somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইঁদুর

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসস্টপ একটু দূরে। হাঁটতে ইচ্ছে করছে না। অফিস শেষে আমার স্ত্রী’র নতুন শাড়ীর প্যাকেট হাতে রাস্তার অজায়গায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্যে অপেক্ষা করছি। শাড়ীটি বদলাতে হবে। ইফতারের আরও এক ঘন্টা বাকী আছে। পথে প্রচুর ঘর ফিরতি মানুষ ঘরে ফেরার যুদ্ধে ব্যস্ত। আমি তেমন তাড়া অনুভব করছি না। গতকাল ঈদের বাজার করতে স্বপরিবারে বের হয়েছিলাম। মেয়েটা এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। আর ছেলেটা চার মাস আগে এই টানাটানির সংসারে ভুল বশত চলে এসেছে। ছেলেটার জন্মের পর থেকে বেশ কিছুদিন মেয়েটা তার মায়ের সাথে কথা বলেনি। হয়তো লজ্জায়। নাকি এই বয়সে নতুন ভাইটিকে সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না? ভাই বোন দুজনের মাঝে বিরতিটা একটু বেশীই হয়ে গেল। তবে ক’দিন ধরেই দেখছি, সে সবসময় ছোট্ট ভাইটিকে কোলে নিয়ে মনের আনন্দে এঘর ওঘর ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বাচ্চার মা তার বড় বোনের দেবরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, এখনো ছুটিতে আছে। আত্মীয়তার খাতিরে হোক বা অন্য যে কোন কারনেই হোক, সুফিয়ান সাহেব তাকে কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকেন। এই যেমন, বাচ্চাটা পেটে আসার পর থেকেই সে ম্যাটারনিটি লিভ ভোগ করে আসছে।
সারাদিন অফিস করার পর শরীরটা আর টানতে পারছিলাম না, তবু বাজারে যেতে হল। তবে হ্যাঁ, মেয়ের আব্দারের চাইতে মেয়ের মায়ের ধমকই আমাকে বেশী বাধ্য করেছিল যেতে। বাচ্চার মায়ের শখ হয়েছে বাচ্চার জন্যে জিন্সের প্যান্ট কিনবে, তাও আবার ফুল প্যান্ট। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত বারটা পর্যন্ত কয়েকটি মার্কেটের প্রত্যেকটির অলিগলি ঘুরতে হয়েছে সেই দুর্লভ জিনিসের খোঁজে। তার পড়নের হাফ প্যান্টটাই ফুল প্যান্টের মত দেখাচ্ছে, আর ফুল প্যান্ট গুলো না জানি কেমন দেখাবে। দোকানিরা আকারে ইঙ্গিতে বাচ্চার মাকে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আসল কথা হল, ছেলের বয়স চার মাস হলেও শরীরটা দেখতে যেন ঠিক চার দিনের। তবে চেহারাটা বেশ মায়াকাড়া। আমারও মায়া লাগে খুব। কিন্তু কোথায় যেন সামান্য ব্যাথা অনুভূত হয়। যখনই তার মাথার ডান পাশের চুলের পাকের সাথে, সুফিয়ান সাহেবের অবিকল প্রতিরূপ চোখে ভাসে তখনই অন্তরটা বিষময় হয়ে ওঠে।
দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টার পরিশ্রম অবশেষে সফল হয়েছে, তবে অর্ধেক। জিন্সের একটি হাফ প্যান্ট পাওয়া গেছে তাও প্রায় দু’বছরের বাচ্চার। পড়ানোর পর প্যান্টের কোমরের অংশটা আলতো করে টেনে ধরলে হা হয়ে থাকে। মনে হয় যেন দন্তহীন কোন শত বর্ষীয় বৃদ্ধ মুখ হা করে হাসছে। অফিস থেকে এবার বোনাস দেবে না বলেছে। পকেটের অবস্থা খুবই করুণ। স্ত্রী কন্যারা তা ভাল ভাবেই জানে। কন্যাটি এবার ঈদে কিছু কিনবে না বলেছে। হয়তো বাবার জন্য তার মায়া হচ্ছে। যদিও কন্যার চাইতেও স্ত্রীর সাথে আমার সম্পর্ক আরো দীর্ঘ দিনের, সে কেন আমাকে বুঝবে না? কিন্তু এটাই সত্যিকারের সত্যি যে, সে আমাকে সত্যিই বুঝবে না। প্রায় দেড় যুগ পার হয়ে গেল, আমাকে বোঝার চেষ্টা করার তেমন কোন লক্ষণ এখনো পর্যন্ত দেখলাম না।
প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছি, বহু কষ্টে সংসারের ঘানি টেনে চলেছি। ইদানীং ঘানির কলকব্জায় জং ধরেছে, ঘানি আর ঘুরতে চায় না। আচ্ছা, ঘানিটা আমি যেভাবে টেনে চলেছি তা অমন ভাবে টানার কোন প্রয়োজন আদৌ ছিল কি? নাকি কপালের ফেরে প্রয়োজনটা সৃষ্টি হয়েছে? যা আয় করছি তা দিয়ে ছোট্ট সংসারটা বেশ চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিনিয়তই আমার অভাব লেগে থাকে কেন? প্রত্যেক মাসে এর ওর কাছ থেকে ধার করতে হয় কেন? আজ তিন মাস হতে চলল আমার পাশের টেবিলের সহকর্মীর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়েছি। দিতে পারছি না এখনো। কিছুদিন আগে সৌজন্যতাবশত ওঁকে বলেছিলাম, ‘টাকাটা দিতে একটু দেরী হচ্ছে ভাইজান।’ তিনি কপট গাম্ভীর্য নিয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে.. ঠিক আছে..।’ কিন্তু তাঁর চেহারা দেখে মনে হয়েছে, ‘ঠিক নেই।’ প্রতিনিয়ত অভাব লেগে থাকার কারণ অনুসন্ধানে, অফিসে বসে কিছুদিন আগে একটা অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরী করার চেষ্টা করেছিলাম। রিপোর্টটা অনেকটা এরকম,
১) প্রত্যেক মাসে আমার স্ত্রী’র আত্মীয় স্বজন বা বন্ধুদের, কিংবা তাদের সন্তান সন্তুতির বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠান লেগেই থাকে।
২) সেখানে সব সময় ভরা হাতে উপস্থিত থাকতে হয়।
৩) এর মধ্যে আবার কোন কোন অনুষ্ঠানে যেতে বিশেষ বিশেষ কাপড় চোপড় খরিদ করতে হয়। (যেমন, তাদের অনেক প্যাঁচানো সম্পর্কের বোন সম্পর্কৃত কারো গায়ে হলুদে, বোনেরা সকলে অমুক রঙের জামদানি শাড়ী পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুতরাং এবার অমুক রঙের জামদানি শাড়ী কিনতে এসি অলা কোন মার্কেটে ছোটো।)
৪) মহিয়সী’র ভাতিজার জন্ডিস হয়েছে, ওর রোগ মুক্তির জন্য অমুক মাজারে একটি ছাগল মানত করতে হবে। ব্যাস এবার ছাগল কিনতে হাটে ছোটো।
৫) ধারদেনা করতে করতে,
