অন্ধকার যুগের রাজা-রাণীদের কেচ্ছা-কাহিনী, ইতিহাসে দেখা যায় তাদের রাজপুত্র ও রাজ কন্যারা যখন খুশী যাকে ইচ্ছা গর্দান উড়িয়ে দিত। জল্লাদ তাদের সাথেই থাকত। রাজা রাণীরা তো উজির নাজীরদের গর্দান উড়িয়ে দিত কথায় কথায়। এ সব রাজা-রাণী, রাজপুত্র-রাজকন্যার বিচার করার কল্পনা করতেও কেহ সাহস পেতনা। পরে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে ইসলামই প্রথম রাজা-বাদশা-শাসকদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাড় করার সংস্কৃতি শিক্ষা দিয়েছে বিশ্ববাসীকে।
এখন আর এমন প্রচলন নেই যে রাজা-বাদশারা কথায় কথায় কারো জান কবজ করবে। তবে প্রেক্ষাপট বদলেছে মাত্র, কিন্তু সেই জাহেলী সংস্কৃতি রয়েই গেছে। আগেকার সেই রাজা-বাদশাদের ভূমিকায় আছেন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা আর রাজ-পুত্রদের ভূমিকায় আছে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। তারা যদি অকারণে কোন মানুষ খুন করে তবে তার বিচার হয় না, বিচার চাওয়াও হয় না। বিচার চাওয়টাই যেন অবিচার। অনেক ঘটনা আছে। মাত্র একটি দৃষ্টান্ত হিসাবে দিচ্ছি।
গত ২০০৪ সালের ৪ই জুন। একটি রাজনৈতিক দলের হরতাল আহবানের পূর্ব রাতে ঢাকার শেরাটন হোটেলের কাছে বিআরটিসির একটি দোতালা বাসে আগুন দেয়া হয়েছিল। তাতে এগারজন নিরাপরাধ মানব সন্তান পুড়ে মারা গিয়েছে। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তাও জেনেছে সরকারী সংস্থাগুলো। সংবাদপত্রেও তাদের নাম প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু চার বছরেও তার বিচার হয়নি। ভবিষ্যতে হবে বলে মনে করি না। কারণ খুনীরা রাজপুত্র আর নিহতরা সাধারণ মানুষ। অপরদিকে শায়খ আব্দুররহমান ও মুফতী হান্নানেরাও মানুষ খুন করেছে অন্যায়ভাবে। তাদের বিচার হয়েছে ও হচ্ছে। পার্থক্য হল এখানে খুনীরা সাধারণ মানুষ আর নিহতরা উচ্চ বর্ণের।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






