শায়খ আলী উমর ইয়াকুব আব্বাসী- মাসজিদ-আল-আক্বসার ইমাম। আরব বিশ্বে বহুল পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ২০০৯ সালে ডাঃ জাকির নায়েকের আমন্ত্রণে তিনি ‘পিস কনফারেন্স’এ উপস্থিত হয়েছিলেন এবং জুমার নামাযে ইমামতি করেছিলেন (ভিডিও লিঙ্ক-View this link )।
তিনি বাংলাদেশেও এসেছেন কয়েকবার। নিভৃতেই এসেছেন, নিভৃতেই চলে গেছেন। প্রচারের আলো এড়িয়ে চলেছেন তিনি নিজে, যাঁরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁরাও।
তিনি বাংলাদেশে সর্বশেষ এসেছিলেন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। তাঁর সফর ছিল মূলত সিলেটে। তাঁর সফর নিয়ে কয়েকটি সিলেটি পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছিল। যেমন- (কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি এড়াতে সমস্ত লিঙ্কে ব্রাউজারের image display option অফ করে প্রবেশ করুন।)
View this link
View this link
View this link ইত্যাদি।
কয়েকটি জাতীয় দৈনিকেও এ ব্যাপারে খবর ছিল। যেমন-
View this link
View this link ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে ‘দৈনিক সিলেটের ডাক’ পত্রিকায় (৯ ডিসেম্বর ২০১২) শায়খ আব্বাসীর একটি বক্তব্যের কিছু অংশ উল্লেখ ছিল। সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই এই পোস্ট। পোস্টের শেষাংশে গত বছরের জুলাইতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় তাঁর একটি বক্তব্য থেকেও কিছু অংশ উল্লেখ থাকবে ইনশাআল্লাহ।
‘দৈনিক সিলেটের ডাক’ এর প্রতিবেদনটির লিঙ্ক- View this link
(এই লিঙ্কে ক্লিক করলে অনেক সময় পত্রিকাটির প্রথম পাতায় চলে যায়। সেক্ষেত্রে পুনরায় ক্লিক করুন।)
প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে- (স্ক্রীনশট )
মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রধান ইমাম ও খতীব শায়খ আলী উমর ইয়াকুব আববাসী বলেছেন, দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীন সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। এ জন্যেই আজ আমরা মুসলমান। যতদিন তাবলীগ চলবে, দ্বীন থাকবে এবং তাবলীগ বন্ধ হলে দ্বীনও থাকবে না। এজন্যে তাবলীগের কার্যক্রমে আমাদেরকে সম্পৃক্ত হতে হবে। তিনি গতকাল বাদ ফজর নগরীর নয়াসড়ক মসজিদে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বয়ানকালে একথা বলেন। বিপুল সংখ্যক মুসল্লীর উপস্থিতিতে তিনি বয়ান পেশ করেন।
শায়খ আলী উমর ইয়াকুব আববাসী বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে নবীজী (সাঃ) সাহাবাদেরকে সোনার মানুষে পরিণত করেছেন এবং সাহাবাদের তাবলীগের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ ইসলামের দাওয়াত পেয়েছে। সাহাবাদের দাওয়াত ও তাবলীগের উছিলায় আরবের চেয়ে আরবের বাইরেও আল্লাহর ওলী আব্দাল ও আলিম উলামা বেশি পয়দা হয়েছেন। ইমাম বোখারীর বাড়ি আরবে নয়, রাশিয়ায়। ইমাম আবু হানিফার বাড়ি সৌদী আরব নয়, ইরাকে। এভাবে অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যায়।
তিনি নিজে ১৯৯৮ সালে ভারতের নিজামুদ্দীনে তাবলীগে এসে ৪ মাস সময় লাগিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের টঙ্গীতেও বিশ্ব ইজতেমায় এসেছি, পাকিস্তানেও সময় লাগিয়েছি। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, আল আক্বছা মসজিদের ইমাম হয়ে কি পেলাম আমি বলবো অনেক কিছু পেয়েছি। আমি আরবীতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করেছি তারপরও চিল্লাতে যাওয়ায় আমার ইলম বেড়েছে, আমল বেড়েছে, চরিত্র উন্নত হয়েছে। তিনি মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এই মুহুর্তে কাউকে ৪ মাসের জন্যে চিল্লায় যেতে বলবো না। বরং একথাটি বলবো যে, প্রতিটি মসজিদে দাওয়াতের কাজ হয়, গাশত হয়, পরামর্শ হয়, তালীম হয়-আপনারা এসব কার্যক্রমে শরীক হোন। দিল নরম হবে, ঈমানের নূর আসবে, ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
দারুসসালাম মাদ্রাসা : মুসলিম উম্মাহর প্রথম ক্বিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রধান ইমাম শায়খ আলী উমর ইয়াকুব আববাসী বলেছেন, আল্লাহ পাকের ঘোষণা হলো বিধর্মীরা যতই চেষ্টা করুক ইসলামের আলো নিভিয়ে দিতে পারবেনা। মহানবী (সাঃ) এর যতই বিরোধিতা করুক না কেন তাঁর নাম ও আদর্শ সমগ্র বিশ্বে সমুন্নত থাকবে।
তিনি বলেন, জামেয়া মদীনাতুল উলূম দারুস সালামের ন্যায় মাদ্রাসা সমূহ বিদ্যমান থাকলে দ্বীন টিকে থাকবে, অন্যথায় মূর্খতায় সমাজ ছেয়ে যাবে। তাই, এ ধরণের প্রতিষ্ঠান গুলোকে টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের ঈমানী দায়িত্ব। তিনি গতকাল শনিবার জামেয়া মদীনাতুল উলূম দারুস সালাম খাসদবীর মাদ্রাসায় এক বিশাল দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
জামেয়ার মুহতামিম মাওলানা মুফতী ওলীউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মুহাম্মদ জাকারিয়ার পরিচালনায় মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন-মাওলানা আব্দুল হক শায়খে বানারাই, হাফিজ মাওলানা জিল্লুর রহমান, মাওলানা ফরিদ আহমদ খান, হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, জামেয়ার কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ইসরাঈল মিয়া, জামেয়ার শিক্ষক মাওলানা নাসির উদ্দিন, হাফিজ মাওলানা মুক্তার আহমদ, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ প্রমুখ। মাহফিলে প্রধান অতিথির সম্মানে জামেয়ার শিক্ষক মন্ডলীর পক্ষ থেকে মানপত্র পাঠ করেন মাওলানা আব্দুল খালিক।
গত বছরের জুলাইতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় Mayfair Jummah Masjid এ তাঁর বক্তব্যের অডিও পাবেন এখানে- View this link (অডিওতে আরবীর পরে ইংরেজিতে অনুবাদ আছে।)
বক্তব্যের শেষাংশ থেকে ( ৩১ মিনিট থেকে শুনুন) (ইংরেজি থেকে অনুবাদ)-
•আমি ভারতের নিজামুদ্দীনে (দিল্লীতে অবস্থিত তাবলীগ জামাতের মারকাজ) গিয়েছি।
•আপনারা আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার নিয়ত করুন, ৪০ দিনের জন্য, ৪ মাসের জন্য।
•ভালো হয় যদি আপনারা জামাত নিয়ে ফিলিস্তিনে আসেন। যদি তা না পারেন, তবে ব্যক্তিগতভাবে আসুন। ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের সাথে মিলে দাওয়াতের কাজ করব।
পোস্ট শেষ। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।