ব্যথাতুর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ,
কেউ দেখেনি তো হায়।
অঙ্গার হয়েছে যখন ,
তখনো তো অসহায়।
তবুও পাইনি কোনভাবে সমর্থন ,
থেকেও ছিল না কারো কোন দায়।
সেই মর্মর ধ্বনি এখনো তো বাজে কানে,
ঢংকা বাজে যেন দমকা হাওয়ার তোড়ে।
নিঃসীম সূদুরের ঐ পশ্চিমাকাশ ,
ছিল গনগনে আভা ,টকটকে লাল ।
শত কষ্টে তা একান্ত আপন ,
একাকী নিজের আঙিনায় সত্যিই গোপন।
তবুও ফিরতে যে চায়,
নীড় হারা পাখি, নিজ গৃহে হায়।
একটু একটু করে গুটিয়ে নিয়ে, বজায় রেখে সমস্ত কাজ,
নিজের কাছেই চলে নিজেরই প্রতিবাদ।
আসল নকল আর মোহের ভেলায়,
বিশ্বাস গিয়েছে চলে অবিশ্বাসের খাতায়।
সত্যি হয়েছে মিথ্যা,
আর মিথ্যা হয়েছে সত্যি।
পাল্টে গেছে রুপ, পরিবর্তনের হাওয়ায়,
মায়াহীন প্রান্তরে নিষ্ঠুর, অথচ সরলতার ছায়ায়।
চলছে সার্কাস অভিরত মুখোশহীন মুখে,
চারধারে হচ্ছে কাল যাপন মনে মুখোশ পরিয়ে রেখে।
লজ্জাহীনতার সভ্যতা গড়ে উঠেছে নকল অভিনয়ের হাত ধরে,
তৎক্ষনাৎ ভুলে যায়, একটু আগে কি ছিলে; কেমন ছিলে।
সকল কিছুই মোড়া স্বার্থের অন্ধ কানাগলিতে,
এমনি হালচাল, যেন সব ঠিকটাক হয়নি কিছুই তাতে।
সমর্থন করি যেটা সেটাই শুধু সত্যি,
করিনা যেহেতু সেটাই ভুল, সেটাই মিথ্যা।
এসবের মাঝে তাই ব্যাথাতুর হৃদয়,
রক্তক্ষরণ দেখবে তার, এতকিছুর সময় কই?
~ না মানুষী জমিন (৪/২/২১)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৭