বাসন্তী পূর্ণিমায় নীলাম্বর সেজেছে আজ
বুভুক্ষিত মন গন্ধের ব্যকুলতায় বিমূঢ় হয়, আহা পূর্ণিমা !
কেন আজকের মতো জ্যোতির্ময় রূপ দেখিনি আগে, কখনও দেখেনি
বৈরাগ্য জীবন যেন বোলতার হুলে নীল; প্রবোধহীন– নিঃসঙ্গ– নিরালম্ব!
নির্জলা প্রান্তর, ক্ষীণ হয়ে আসে পিদিমের আলো
ব্যস্ত প্রহরী তাড়া দেয়- সময় যে হয়ে এলো
হুইসেল বাজলো বলে!
মনের ক্যানভাসে ভেসে আসে অমোচিত পাপ
নির্লিপ্ত কণ্ঠে কে যেন শুধায়, একটু জল খাবে ?
চৌচির হয়ে ফেটে যাচ্ছে বুক; তৃষ্ণা মেটে না, কিছুতেই না!
প্রায়শ্চিত করার ব্যর্থ প্রয়াসে চোখে নামে প্লাবন
ভোরের শেফালি কুড়ানো হবে না বুঝি!
ঘাসের ডগায় শিশিরের মুক্তোদানায় ভেজাবোনা পা
আঁচল বিছাবোনা আর তোমাদের নরোম মৃত্তিকায়!
জীবন সায়াহ্নে কেন তবে অনুভূতি পাখা মেলে!
ভাবনার আকাশে কেন আজ এত বিস্ফোরণ?
হে অন্তর্যামী! ক্ষমা চাই- ক্ষমা চাই- ক্ষমা চাই লুটিয়ে তোমার চরণ
ক্ষমা কর আমায়! ক্ষমা কর---
গীর্জায় বাজছে ঘণ্টা, ভেসে আসছে মুয়াজ্জিনের আযানের সুর
ব্যস্ত প্রহরী তাড়া দেয়, সময় যে হয়ে এলো
হুইসেল বাজলো বলে -----!
কাব্যগ্রন্থঃ নির্বাসিত জোছনাদল , একুশে বইমেলা ২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