সুশিক্ষার অন্তরায় গৃহশিক্ষক I
হাল সময়ে অত্যন্ত চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে গৃহশিক্ষক প্রথা। একজন ছাত্র/ছাত্রীর ক্রিয়েটিভ প্রতিভা বিকাশের অন্যতম প্রতিবন্ধক হলো গৃহশিক্ষক। সমাজের বিষফোড়ার মত হয়ে দাড়িয়েছে। নারসারি থেকে শুরু করে ইন্টারমিটিয়েড পর্যন্ত এই গৃহশিক্ষক তথা গৃহনির্যাতকের অবাধ বিচরণ।আমাদের দেশের বাবা মা রাও মনে করেন এইসব শিক্ষদের হাতে তুলে দিলে সন্তানরা পড়াশোনা করে ফাটিয়ে দেবে,১রোল হবে,গোল্ডেন পাবে। আদতেও কি তা হয়?আমার তো তা মনে হয় না। একজন গৃহশিক্ষক তার নিজস্ব ধারণা তার ছাত্র/ছাত্রীর উপর চাপিয়ে দিতে চায়। খেলার সময় বিকেলে একজন শিক্ষক বাড়ীতে এসে পড়াবেন অনেক ছাত্রদেরই তো মেনে নিতে কষ্ট হয় তবু বাবা মার ভয়ে তারা প্রতিবাদ করতে পারে না। আনন্দের ছলে যে পড়াশোনা করতে হয় তা মনে গৃহশিক্ষেরা জানেন না। ছোটবেলা থেকেই কোমলমতি শিশুদের মনে তারা পড়াশোনার ভয়ংকর বোঝা চাপিয়ে দেয়। পড়াশোনা সমন্ধে মনের গহীনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রদের মনে পড়াশোনা সমন্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হয়। এখান থেকেই আমাদের দেশের ছাত্রদের পড়াশোনা ভীতি শুরু হয়। যা কাটতে/কাটাতে অনেক সময় লাগে।( আমি আজতক কাটাতে পারি নি)
কিছুদিন আগে দাদুর বাড়ী গেছিলাম। গিয়ে দেখি সেখানেও হাউজ টিউটর আছে! আমার দুই যমজ চাচাতো ভাই বয়স চার বছর সাড়ে দশ মাস দেখি তাদের হাউজ টিউটর দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। যে বয়সে খেলনা নিয়ে গবেষণা করার কথা সেই বয়স থেকেই পড়াশোনা সমন্ধে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরী হয়ে যাচ্ছে তাদের অবুঝ মনে।