বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেছে। তারা যে কোন পরিবর্তনের ম্যান্ডেট পেয়েছে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিসত্বর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নির্মূল করতে হবে। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি জঙ্গীবাদের প্রথম সোপান। এমনভাবে নির্মূল করতে হবে যেন আর কখনো এরা মাথা তুলে দাড়াতে না পারে। এরা ধর্ম-কে ব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য। এ জন্য যা করতে হবে :
১- ইসলামের নামে কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না
২- কোন রাজনৈতিক দলের নীতি-আদর্শে ইসলামী আইন বা শরিয়াহ বাস্তবায়নের কথা বলতে পারবে না।
৩- যারা রাজনীতি করবেন তারা এমন পোষাক পড়তে পারবেন না, এমন নাম ধারণ করতে পারবনে না যা কোন ধর্মের পরিচয় বহন করে।
৪- কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বক্তৃতায় ধর্মীয় পরিভাষা- বিসমিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আকবর, আমি মুসলমান ইত্যাদি বাক্য ব্যবহার করতে পারবেন না।
৫- রাজনৈতিক নেতারা শুধু ব্যক্তিগত ভাবে ধর্ম পালন করতে পারবেন।
৬- যদি কোন কারণে রাজনৈতিক দলগুলো মীলাদের আয়োজন করে তাহলে সেখানেই হিন্দু রীতিতে পুজা, খৃষ্টীয় রীতিতে প্রার্থনা করতে হবে।
৭- সংবিধানকে সম্পূর্ণ ধর্ম-নিরপেক্ষ করতে হবে।
৮- যারা ইতিপূর্বে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন তারা ভবিষ্যতে কোন রাজনৈতিক দল গঠন করতে বা কোন দলে যোগ দিতে পারবেন না।
যদি বর্তমান সরকার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে ব্যবস্থা না নেন তবে ভবিষ্যতে জনগণের আস্থা হারাতে পারেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






