somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হরতালঃ একটি অভিশপ্ত দিন

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারাই হরতালের ডাক দেয় , তারাই দাবি করে হরতাল একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া! প্রশ্ন হোল তারা কি আসলেই গণতন্ত্রের মানে বুঝে? আমার মনে হয় নাহ, আমাদের সোনার বাংলাদেশে আজ অব্দি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নি- যার ফলশ্রুতিতে আমাদের আজও টানা ৪ দিন হরতালের মত এক ভয়ংকর একটি দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

একটি স্বাধীন দেশে হরতাল কারোরই কাম্য নয় বলেই আমার বিশ্বাস, যারা হরতালের ডাক দিচ্ছে তারা অবশ্যই জনগনের মুক্তির পরোয়ানা এনে দেয়ার জন্য হরতালের মত অভিশাপের আশ্রয় নিচ্ছে নাহ, তাদের একটাই লক্ষ্য - লুণ্ঠিত ক্ষমতা ফিরে পাওয়া। ক্ষমতার জন্যই কিংবা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যই তাদের এই সংগ্রাম।

একটা জিনিষ কি কখনও ভেবে দেখেছেন- এই যে বানের গতিতে হরতালের পর হরতাল আমাদের ভাসিয়ে দিচ্ছে- এইভাবে ভেসে ভেসে আমরা আসলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছি ? আমরা দাঁড়াচ্ছি মহাকালের গহবরে হারিয়ে যাওয়া অন্ধকার ঘরের সামনে! যেখান থেকে উত্তরনের পথ আসলেই অজানা! সেই মানুষ গুলোর কথা কি কখনও ভেবেছেন - যারা দিন আনে দিন খায়! একটি হরতাল তাদের জন্য একটি উপোষ, একটি হরতাল মানে তাদের ক্ষুধার্ত পেটে কাটানো আরও একটি বিনিদ্র রজনী। সেই সব ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িদের কথা কি কখনও ভেবেছেন- যারা হরতালের তোপে প্রতিনিয়ত পথে বসে যাচ্ছে! সেই সব শিক্ষার্থীদের কথা কি ভেবেছেন - যারা দিনের পর দিন সেশন জটের গোলক ধাঁধায় নিজেদের ভবিষ্যৎ হারিয়ে ফেলছে! না আমরা ভাবি না, আমরা ভাবি না- এই হরতালে যে মায়ের বুক খালি হচ্ছে তার কথা, আমরা ভাবি না- উপোষ করা মানুষ টার কথা!! এই যদি হয় গণতান্ত্রিক হরতাল তাহলে সেই গনতন্ত্রে আমি থুথু ফেলি।আমার সেই গণতন্ত্রের কোন দরকার নাই।।

৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ কারো চুড়ি করা অর্থের পাহাড় তৈরির জন্য নাহ, কারো স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নাহ। বাংলাদেশে আর কোন হরতাল মানি নাহ। যারা হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদের এর পর থেকে নৈরাজ্য কাকে বলে বুঝিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ।

সকল প্রকার হরতাল কে প্রত্যাখ্যান করুন, এটা আপনার আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।।

জয় বাংলা।।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×