somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজকের গল্প আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীকে নিয়ে :-B

১১ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার আম্মুর চুলও মহা কোঁকড়া বলে বিডি তার আদরের কোঁকড়াচুলওয়ালীর নামানুসারে আম্মুকে কোঁকড়াচুলওয়ালী ডাকে, সে আমি আগেই বলেছি। সবার আম্মু তার কাছে স্পেশাল, কিন্তু আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীর স্পেশালটি হলো, সে আমার বন্ধুদের কাছেও স্পেশাল :P। অনন্ত তার জানের টুকরার নামে আমার জননীর নাম রেখেছে, সুতরাং তার কাছে আমার আম্মু কি সে আমি না ই বললাম ;)
অথবা শারেকা। তার আর আমার মায়ের প্রেম দেখলে আমার পিত্তি জ্বলে X(। সে এক অমর প্রেমগাঁথা। আজকে সে তার ময়ের বাড়ি যেতে পারেনি, শ্বাশুড়ির জন্য গিফট কিনেছে আন্তির সাথে দেখাও করতে পরেনি, তাই মন খারাপ করে আমাকে বলে আমার কোঁকড়াচুওয়ালীকে তার কাছে পাঠায় দিতে :|। রাত পৌনে দশটা না হলে হয়তো আমার আম্মাজানও রওনা দিয়ে দিতেন X(। মনে করলেও আমার মেজাজ খারাপ হয়, এর জন্য ব্লগটাই লেখা হবে না, সুতরাং শারেকার গল্পও বাদ দেই /:)
আদবানা বাসায় এসে কাজ করা তো দূরে থাক, আমাদের সাথে দেখা করার আগেই আম্মার সাথে ঘন্টাখানেক আড্দা মেরে আসবে :|। ইয়াহুতে নক, মিসিং আন্টি/:) । কি আজিব। আম্মা ইয়াহু আইডি ঠাকলে মনে হয় আমারে নকই করতো না ফাজিলটা X(
সিনথি বাসায় আসবে, আমার সাথে না আম্মুর সাথে দেখা করতে /:)/:)। আমার চেহারা তো রোজ ই দেখে, তাই পাত্তা নাই :((
মুনভির আতিথেয়তার আইডল আমার জননী B-), কারণ বিনা নোটিশে এগারো জন মানুষ ( তাও যদি হয় ভার্সিটি পড়ুয়া আক দঙ্গল জংলী খাদক, এবং টারা ক্ষুদার্ত।) কিভাবে একটা বাসায় লান্চ করলেও খাবারে কোন সমস্যা হয় না, সে গত তিন বছর ধরে তারই গবেষণা করে যাচ্ছে :|
আমার বাসা বুয়েটের খুব কাছে হওয়ায় মোটামুটি হলের কাজ করে। বরং এখানে স্বধীনতা বেশি, কোন সান্ধ্য আইন নাই। আর যেহেতু আমার মা আছে সেহেতু কোন চিন্তাও নাই =p~
এখন পর্যন্ত আমি আকটা মাত্র জমা একা দিয়েছি। না হলে কেউ না কেউ থাকেই। একবার তো আমি, তানি, মৌটুসী তিন জনের প্রজেক্ট নেমেছে আমার বাসায় B-)) । এবং আম্মু আমাকে যেভাবে মুখে তুলে সবাইকে সেভাবেই। তানি জমার সময় কলা ছাড়া কিছুই খেতে পারেনা, বাসায় কলা আসে আলাদা এটা তানির ওটা সবার যাতে কম না পড়ে।
আম্মা জানে কে কোন সাইজের লোকমা খায়, কে কি তরকারি পছন্দ করে, কে কি ড্রিংক্স পছন্দ করে, কে কি চা খায় এবং চায়ে কত চামচ চিনি খায়। :-B
রাত ভরে যখন আমরা কাজ করি, মা মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে আসে, এটা সেটা বানায়, মুখে তুলে খাইয়ে পরে আবার ঘুমায় (কেমনে যে পারে আল্লাহ মাবুদ) ।
মা গুলা এমনই হয়, জানি।
কিন্তু আমার কোঁকড়াচুলওয়ালীর কেরামতি এই খানেই শেষ না।
আমার এখন পর্যন্ত একটা মডেল নামে নাই যাতে আমার মা হাত দেয়নি :#> । এবং আমার সব মডেলের সব সিড়ি আম্মুর বানানো। আমি বানাই না কখনোই।
শুধু আমার না, যাই আমার বাসায় কাজ করুক আম্মা তাকেই সাহায্য করে।
উঁহু, কাজ করতে করতে যে এক্সপার্ট এমন না, তাকে প্রতিবার নতুন করে বোঝাতে হয়। আমার খারাপ লাগে না। (জানি, ভাবছেন কি খুনে মেয়েরে বাবা। একমাত্র মেয়ে তো, তাই আহ্লাদটা অনেক বেশি। :!> ) আর কাজ না দিলে যে মা ঘুমিয়ে পড়ে, আর মা সামনে না থাকলে যে আমার কাজ হয় না।
কিন্তু তার থেকেও জরুরি কথা হলো, মা নিজেই খুব আগ্রহ নিয়ে করে। পাশের যে নতুন বিল্ডিংটা হচ্ছে, মা দাঁড়িয়ে দেখে যে তার মেয়ে কি করে আর সত্যি সত্যি কি হয়। জিনিস গুলো বোঝে, বোঝার চেষ্টা করে। B:-)
আমি যখন ডিজাইন করতে করতে দু'তিনটা অপশনের মাঝে কনফিউজ হয়ে বসে থাকি তখনও আমার উদ্ধার কর্তা আমার মা, তার লজিক যে ভালো।

মোদ্দাকথা হলো আমার কোঁকড়াচুলওয়ালী আমার সবচে স্পেশাল মানুষ।
এজন্য না যে সে আমার মা, বরং এজন্য, যে সে আমার সবচে ভালো বন্ধু, আমার সব কাছের মানুষ। মাতে-মেয়েতে দূরত্ব কম নেই, কিন্তু বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে আবার সেরকম কোন আড়ালও নেই। আজিবটিক শোনাচ্ছে ;)? আমার মা না? একটু আজিবটিক তো হবেই B-)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৫৬
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×