somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার! বিচার!! বিচার!!! আর ভাল লাগে না

০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা ব্লগে প্রবেশ করি কিছু জানার জন্য, কিছু শেখার জন্য। কিন্তু ব্লগে ঢুকেই দেখি বিচার চাই বিচার চাই বলে চিৎকার । ব্লগগুলো কি এর জন্যই চালু করা হয়েছে? আমার মতে যারা ব্লগে বিচার বিচার বলে চেচামেচি করছে ওরা কতগুলো অপদার্থ। ওরা মুক্তযুদ্ধ করেনি, রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী কে, তা চেনেও না। কিছু ভিনদেশী সুবিধাবাদী দালাল বুদ্ধিজীবিদের কথার প্রতি অন্ধ আনুগত্য রেখে এবং কিছু ভারতীয় দালাল মিডিয়ার খপ্পরে পরে ওরা এ ধরনের চেচামেচি করছে। বিচার করার দায়িত্ব আদালতের। এ অলসগুলো আদালতে যেয়ে চিল্লাচিল্লি কেন করে না? ব্লগের পাঠকরা কি বিচার করার ক্ষমতা রাখে? বিচার করার দায়িত্ব কাদের এতটুকু জ্ঞান কি তাদের নেই?
আসলে তারা অলস মস্তিস্কের মানুষ। আর অলস মস্তিস্ক হল শয়তানের ঘাটি। কোন ভাল কাজ বা উদ্দোগ তারা নেয় না। বর্তমান দিন বদলের সরকারের কাছে আমার প্রত্যাশা তারা যেন এ সকল বেকার, অলসদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। যুদ্ধপরাধ বিরোধী প্রকল্পে এদের টাইপিষ্ট হিসাবে চাকুরী দেয়া যেতে পারে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শ্লোগান হল নির্বাচনের শ্লোগান। নির্বাচন শেষ, এখন আর এর কোন মূল্য নেই।
তাই তাদের বলব, দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর, বাস্তববাদী, সৃজনশীল, ভবিষ্যতমূখী ভাল কিছু করার জন্য আত্ননিয়োগ করুন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে দেশ ও জাতির ক্ষতি ছাড়া কোন স্বার্থ নেই। এটা একটা অসার রাজনৈতিক শ্লোগান।
আমি দেশের প্রায় সব কটি জেলায় সফর করেছি একটি এন জি ওর কর্মকর্তা হিসাবে। তখন সাধারণ মানুষের সাথে যখন কথা হয়েছে। তাদেরকে বলেছি আমি মুক্তযুদ্ধ দেখিনি। আমার জন্ম একাত্তরের পরে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা আমাদের অহংকার। আপনি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন। তখন অনেকেই যেমন পাক-বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসরদের জুলুম-নির্যাতনের কাহিনী শুনিয়েছে তেমনি বহু মানুষ মুক্তিবাহিনীর জুলুম অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছে। তেমনি অনেকে শান্তি কমিটি ও রাজাকারের ব্যানারে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছে। অতএব যুদ্ধাপরাধের সাথে উভয় পক্ষই জড়িত। কাজেই এক পক্ষের বিচারের দাবী কেন? পরাজিত বলে? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার ছিল। কেন তারা বিচার করেনি? ধিক আমাদের দালাল বুদ্ধিচীবিদের যারা তাদের মিথ্যা দিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকেও কলুষিত করেছে। সঠিক ইতিহাস থেকে আমাদের অন্ধকারে রেখেছে। আমি মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি ইতিহাস পড়েছি। সবগুলোকে আমার কাছে একতরফা ও পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয়েছে। কারো কাছে নিরপেক্ষ ইতিহাস গ্রন্থ থাকলে আমাকে সন্ধান দিতে পারেন।
আর যদি এ ব্লগগুলো কোন গোষ্ঠির বিচার দাবীর জন্য নির্মিত হয়ে থাকে তবে সেটা কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিলে ভাল হয়। তাহলে অন্তত আমরা ভিন্নমত প্রকাশের দু:সাহস দেখাব না।
১২টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×