গত ১৪ই ডিসেম্বর-২০০৮ ইরাক সফরকালে এক প্রতিবাদী সাংবাদিক বুশকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেছে। বিশ্বব্যাপী এটি একটি আলোচিত ও নন্দিত ঘটনা। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু দালাল টাইপের লেখক ব্লগার এ ঘটনায় খুশী হতে পারেনি। তাই তারা বুশকে যেভাবে জুতা মারা হয়েছে তেমনি বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের কেন জুতা মারা হয় না বলে আফসোস করেছেন। আসলে তারা এ ঘটনায় খুশী হতে পারেননি বলে তা অন্যভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যারা মনোবিজ্ঞান কিছুটা চর্চা করেন তাদের কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার। তাদের মনের কথা হল, বুশকে জুতা মারা আসলে ঠিক হয় নাই। জুতা মারা উচিত ছিল নিযামীদের গায়ে।
এমনিভাবে আমরা দেখেছি যখন বাবরী মসজিদ ভাংগা হল তখন এ দেশে প্রতিবাদ মিছিল হল, একটি রাজনৈতিক দলের লোকেরা তখন শ্লোগান দিল দুই দেশে দুই খুনী : গোলাম আযম আদভানী। কোথায় আদভানী আর কোথায় গোলাম আযম! বাবরী মসজিদ ভাংগার ঘটনায় গোলাম আযমের কী ভূমিকা আছে? আসলে তারা চেয়েছিল, এ ঘটনার প্রতিবাদ না হোক। কারণ, বাবরী মসজিদ ভাংগলে তাতে তাদের কী? ঠিক এমনিভাবে যখন যুদ্ধপরাধী হিসাবে সার্বিয় নেতাদের বিচারের প্রসংগ আসল, তখন সেই দলের নেতারা বলতে লাগল, আমাদের বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করতে হবে। আসলে তারা বলতে চায় বসনিয়ায় মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে তাতে সমস্যা কী? ভারত তো তা পছন্দ করে। আমরা যখন এ দাবীর বিরোধীতা করতে পারি না তখন এটি জটিল করার চেষ্টা করতে দোষ কী? ভাবটা এরকম যে, তাকে এটা দিলে আমাকে ওটা দিতে হবে। উদ্দেশ্য হল যাতে তাকে এটা দিতে জটিলতা তৈরী হয়।
তাই আপনারা সময় মত দালাল চিনতে ভুল করবেন না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






