নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলা নিয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী। সংক্ষেপে অনেকে বলেন নোফেল। এর একটি অর্থ করা যায় নো-ফেল, মানে যারা পরাজিত হয় না।
সত্যিই এবারকার সংসদ নির্বাচনে তারা পরাজিত হয়নি। সারা দেশ নৌকার জোয়ারে ভেসে গেলেও তারা ভেসে যায়নি। তারা ভেসে না গিয়ে তিনটি শক্তিকে পরাজিত করেছে। সে শক্তি তিনটি হল
এক. ছ্যাচরা দাজ্জাল। মানে তত্বাবধায়ক সরকার। এরা তাদের পরিসরে এমন কোন কাজ নেই যা আওয়ামী লগের পক্ষে করে নাই।
দুই. ছুচ্চা দাজ্জাল। মানে মিডিয়া। তারা বি এন পি জোটের বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার বাদ রাখেনি। তাদের সাদ ও সাধ্যের মধ্যে মনের মত করে বি এন পি বিরোধী প্রচার চালিয়েছে। দুদকও ছিল এদের দলে।
তিন. লুচ্চা দাজ্জাল। মানে ইলেকশন কমিশন। তারা আওয়ামী জোটের অনুকুলে সকল কাজই করেছে।
আমি আশ্চর্য হই, সারা দেশের মানুষ এ তিন দাজ্জালের খপ্পরে পরে গেছে। তাদের কাছে পরাজয় বরণ করেছে। কিন্তু নোয়াখাইল্যারা পরাজিত হয়নি। তারা যখন এ সকল দাজ্জাল-কে পারজিত করেছে আশা করা যায় তারা কেয়ামতের সময় মহা-দাজ্জাল-কেও পরাজিত করবে। তার কাছে নতি স্বীকার করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে নোয়াখালীর মানুষকে সচতেন বলে জানি। এখন দেখি তারা শুধু সচেতন নয় অদম্য, নিজেদের বিশ্বাসে অবিচল। কোন শক্তি তাদের টলাতে পারে না।
হেই জন্য মনে মনে কই, মুই যদি নোয়াখাইল্যা অইতাম! তয় মুই বরিশাইল্যা। মোগো আসনেও মোরা এ তিন দাজ্জালকে পরাজিত হরছি। সব আসনগুলোতে যদি পরাজিত হরতে পারতাম তাহলে নোয়াখাইল্যাগো মত গর্ব হরতে পারতাম। কইতে পারতাম, যারা লগি বৈডা দিয়া পিডাইয়া মানুষ মারে মোরা হ্যাগো ভোড দি নাই। ভোড দিয়া হ্যাগো আত্নার অভিশাপের ভাগি অই নাই।
উল্লেখ্য বৃহত্তর নোয়াখালী থেকে আওয়ামী লীগ মাত্র দুটি আসনে জয়ী হয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






