somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতা মা-বোনের সংখ্যা দুই লক্ষ। এটা নীচে নামানোয় তাদের স্বার্থ কি ও কারা তারা?

২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭২ সালের আঠারোই জানুয়ারী News York Times এ এই খবরটি প্রকাশিত হয়। খবরে পরিস্কারভাবে পাকি হানাদারদের হাতে ধর্ষিতা নারীদের সংখ্যা দুই লাখ বলে জানানো হয়। আরো অন্যান্য খবরেও এই সংখ্যাকে সমর্থন জানানো হয়। তারপরও কিছু কুলাঙ্গারের দল নানা অজুহাতে এই সংখ্যাকে কমানোর চেষ্টা করে। এই কুকর্মের পেছনে কি স্বার্থ? হানাদারদের সাথে তাদের কি সম্পর্ক, কি যোগাযোগ? নাকি এর পেছনে তাদের নিজেদেরই পুর্বসুরীর কোন অপরাধবোধ কাজ করে?

তাদেরকেই বলছি। অপরাধবোধ দুর করা সাজানো সংখ্যাতত্বের ভিত্তিতে সম্ভব নয়, কুলাঙ্গারের দল! এই বোধ বারবারই আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে, কুরে কুরে শেষ করবে প্রতিনিয়ত। একমাত্র নিজেদের দোষ, নিজেদের ইতিহাসের দোষ নতজানু হয়ে স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেই প্রশমিত হবে সে অপরাধবোধ। জামাত আজ অবধি একবারও তা করে নি।

কিছু কিছু ইতরের দল সে এই ধর্ষনের কথা তুললেই স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক ধর্ষনের কথা তোলে। সে ইতরদেরকেই বলছি, যে কোন ধর্ষন অমার্জনীয় অপরাধ। প্রতিক্ষেত্রেই অপরাধীদের কঠিন সাজা হওয়া দরকার। কিন্তু একটা ইস্যু নিয়ে যখন কথা হয়, তখন অন্য ইস্যু নিয়ে প্রথম ইস্যুকে অবদমন করার মতো কুকর্ম তারাই করে, যাদের ভেতরে আলোচিত প্রথম ইস্যুর প্রতি কোন সমর্থন নেই। এই ফাঁকি আর শঠতা টের পাই প্রতিদিন, অথচ এরাই নিজেদের ধার্মিক বলে দাবী করে! ধিক! সহস্ত্রবার ধিক এই ইতরদের!

খবরটি অনুবাদ করে প্রকাশ করলাম। মূল খবরটিও ছবি হিসেবে দেয়া হলো সাথে।

খ্রীষ্টান গীর্জা সংস্থা পরিচালিত একজন রিলিফ কর্মকর্তা জানান যে, প্রায় যে ২০০০০০ বাংলাদেশী মহিলা পকিস্তানী সেন্যদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন ও তারা সমাজে পূনর্বাসনের কোন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

খ্রীষ্টান গীর্জার সংস্থা রিলিফ সোসাইটির এশিয়ান অঞ্চলের কর্মকর্তা রেভারেন্ড কেনাত্রো বুমা এক সাক্ষাতকারে জানান যে, সামাজিক নিয়মের কারনেই কোন মুসলমান স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাননা, যদি তার স্ত্রী অন্য কোন পুরুষের হাতে স্পর্শিত (এক্ষত্রে ধর্ষন) হন। যদি স্ত্রীর উপর জোর খাটানো হয়, তাহলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

বাংলাদেশের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা এই ধারাকে দুর করার জন্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মি: বুমা। তারা এই মহিলাদের স্বামীদের বীরাঙ্গনার সন্মান দিয়ে ফিরিয়ে নেবার অনুরোধ জানিয়েছেন। কেউ কেউ তাদের স্ত্রীদের ফিরে নিয়েছেন, কিন্তু তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম।

সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনায় এই মহিলাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে খ্রীষ্টান গীর্জার সংস্থা সামনের সপ্তাহে আবার আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছে।
New York Times
Published January 18, 1972
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৫৪
১৩টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×