তালিকা তৈরীর এই পর্যায়ে শব্দের গঠনশৈলী ঠিক করতে এবং আরো আরো কারণ খুঁজে বের করতে, চিন্তা করার জন্য একটু ধূমপানের উদ্দেশ্যে বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি রিপোর্টের অসমাপ্ত পঞ্চম নম্বরটির নীচে কলম দিয়ে চাপা দেয়া আছে একটি খোলা চিরকুট। সেখানে সবুজ কালিতে আমার ঋণদাতা সহকর্মীটি লিখে রেখেছেন, ‘ভাইকে বলতে লজ্জা লাগছে তাই লিখে জানাচ্ছি, দুইদিন পরে ঈদ, টাকাটা বড়ই দরকার।’
হঠাৎ একটি মাইকের আওয়াজ শুনে চমকে উঠলাম। শ্লেষ্মা জড়িত ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে কে একজন বলে চলেছেন, ‘চিকন ইন্দুর, মোটা ইন্দুর, গুরা ইন্দুর, ধাঁড়ি ইন্দুর..’ তার পর পরই মাইকে কাশির শব্দ শোনা যেতে লাগল। আমি অবাক হলাম। এবার ঈদে কি পথে ঘাটে ইঁদুরও বিক্রি হচ্ছে? বাম পাশে তাকিয়ে দেখি বাসস্টপের দিক থেকে এক বয়ষ্ক লোক এদিকেই এগিয়ে আসছেন। এক হাতে একটি হ্যান্ড মাইক, আর অন্য হাতে দশ বারো বছর বয়সের একটি মেয়ের কাঁধ ধরা রয়েছে। মেয়েটির অন্য কাঁধে বিশাল এক ঝোলা। কোন রকমে কাশি সামলে বৃদ্ধ তার পূর্ব কথার খেই ধরলেন, ‘এক রাইতেই সব খতম হয়া যাইবো।’ আমার কপালের ভাঁজ ঢিল হল।
মেয়েটির এক হাতে ধরা রয়েছে, ছোট্ট প্ল্যাকার্ডে কাঁচা হাতের আঁকা ইঁদুরের ছবি। কাছাকাছি আসতেই বৃদ্ধ কাশতে কাশতে ফুটপাতে বসে পড়লেন। দেখলাম অন্ধ লোকটি আসলে তেমন বয়ষ্ক নন। হয়তো ঘানি টানতে টানতে ন্যুজ হয়ে পড়েছেন। মনে হল, এ আমার মতই আরেক বলদ। তফাৎ শুধু এই, আমি কিছুটা কেতাদুরস্ত আর সে বিবর্ণ। আচ্ছা, দুই বলদে একটু কথা হলে কেমন হয়? কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘এই অষুধে ইঁদুর মরে?’ লোকটি কাশতে কাশতে বললেন, ‘মানুষ সহ মইরা যায় আর ইন্দুর.. দিমু এক পাকিট?’ আমি বললাম, ‘নাহ্ .. বাসায় ইঁদুর নাই।’ লোকটি রেগে গিয়ে ধমকে উঠলেন, ‘তাইলে খামাকা কথা কন ক্যান.. সরেন।’ আমি থতমত খেয়ে এদিক ওদিক তাকালাম। না, কেউ দেখতে পায়নি। কাশতে কাশতে তার হাত থেকে মাইকটা পরে ব্যাটারী গুলো খুলে গেল। মেয়েটি অনেক চেষ্টা করেও সেগুলো লাগাতে পারছে না। আমি তার কাছ থেকে ব্যাটারী চারটা চেয়ে নিয়ে সব ঠিকঠাক করে দিলাম। তারপর একথা সেকথায় লোকটির সাথে খানিক ভাব হয়ে গেল। ইঁদুরের অষুধ নাকি এখন তেমন একটা কেউ কেনে না। শহরে নাকি ধীরে ধীরে ইঁদুর কমে আসছে। ভেবে দেখলাম তাইতো, আমার বাসাতেও ইঁদুর নেই। এই ভাল, ইঁদুরেরা বড়ই নাদান। শুধু ঘর কাটতে ব্যস্ত। ক্ষতি টের পাওয়ার পরে গেরস্থের তখন হা পিত্যেস করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। তবে হ্যাঁ, চিকন-মোটা বা গুরা ইঁদুর কমে আসলেও ধাঁড়ি ইঁদুর এখনো রয়ে গেছে কিছু কিছু জায়গায়।
