somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুখস্ত, মাদক এবং ম্যাৎকার কে না বলুন /:) /:)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা এক অঞ্চলে নেকড়েকুল হানা দিয়াছিল। নির্বিচারে এরা মুল্লুকের বাসিন্দাদের ক্ষতবিক্ষত করিয়া একাকার করিতেছিল। এছাড়া বিলাতি আবর্জনা ভক্ষন করিবার অভ্যাস হেতু ইহাদের যখন-তখন ল্যাদানোর লক্ষনীয় প্রবনতা ছিল। ল্যাদানোর পরে পুচ্ছদেশ পরিষ্করণের জন্য এদের প্রথম পছন্দ ছিল রসাল কাঁঠাল পাতা। বড়ই আশ্চর্যের বিষয়, সেই পুরিষমিশ্রিত কাঁঠাল পাতা ছাগ জাতির কতিপয় প্রতিনিধির মধ্যে বিশেষ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করিল। সেই লোভনীয় খাবারের লোভে এই ছাগকুল নেকড়ে পালের আশেপাশে ঘুর ঘুর করিতে লাগিল, চাই কি সময়ে-অসময়ে সুযোগ বুঝিয়া উহাদের পশ্চাৎদেশ লেহন করিয়া তাজা পুরিষের স্বাদ নিতে পারিলে এরা ধইন্য হইত আর একই সময়ে বাদবাকি ছাগকুলের ঈর্ষার কারণ হইত। নিয়মিত এই খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখিবার দরুণ ইহাদের ও যখন তখন বিশেষ বৈশিষ্টপুর্ণ ল্যাদা ল্যাদাইবার আভ্যাস জিনগত বৈশিষ্ট হিসাবে আবির্ভূত হইল।

যাই হউক, মুল্লুকের লোকজন একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হইয়া নেকড়েকুলের পশ্চাতদেশে বংশখন্ড প্রবেশ করতঃ সীল্-গালা করিয়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিল। বংশচিকিৎসা আর সেইসাথে উপর্যপুরি প্রহারের যন্ত্রণা সইতে না পারিয়া তাহাদের পশ্চাতদেশের কিছু অংশের মায়া পরিত্যাগ পুর্বক, নেকড়ে সম্প্রদায় মুল্লুক ছাড়িয়া পলায়ন করিল। ইহাতে সকলেই যারপরনাই আনন্দিত হইলেও ছাগুগন অন্তর-দিলে ব্যাপক আঘাত প্রাপ্ত ও ক্ষিপ্ত হইল। হাজার হউক, নেকড়েকুলের পুরিষ ভক্ষণ করিয়া ইহাদেরও চেহারা মুবারকে বিশেষ নুরাণী আভা দেখা যাইতেছিল। কিন্তু সদ্য তৈলাক্ত গুহ্যদ্বারের উপযুক্ত চিকিৎসা করাইতে আগ্রহী ছিল না বিধায় শীঘ্রই ভোল পালটাইয়া ফেলিতে সচেষ্ট হইল।

নেকড়েকুলের প্রস্থানে ছাগ সম্প্রদায়ের ম্যাৎকার কিছু কমিল বটে, কিন্তু উহাদের প্রাপ্য বংশখন্ড বুঝিয়া পাইবার পুর্বেই তাহারা জাদুকরী আরক পানে রাতারাতি দু পায়ে দঁড়াইতে শিখিয়া মানবকূলের মধ্যে মিশিয়া গেল।

কিন্তু দু পায়ে দাঁড়াইতে পারিলেই বা কি? বৈশিষ্টমুলক ল্যাদা আর লেইঞ্জা যখন তখন বাহির হইয়া ইহাদিগকে প্রায়শই বেকায়দায় ফেলাইয়া দিত। তাই লেইঞ্জা ও লাদি লুকানোতে এরা সদা তৎপর থাকিত। নিজেদের অস্তিত্ব এরা বরাবরই অস্বীকার করিতে অভ্যস্ত ছিল। এই প্রসঙ্গে জনৈক দাগী ছাগু আআমোমু তো একদা কালজয়ী মন্তব্য করিতে ও ছাড়িল না, যে "এই মুল্লুকে ছাগ সম্প্রদায়ের আগমন ঘটেনাই কখনও। যে ল্যাদা দেখিতেছেন আপনারা, এইগুলা মিডিয়ার সৃস্টি। কাটতি বাড়াইবার লক্ষ্যে বেজন্মারা কাহিনী ফাঁদিয়া বসিয়াছে।"

কালের পরিক্রমায় ইহাদের স্পর্ধা এতই বৃদ্ধি পাইল যে ইহাদের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল দাবি করিয়া বসিল যে, "ওহে, নেকড়ে ত আমরা ই বিতাড়ন করিলাম.. অত্র মুলুকের বাসিন্দারা যবে ক্ষুধিত নেকড়ের ডাক শুনিয়া কাছা বান্ধিয়া পালাইতে কুল পাইতেছিল না, তখন ত আমরাই নেকড়ে সম্প্রদায়ের পশ্চাতদেশ লেহন পুর্বক এমন সুখ প্রদান করিয়াছিলাম যে উহারা আমাদের নুরাণী দুর্বাস সহ্য করিতে না পারিয়া পলায়ন করিয়াছিল। উহাদের গুহ্যদ্বারে যে বংশখন্ড শোভা পাইত, তা ও তো আমাদিগের ই অবদান।"

"এইবেলা নেকড়ে বিতাড়ন দিবস উপলক্ষে এক দফা এক দাবি, আমাদিগকে সম্মানসূচক উন্নত পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ পুরিষ মিশ্রিত কাঁঠাল পাতা সরবরাহ করা হউক।"


অতঃপর খবরে প্রকাশঃ
আমরাও মুক্তিযোদ্ধা: জামায়াতনেতা আজহারুল ইসলাম



সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×