভ পাওয়র বলে আরেকটা অংশ আছে যার জন্য আপনাকে বিল পরিষোধ করতে হয় না বলে হিসেবে আনলামনা। কেউ জানতে চাইলে আমি বুঝিয়ে দেব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