ঔষধ বিক্রেতা নাকি আজ সারাদিনে তিন প্যাকেট ঔষধ বিক্রি করে মাত্র ত্রিশ টাকা কামাই করেছে। আগামী পরশু ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কথায় কথায় সে জানাল, সবার কেনা কাটা প্রায় শেষ। তার বউ হোটেলে মরিচ পেষার কাজ করে। বউটা তার স্বামীর জন্য পাঞ্জাবী আর মেয়ের জন্য ফ্রক কিনে এনেছে। সে ঠিক করেছে, যেভাবেই হোক তার বউকে একটা শাড়ী কিনে দেবে। আর দু’শ টাকা যোগাড় করতে পারলে তিনশ টাকা দিয়ে মোটামুটি ভাল মানের একটা শাড়ী পাওয়া যাবে। কেন যেন তার স্ত্রী’র শাড়ীটি আমার কিনে দিতে ইচ্ছে হল। লোকটি দু’শ টাকার জন্য ঔষধ বিক্রি করতে যে পরিমান কষ্ট করছেন, তার চাইতে অনেক কম পরিশ্রমে ভিক্ষা করেও ঐ টাকা যোগাড় করতে পারত। কিন্তু সবাই সবকিছু পারে না, কিংবা সবকিছুর প্রতি সকলের আগ্রহও তেমন থাকে না। যেমন, এই মুহুর্তে আমি শাড়ী বদলাবার আগ্রহ দূরে থাক বাস ধরার আগ্রহও বোধ করছি না বিন্দুমাত্র। আমার স্ত্রী বলেছে এই শাড়ী বদলিয়ে একই ডিজাইনের কমলা রঙের শাড়ীটা নিয়ে যেতে।
আমার ভেতরটা আদ্র হয়ে গেছে। আচ্ছা লোকটির জন্যই কি এমন বোধ হচ্ছে, নাকি তার সুখের সাংসারটির জন্য? যদিও পকেটের সার্বিক অবস্থা সুবিধার নয়, তবু ইচ্ছে হল লোকটিকে যদি কিছু সাহায্য করতে পারতাম। অবশ্য লোকটি আমার সাহায্য নিতে চাইবে কিনা সেটাও একটা কথা। দেখেশুনে যা মনে হচ্ছে, সে কারো করুণার তোয়াক্কা করে না। মেয়েটাকে বললাম, ‘আমাকে দুই প্যাকেট দাওতো মা?’ লোকটি বললেন, ‘কইলেন না, আপনার ঘরে ইন্দুর নাই?’ কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না। তবু কিছু একটা বলার জন্য বললাম, ‘থাকতেও তো পারে।’ সে বলল, ‘আপনারে ভাল্লাগছে.. পয়সা কিন্তুক নিমু না কইলাম।’ ওমা, এ বলে কি! কিছুক্ষণ একটু কথাবার্তা হয়েছে আর তাতেই পয়সা নিতে চাইছে না, অদ্ভুত তো! কাছেই একটি বাস এসে থামল। একটি যাত্রী উঠছে। আমি দু’প্যাকেট ঔষধ নিয়ে অন্ধের হাতে দু’টা নোট গুঁজে দিয়ে, দ্রুত পায়ে বাসের দিকে এগিয়ে গেলাম। পেছন থেকে শুনলাম, মেয়েটি তার বাবাকে বলছে, ‘বাজান.. ব্যাডায় দেহি তোমারে দুইটা একশতি দিয়া গেছে।’ মাইক হতে লোকটির শ্লেষ্মা জড়িত ডাক শোনা গেল, ‘টেকা বেশী দিছেন.. ও ভাই.. ও ভাইজা.... ন।’
বাসে বসার সিট দূরের কথা দাঁড়ানোর মত কোন জায়গাও নেই। এক হাতে শাড়ীর প্যাকেট আর অন্য হাতের ক’টি আঙ্গুল দিয়ে বাসের হাতল ধরে আছি। হাতল ধরা হাতের বাকী আঙ্গুলে অপ্রয়োজনীয় ঔষধের প্যাকেট দু’টি অতিকষ্টে ধরা রয়েছে। আরে, আমি শুধু শুধু প্যাকেট দু’টা কেন ধরে রেখেছি? মাথার ভেতর আজগুবি সব চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। প্যাকেট গুলো ফেলে দেয়ার জন্য হাতটা জানালার বাইরে নিতে গিয়ে, অবচেতনে প্যান্টের পকেটে পুরে নিলাম।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৪
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×